অনিমেষ বৈশ্য
লালগড়: কাঁটাপাহাড়ির নাটমন্দিরে তৃণমূলের কর্মিসভা৷ বিপুল কর্মী৷ আরও বিপুল বাহিনী৷ সঙ্গিন উঁচিয়ে৷ নাটমন্দিরের দেওয়াল জুড়ে লেখা, হরে কৃষ্ণ হরে রাম, হরে কৃষ্ণ হরে রাম৷ সাঁঝের বেলায় কীর্তন হবে কি? খবর নেই৷ তবে দোহারের দল ধুয়ো তুলতে তৈরি৷ হরে মা, হরে মাটি, হরে মানুষ৷ খোল-করতাল বাজছে না, এই যা৷
কাঁটাপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম নেই৷ আছে ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি৷ তৃণমূলের সরাসরি লড়াই ওদের সঙ্গে৷ সিপিএম নেই কেন? পাশের একটা ছোট ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন সুকুমার হাঁসদা৷ পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী৷ সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি৷ মুখে স্মিত হাসি৷ তাঁকে ঘিরে জনা পঞ্চাশেক ছেলেছোকরা৷ ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে৷ পিয়ালশাখের ফাঁকে ডানা ঝাপটাচ্ছে শ্রান্ত পাখি৷ মন্ত্রীমশাই বললেন, 'সিপিএম নেই কে বলল? কাঁটাপাহাড়িতে ঝাড়খণ্ড পার্টিই তো সিপিএম৷ আমরা হলাম লোহার বাসরে লখিন্দর৷ ওই সাপটার নাম যেন কী?' পাশে দাঁড়ানো এক যুবক বললেন, 'ঢ্যামনা৷' 'আরে দূর, ঢ্যামনা নয়, কেউটে৷' বললেন আরও এক যুবক৷ তৃতীয় জন বললেন, 'কালনাগিনী৷' উত্তরদাতার মুখে প্রশান্তি৷ মঙ্গলকাব্যটা একমাত্র তিনিই মনে রেখেছেন যে! সুকুমার বললেন, 'হ্যাঁ, কালনাগিনী৷ সিপিএম-কংগ্রেস, এসইউসি, ঝাড়খণ্ড সবাই জোট বেঁধে আমাদের ছোবল মারতে চাইছে৷ কিন্ত্ত ফুটো তো ছোট৷ এত সাপ ঢুকবে কোথায়? জঙ্গলমহলে কাজ হচ্ছে৷ নার্সিং কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ মাথা তুলছে৷ চাল-ডাল-কেরোসিন কম দামে মিলছে৷ জোট বেঁধে সুবিধা হবে না৷'
কর্মিসভায় দুপুরের খাওয়া সেরে দাঁত খুঁটছিলেন দিলীপ মাহাতো৷ জনগণের কমিটির প্রাক্তন নেতা৷ অধুনা তৃণমূল৷ বললেন, 'সিপিএমের এখন স্বর্ণযুগ চলছে৷' স্বর্ণযুগ? 