বারাসত: কামদুনির পর গাইঘাটার প্রতিবাদীদের মধ্যেও মাওবাদী খুঁজে পেল শাসকদল৷ শনিবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গাইঘাটার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক নেতাকে মাওবাদী বলে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন বারাসত থানায়৷ পাশাপাশি গাইঘাটার দুই তৃণমূল নেতা এক বছর আগে খুন হওয়া প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের বাবা জগদীশ বিশ্বাস-সহ প্রতিবাদ মঞ্চের সদস্যদের বিরুদ্ধে মাওবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ দু' ক্ষেত্রেই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা জীবনহানির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন থানায়৷
যদিও গাইঘাটা প্রতিবাদ মঞ্চের নেতারা ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, আসলে বরুণ খুনের সিবিআই তদন্ত দাবি করা হয়েছে বলেই বরুণের হত্যাকারীরা মাওবাদী আতঙ্কে ভুগছেন৷ অন্য দিকে, বারাসত আদালত এবং কলকাতা হাইকোর্টের কাছে জোর ধাক্কা খাওয়ার পর সিআইডি কামদুনির ঘটনার তদন্তে নতুন করে নড়ে বসেছে৷ এদিন সন্ধ্যায় কামদুনির ওই আট বিঘা কারখানা চত্বরে সাক্ষীর খোঁজে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিআইডি৷ তাতে বলা হয়েছে, ৭ জুনের ওই ঘটনা সম্পর্কে কারও কিছু জানা থাকলে, তাঁরা যেন ভবানী ভবনে যোগাযোগ করেন৷ কিন্তু যেখানে চার্জশিটে মোট ৫৪ জন সাক্ষীর নাম রয়েছে, সেখানে নতুন করে সাক্ষীর খোঁজ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আইনজীবী মহল৷ তাঁরা মনে করছেন, আদালতের গুঁতো খেয়েই সিআইডি-র এই তত্পরতা৷
আজ অপরাজিতার মৃত্যুর এক মাস পূর্তি হচ্ছে৷ আজ সন্ধ্যায় কামদুনির মানুষ দোষীদের শাস্তির দাবিতে মোমবাতি মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ সেই মিছিল থেকেই আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷ শনিবার ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব শাখা যুব লিগের একদল প্রতিনিধি অপরাজিতার গ্রামে আসেন৷ সেখানে তাঁরা গ্রামের বাসিন্দাদেরও আসতে অনুরোধ করেন৷ কিন্তু বাসিন্দারা সেই অনুরোধ বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন, পাছে তাঁদের গায়ে রাজনীতির রং লাগে৷ অপরাজিতার জ্যাঠতুতো দাদার বক্তব্য, কামদুনির মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না৷ এই কারণেই রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর ব্যবস্থাপনায় তাঁরা দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করতে যেতে চাননি৷ বাসিন্দারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে ১৫ জুলাই রাষ্ট্রপতির অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়েছেন৷
৩ জুলাই কলকাতায় বরুণের বাবা জগদীশবাবু সরাসরিই অভিযোগ করেছিলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে এবং ষড়যন্ত্রে বরুণকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা৷ শুক্রবার বরুণের প্রথম মৃত্যু দিবসে একই অভিযোগ ওঠে প্রতিবাদ মঞ্চ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির সভায়৷ আরও অভিযোগ, খাদ্যমন্ত্রী এর আগে বরুণের চাকরি খাওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন৷ খাদ্যমন্ত্রী সেই অভিযোগ নস্যাত্ করে বলেন, 'বরুণকে নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে এবং প্রতিবাদ মঞ্চ রাজনীতি করছে৷' এর পরই এদিন তিনি বারাসত থানায় এপিডিআর-এর গাইঘাটার সম্পাদক নন্দদুলাল দাসের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ করেন৷ নন্দবাবু অবশ্য বলছেন, 'নিজেরা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই জ্যোতিপ্রিয়বাবুরা এমন অবান্তর অভিযোগ করছেন৷ গাইঘাটার তৃণমূল নেতা বিষ্ণুপদ ঘোষ এবং মিহির বিশ্বাস প্রতিবাদ মঞ্চের বিরুদ্ধে লোক খেপানোর অভিযোগ করেন থানায়৷ মঞ্চের সভাপতি ননীগোপাল পোদ্দার বলেন, 'খুনি-ধর্ষকদের কথার উত্তর দিতে চাই না৷'