'হ্যাঁ, হ্যাঁ, স্বর্ণযুগ৷ লালগড়ের সব জায়গাতেই সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে৷ কাঁটাপাহাড়িতেও দিয়েছে৷ ঝাড়খণ্ড পার্টির নামে৷' যদিও লালগড় ব্লকের (বিনপুর ১) প্রায় ৫০টি আসনে সিপিএম প্রার্থী দেয়নি৷ দেয়নি? নাকি দিতে দেয়নি? মস্ত প্রহেলিকা৷ কিন্ত্ত দিলীপবাবু আপনি তৃণমূলে কেন? কমিটির অনেক নেতাই তো এখন তৃণমূলে৷ দিলীপবাবুর ঝটিতি জবাব, 'আমরা তো তৃণমূলেই ছিলাম৷ তখনও৷ এখনও৷ এই তো অসিত (মাহাতো), ওঁকেই জিজ্ঞেস করুন না৷' হঠাত্ ভিড় ঠেলে হাজির এক যুবক (অসিত নন)৷ ঈষত্ লাল চোখ৷ মন্ত্রীর সামনেই গলা চড়িয়ে বললেন, 'একটা বুড়ি আছে৷ ৮০ বছর বয়স৷ কিন্ত্ত বার্ধক্যভাতা পায় না৷ লিখবেন তাকে নিয়ে? লিখবেন না৷ গরিবের কথা কেউ শোনে না৷ একমাত্র মাওবাদীরা শোনে৷'
তবে এখনও তৃণমূলে নাম লেখাননি নিয়তি মাহাতো৷ ছত্রধরের স্ত্রী৷ 'দিদি'র উপর খুব ভরসা ছিল৷ কিন্ত্ত তাতে ভাটার টান৷ লালগড়ের আমলিয়া গ্রামে ছত্রধরের মাটির দোতলা বাড়ি৷ আঙিনায় ঘুরঘুর করছে হাঁস-মুরগির ছানা৷ খাটিয়ায় শুয়ে ছত্রধরের বুড়ো বাপ৷ উঠতে পারেন না৷ বুকে ঘরঘর আওয়াজ৷ হাঁপানি৷ ভাতের হাঁড়িটা উনুন থেকে নামিয়ে হাত মুছতে মুছতে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন নিয়তি৷ স্বামী জেলে৷ মামলা-মোকদ্দমার জন্য সদরে ছুটে ছুটে হাসিখুশি মুখটায় বিস্তর ঝুলকালি৷ তাঁর কথায়, 'ভেবেছিলাম দিদি ওকে জেল থেকে ছেড়ে দেবে৷ কিন্ত্ত কোথায় কী! ওর বন্ধুরা সব দিদির দলে ভিড়েছে৷ কিন্ত্ত আমার আর ও-সব ভাল্লাগে না৷ কী হবে ভোট দিয়ে!'
লালগড় বাজারের কাছেই নিবাস তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ অনুজ পাণ্ডের মহানিষ্ক্রমণের পর থেকে সিপিএমের জোনাল কমিটি তিনিই সামলান৷ নিজের বাড়ির সামনে মাওবাদীদের গুলি খেয়েছেন৷ হাসপাতালে কেউ দেখতে যাননি বলে শহুরে নেতাদের উপর প্রভূত ক্ষিপ্ত৷ বললেন, 'একটু লাল চা বলি?' চা ছাড়া তো লালের কোনও চিহ্নই নেই৷ প্রচার নেই, পোস্টার নেই৷ হাসলেন তরুণবাবু৷ তাঁর কথায়, 'জনগণের কমিটি এখন তৃণমূলে ভিড়েছে কেন জানেন? না-ভিড়লে মেরে পিঠের চামড়া তুলে দেবে৷ মামলায় ফাঁসাবে৷ ছত্রধর তো জেলেই আছেন৷ ওঁর স্ত্রী তাই তৃণমূলে যাননি৷' কিন্ত্ত আপনারা তো লড়াইয়েই নেই৷ একটা দেওয়াল লিখনও তো চোখে পড়ল না! আগেই হেরে বসে আছেন নাকি? চায়ে চুমুক দিয়ে তরুণবাবুর দার্শনিক জবাব, 'ধীর পানি পাথর কাটে৷' মানে? 'মানে আর কী? ভোটের পরেই বুঝবেন, কতটা পাথর কাটল৷ তৃণমূলের যখন এতই ক্ষমতা, তা হলে মন্ত্রী এনে কর্মিসভা করতে হচ্ছে কেন?'
তাতে দোষের কী হল? সিপিএম নেতারা তো লালগড়ে আসেনই না!
নেতারা জানেন, জনগণই সব করে দেবে৷ তাই বোধহয়...৷ যাক গে, আমার ওই একটাই কথা৷ ধীর পানি পাথর কাটে৷
পাথর কাটতে শেষমেশ ঝাড়খণ্ড পার্টির সঙ্গে আঁতাঁত? ঝাড়খণ্ড পার্টির নেতা অসিত খাটুয়ার অবশ্য সাফ কথা, 'জোট-ফোট কিছু নয়৷ সিপিএম বহু জায়গায় প্রার্থীই খুঁজে পায়নি৷' সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের উত্তর, 'দু'টো দুষ্ট গ্রহ৷ তার মধ্যে যেটা কম ক্ষতিকর তাকে আমরা তার পাশে আছি৷ যদিও ওদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক মিত্রতা নেই৷' তা হবে হয়তো৷
তরুণবাবুর পূর্বসূরি অনুজ পাণ্ডের বাড়ি ধরমপুরে৷ বাড়িটাই আছে৷ লোক নেই৷ জনগণের কমিটি শাবল-গাঁইতি নিয়ে ভেঙে দিয়েছিল অনুজের বাড়ি৷ তাঁর নামের আগে 'জনদরদি' লিখে ফেস্টুন ছেপেছে সিপিএম৷ অনুজের বাড়ির পাশেই বিমল পাণ্ডের বাড়ি৷ বাড়ির বারান্দায় লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরে পোস্টাপিস চালান বিমলবাবু৷ টেবিলে ছড়িয়ে খাম-পোস্টকার্ড, গালা৷ লোহার ডান্ডায় নীল কালি লাগিয়ে ঝপাং করে কাগজে মারলেন বিমলবাবু৷ বললেন, 'এই তো মাত্র ক'দিনেই পোস্টাপিস থেকে ২৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে৷ লালগড়ের সুদিন ফিরছে৷'
সুদিন? কে জানে! লালগড়ের সুদিন যে বহুদিন আগেই কংসাবতীতে ডুব দিয়েছে!
লালগড়: কাঁটাপাহাড়ির নাটমন্দিরে তৃণমূলের কর্মিসভা৷ বিপুল কর্মী৷ আরও বিপুল বাহিনী৷ সঙ্গিন উঁচিয়ে৷ নাটমন্দিরের দেওয়াল জুড়ে লেখা, হরে কৃষ্ণ হরে রাম, হরে কৃষ্ণ হরে রাম৷ সাঁঝের বেলায় কীর্তন হবে কি? খবর নেই৷ তবে দোহারের দল ধুয়ো তুলতে তৈরি৷ হরে মা, হরে মাটি, হরে মানুষ৷ খোল-করতাল বাজছে না, এই যা৷
কাঁটাপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম নেই৷ আছে ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি৷ তৃণমূলের সরাসরি লড়াই ওদের সঙ্গে৷ সিপিএম নেই কেন? পাশের একটা ছোট ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন সুকুমার হাঁসদা৷ পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী৷ সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি৷ মুখে স্মিত হাসি৷ তাঁকে ঘিরে জনা পঞ্চাশেক ছেলেছোকরা৷ ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে৷ পিয়ালশাখের ফাঁকে ডানা ঝাপটাচ্ছে শ্রান্ত পাখি৷ মন্ত্রীমশাই বললেন, 'সিপিএম নেই কে বলল? কাঁটাপাহাড়িতে ঝাড়খণ্ড পার্টিই তো