যদিও গাইঘাটা প্রতিবাদ মঞ্চের নেতারা ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, আসলে বরুণ খুনের সিবিআই তদন্ত দাবি করা হয়েছে বলেই বরুণের হত্যাকারীরা মাওবাদী আতঙ্কে ভুগছেন৷ অন্য দিকে, বারাসত আদালত এবং কলকাতা হাইকোর্টের কাছে জোর ধাক্কা খাওয়ার পর সিআইডি কামদুনির ঘটনার তদন্তে নতুন করে নড়ে বসেছে৷ এদিন সন্ধ্যায় কামদুনির ওই আট বিঘা কারখানা চত্বরে সাক্ষীর খোঁজে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিআইডি৷ তাতে বলা হয়েছে, ৭ জুনের ওই ঘটনা সম্পর্কে কারও কিছু জানা থাকলে, তাঁরা যেন ভবানী ভবনে যোগাযোগ করেন৷ কিন্তু যেখানে চার্জশিটে মোট ৫৪ জন সাক্ষীর নাম রয়েছে, সেখানে নতুন করে সাক্ষীর খোঁজ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আইনজীবী মহল৷ তাঁরা মনে করছেন, আদালতের গুঁতো খেয়েই সিআইডি-র এই তত্পরতা৷
আজ অপরাজিতার মৃত্যুর এক মাস পূর্তি হচ্ছে৷ আজ সন্ধ্যায় কামদুনির মানুষ দোষীদের শাস্তির দাবিতে মোমবাতি মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ সেই মিছিল থেকেই আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷ শনিবার ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব শাখা যুব লিগের একদল প্রতিনিধি অপরাজিতার গ্রামে আসেন৷ সেখানে তাঁরা গ্রামের বাসিন্দাদেরও আসতে অনুরোধ করেন৷ কিন্তু বাসিন্দারা সেই অনুরোধ বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন, পাছে তাঁদের গায়ে রাজনীতির রং লাগে৷ অপরাজিতার জ্যাঠতুতো দাদার বক্তব্য, কামদুনির মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না৷ এই কারণেই রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর ব্যবস্থাপনায় তাঁরা দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করতে যেতে চাননি৷ বাসিন্দারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে ১৫ জুলাই রাষ্ট্রপতির অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়েছেন৷
৩ জুলাই কলকাতায় বরুণের বাবা জগদীশবাবু সরাসরিই অভিযোগ করেছিলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে এবং ষড়যন্ত্রে বরুণকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা৷ শুক্রবার বরুণের প্রথম মৃত্যু দিবসে একই অভিযোগ ওঠে প্রতিবাদ মঞ্চ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির সভায়৷ আরও অভিযোগ, খাদ্যমন্ত্রী এর আগে বরুণের চাকরি খাওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন৷ খাদ্যমন্ত্রী সেই অভিযোগ নস্যাত্ করে বলেন, 'বরুণকে নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে এবং প্রতিবাদ মঞ্চ রাজনীতি করছে৷' এর পরই এদিন তিনি বারাসত থানায় এপিডিআর-এর গাইঘাটার সম্পাদক নন্দদুলাল দাসের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ করেন৷ নন্দবাবু অবশ্য বলছেন, 'নিজেরা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই জ্যোতিপ্রিয়বাবুরা এমন অবান্তর অভিযোগ করছেন৷ গাইঘাটার তৃণমূল নেতা বিষ্ণুপদ ঘোষ এবং মিহির বিশ্বাস প্রতিবাদ মঞ্চের বিরুদ্ধে লোক খেপানোর অভিযোগ করেন থানায়৷ মঞ্চের সভাপতি ননীগোপাল পোদ্দার বলেন, 'খুনি-ধর্ষকদের কথার উত্তর দিতে চাই না৷'
No comments:
Post a Comment