সিপিএম৷ আমরা হলাম লোহার বাসরে লখিন্দর৷ ওই সাপটার নাম যেন কী?' পাশে দাঁড়ানো এক যুবক বললেন, 'ঢ্যামনা৷' 'আরে দূর, ঢ্যামনা নয়, কেউটে৷' বললেন আরও এক যুবক৷ তৃতীয় জন বললেন, 'কালনাগিনী৷' উত্তরদাতার মুখে প্রশান্তি৷ মঙ্গলকাব্যটা একমাত্র তিনিই মনে রেখেছেন যে! সুকুমার বললেন, 'হ্যাঁ, কালনাগিনী৷ সিপিএম-কংগ্রেস, এসইউসি, ঝাড়খণ্ড সবাই জোট বেঁধে আমাদের ছোবল মারতে চাইছে৷ কিন্ত্ত ফুটো তো ছোট৷ এত সাপ ঢুকবে কোথায়? জঙ্গলমহলে কাজ হচ্ছে৷ নার্সিং কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ মাথা তুলছে৷ চাল-ডাল-কেরোসিন কম দামে মিলছে৷ জোট বেঁধে সুবিধা হবে না৷'
কর্মিসভায় দুপুরের খাওয়া সেরে দাঁত খুঁটছিলেন দিলীপ মাহাতো৷ জনগণের কমিটির প্রাক্তন নেতা৷ অধুনা তৃণমূল৷ বললেন, 'সিপিএমের এখন স্বর্ণযুগ চলছে৷' স্বর্ণযুগ? 'হ্যাঁ, হ্যাঁ, স্বর্ণযুগ৷ লালগড়ের সব জায়গাতেই সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে৷ কাঁটাপাহাড়িতেও দিয়েছে৷ ঝাড়খণ্ড পার্টির নামে৷' যদিও লালগড় ব্লকের (বিনপুর ১) প্রায় ৫০টি আসনে সিপিএম প্রার্থী দেয়নি৷ দেয়নি? নাকি দিতে দেয়নি? মস্ত প্রহেলিকা৷ কিন্ত্ত দিলীপবাবু আপনি তৃণমূলে কেন? কমিটির অনেক নেতাই তো এখন তৃণমূলে৷ দিলীপবাবুর ঝটিতি জবাব, 'আমরা তো তৃণমূলেই ছিলাম৷ তখনও৷ এখনও৷ এই তো অসিত (মাহাতো), ওঁকেই জিজ্ঞেস করুন না৷' হঠাত্ ভিড় ঠেলে হাজির এক যুবক (অসিত নন)৷ ঈষত্ লাল চোখ৷ মন্ত্রীর সামনেই গলা চড়িয়ে বললেন, 'একটা বুড়ি আছে৷ ৮০ বছর বয়স৷ কিন্ত্ত বার্ধক্যভাতা পায় না৷ লিখবেন তাকে নিয়ে? লিখবেন না৷ গরিবের কথা কেউ শোনে না৷ একমাত্র মাওবাদীরা শোনে৷'
তবে এখনও তৃণমূলে নাম লেখাননি নিয়তি মাহাতো৷ ছত্রধরের স্ত্রী৷ 'দিদি'র উপর খুব ভরসা ছিল৷ কিন্ত্ত তাতে ভাটার টান৷ লালগড়ের আমলিয়া গ্রামে ছত্রধরের মাটির দোতলা বাড়ি৷ আঙিনায় ঘুরঘুর করছে হাঁস-মুরগির ছানা৷ খাটিয়ায় শুয়ে ছত্রধরের বুড়ো বাপ৷ উঠতে পারেন না৷ বুকে ঘরঘর আওয়াজ৷ হাঁপানি৷ ভাতের হাঁড়িটা উনুন থেকে নামিয়ে হাত মুছতে মুছতে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন নিয়তি৷ স্বামী জেলে৷ মামলা-মোকদ্দমার জন্য সদরে ছুটে ছুটে হাসিখুশি মুখটায় বিস্তর ঝুলকালি৷ তাঁর কথায়, 'ভেবেছিলাম দিদি ওকে জেল থেকে ছেড়ে দেবে৷ কিন্ত্ত কোথায় কী! ওর বন্ধুরা সব দিদির দলে ভিড়েছে৷ কিন্ত্ত আমার আর ও-সব ভাল্লাগে না৷ কী হবে ভোট দিয়ে!'
লালগড় বাজারের কাছেই নিবাস তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ অনুজ পাণ্ডের মহানিষ্ক্রমণের পর থেকে সিপিএমের জোনাল কমিটি তিনিই সামলান৷ নিজের বাড়ির সামনে মাওবাদীদের গুলি খেয়েছেন৷ হাসপাতালে কেউ দেখতে যাননি বলে শহুরে নেতাদের উপর প্রভূত ক্ষিপ্ত৷ বললেন, 'একটু লাল চা বলি?' চা ছাড়া তো লালের কোনও চিহ্নই নেই৷ প্রচার নেই, পোস্টার নেই৷ হাসলেন তরুণবাবু৷ তাঁর কথায়, 'জনগণের কমিটি এখন তৃণমূলে ভিড়েছে কেন জানেন? না-ভিড়লে মেরে পিঠের চামড়া তুলে দেবে৷ মামলায় ফাঁসাবে৷ ছত্রধর তো জেলেই আছেন৷ ওঁর স্ত্রী তাই তৃণমূলে যাননি৷' কিন্ত্ত আপনারা তো লড়াইয়েই নেই৷ একটা দেওয়াল লিখনও তো চোখে পড়ল না! আগেই হেরে বসে আছেন নাকি? চায়ে চুমুক দিয়ে তরুণবাবুর দার্শনিক জবাব, 'ধীর পানি পাথর কাটে৷' মানে? 'মানে আর কী? ভোটের পরেই বুঝবেন, কতটা পাথর কাটল৷ তৃণমূলের যখন এতই ক্ষমতা, তা হলে মন্ত্রী এনে কর্মিসভা করতে হচ্ছে কেন?'
তাতে দোষের কী হল? সিপিএম নেতারা তো লালগড়ে আসেনই না!
নেতারা জানেন, জনগণই সব করে দেবে৷ তাই বোধহয়...৷ যাক গে, আমার ওই একটাই কথা৷ ধীর পানি পাথর কাটে৷
পাথর কাটতে শেষমেশ ঝাড়খণ্ড পার্টির সঙ্গে আঁতাঁত? ঝাড়খণ্ড পার্টির নেতা অসিত খাটুয়ার অবশ্য সাফ কথা, 'জোট-ফোট কিছু নয়৷ সিপিএম বহু জায়গায় প্রার্থীই খুঁজে পায়নি৷' সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের উত্তর, 'দু'টো দুষ্ট গ্রহ৷ তার মধ্যে যেটা কম ক্ষতিকর তাকে আমরা তার পাশে আছি৷ যদিও ওদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক মিত্রতা নেই৷' তা হবে হয়তো৷
তরুণবাবুর পূর্বসূরি অনুজ পাণ্ডের বাড়ি ধরমপুরে৷ বাড়িটাই আছে৷ লোক নেই৷ জনগণের কমিটি শাবল-গাঁইতি নিয়ে ভেঙে দিয়েছিল অনুজের বাড়ি৷ তাঁর নামের আগে 'জনদরদি' লিখে ফেস্টুন ছেপেছে সিপিএম৷ অনুজের বাড়ির পাশেই বিমল পাণ্ডের বাড়ি৷ বাড়ির বারান্দায় লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরে পোস্টাপিস চালান বিমলবাবু৷ টেবিলে ছড়িয়ে খাম-পোস্টকার্ড, গালা৷ লোহার ডান্ডায় নীল কালি লাগিয়ে ঝপাং করে কাগজে মারলেন বিমলবাবু৷ বললেন, 'এই তো মাত্র ক'দিনেই পোস্টাপিস থেকে ২৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে৷ লালগড়ের সুদিন ফিরছে৷'
সুদিন? কে জানে! লালগড়ের সুদিন যে বহুদিন আগেই কংসাবতীতে ডুব দিয়েছে!
No comments:
Post a Comment