যুবভারতীতে পারফর্ম করবে চাইনিজ ড্রামার-রা। বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে থাকবেন আমেরিকান র্যাপার পিটবুল। আর সবার শেষে থাকবে আতসবাজির প্রদর্শনী। সব মিলিয়ে জমকালো সন্ধের অপেক্ষায় কলকাতা।
এ দিকে সোমবার মহাকরণে গিয়ে সরকারের কাছে হাজার টাকা পর্যন্ত টিকিটের উপর বিনোদন কর ছাড়ের আবেদন করেছে নাইট কর্তৃপক্ষ। গতবার পাঁচশো টাকা পর্যন্ত টিকিটে বিনোদন করে ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
বিজেপিতে অবশেষে নিজের মজবুত 'সিংহাসন' তৈরি করলেন নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘ ছ`বছর পর মোদীকে সংসদীয় কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হল। সংসদীয় বোর্ড বিজেপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি। প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক করে এই কমিটি। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে টিকিট বণ্টনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে বোর্ডের। এখানে মোদী ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের স্থান পাওয়ায় বিজেপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনে মোদির গুরুত্ব বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আসল কথা হল, আজকের পর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মোদীর নাম এতটাই সামনে চলে এল, যে টুইটারে বিজেপি সমর্থকরা গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে 'মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার' বলে ডাকলেন।
আজই নিজের নতুন দল ঘোষণা করলেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ। দলের সহ সভাপতি করা হয়েছে সিপি ঠাকুর, উমা ভারতী ও স্মৃতি ইরানিকে। পাশপাশি, মোদী ঘনিষ্ঠ গুজরাতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। রাজনাথের নতুন দলে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে রাজীব প্রতাপ রুডি, অনন্ত কুমার, রামলাল, মুরলীধর রাও ও ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে আসা হয়েছে বরুণ গাঁধীকেও।
আগামী লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের কাণ্ডারী রাহুল গাঁধীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে, বিজেপি বরুণকে সামনে নিয়ে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন প্রশ্ন হল ২০১৪ লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখেই কি লড়বে বিজেপি? গুজরাতে হ্যাটট্রিকের পর, নীতীশ কুমারের মতো এনডিএ শরিকদের আপত্তি সত্ত্বেও, বারবার সামনে চলে এসেছে অনিবার্য এই প্রশ্ন।
প্রত্যাশা মতোই রবিবার তাঁকে সংসদীয় বোর্ডে নিয়ে এলেন সভাপতি রাজনাথ সিং৷ এবং জানিয়ে দিলেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে আরও বড় দায়িত্ব নিতে হবে৷ প্রসঙ্গত, এই রাজনাথই তাঁকে ৬ বছর আগে সংসদীয় কমিটি থেকে বের করে দিয়েছিলেন, এ দিন তিনিই আবার ফিরিয়ে আনলেন৷
শনিবার সন্ধ্যাবেলাতেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল যে, সঙ্ঘ পরিবারের নির্দেশ মেনে মোদীকে নিয়ে আসা হবে সংসদীয় কমিটিতে৷ হলও তাই৷ রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হল ২০১৪ লোকসভার কুশীলবদের নাম৷ মোদী আগে থেকেই কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতে ছিলেন, এ বার আনা হল সংসদীয় বোর্ডে৷ এ ছাড়াও মোদী-ঘনিষ্ঠ অমিত শাহ ও পিলিভিট কেন্দ্রের সাংসদ বরুণ গান্ধীও এলেন কোর গ্রুপে৷
তবে এ দিন সকাল থেকেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্সাহ ছিল মোদীকে নিয়েই৷ তাঁরা অপেক্ষায় ছিলেন, দল তাঁকে কী দায়িত্ব দেন তা দেখার জন্য৷ তাই তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উাসের বাঁধ ভাঙে সমর্থকদের মধ্যে৷ 'প্রধানমন্ত্রী মোদী বনেঙ্গে' জয়ধ্বনি তখন বিজেপি কার্যালয়ের সামনে৷ দলীয় সভাপতি রাজনাথ সিং বলেন, 'মোদী খুব জনপ্রিয় নেতা৷' তাঁর এই কথার মধ্যেই ভবিষ্যতের ইঙ্গিত খুঁজে পেয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ তাঁরা বলছেন, মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ধরে এগোচ্ছে বিজেপি৷ কিন্ত্ত দল ও শরিকদের মধ্যে মোদীকে নিয়ে বিরোধিতা থাকায় এখনই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হচ্ছে না৷ মোদীকে সংসদীয় বোর্ডে এনে লোকসভা ভোটে বিজেপির ভালো ফল হওয়ার সম্ভাবনাকে আরও মজবুত করতে চাইছে৷ আর ভোট যদি ২০১৪-তে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হয়, তাহলে হাতে এখনও ১৪ মাসের কাছাকাছি সময় রয়েছে, নভেম্বরে হলেও ৮ মাস, তাই তড়িঘড়ি নাম ঘোষণা করার ঝুঁকি তাঁরা নিচ্ছেন না৷
তবে মোদীকে বেছে নেওয়া হয়েছে মূলত দু'টি কারণে৷ প্রথমত, গুজরাটে তাঁর নেতৃত্বে পর পর তিন বার জয়৷ দ্বিতীয় কারণ হল, উন্নয়ন ও সুদক্ষ প্রশাসনকে ভিত্তি করে গুজরাটকে তিনি 'ব্র্যান্ড মোদী' বানিয়েছেন৷ এই দু'টি বিষয়কে মূলধন করতে চাইছে বিজেপি৷
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী অসুস্থতার কারণে রাজনৈতিক জীবন থেকে স্বেচ্ছাবসরের পরে বিজেপি-কে একসুতোয় বেঁধে রাখার মতো সর্বজনবিদিত নেতা আর বিজেপিতে নেই৷ অর্ন্তদ্বন্দ্বে দল ক্লান্ত৷ 'লৌহপুরুষ' লালকৃষ্ণ আদবানিও আর দলের উপর তাঁর প্রভাব রাখতে পারছেন না৷ তাই দলকে সংঘবদ্ধ করে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কারওকে প্রয়োজন বিজেপির, তিন বারের বিজয়ী মোদীকেই তাই তারা এমন দায়িত্বের জন্যে ভাবছে৷ অন্যদিকে রয়েছে সঙ্ঘ পরিবারের প্রভাব৷ মোদী আরএসএস ঘনিষ্ঠ৷ এবং তাদের হিন্দুত্ববাদের সমর্থক৷ তাই আরএসএস সব সময়ই চেয়েছে এমন কোনও নেতাকে যিনি তাদের কথা মেনে চলবেন৷ মোদীর থেকে ভালো আর কে-ই বা হতে পারেন?
রাজনাথও মোহন ভগবতদের 'কাছের মানুষ'৷ তিনি দায়িত্ব নিয়েই 'রামমন্দির নির্মাণ' ও 'হিন্দুত্বে ফেরার' ডাক দিয়েছিলেন৷ এ দিন তাঁর দল গঠন দেখে এটা আরও স্পষ্ট হল যে তিনি তাঁর কোর গ্রুপকে সেভাবেই বেছে নিয়েছেন৷ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে টপকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে একমাত্র মোদীই স্থান পেয়েছেন৷ পাশাপাশি এসেছেন অমিত শাহ, স্মৃতি ইরানি, উমা ভারতীরা৷ এঁরা নয় মোদীর পছন্দের লোক, না হয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী৷ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় উমা ভারতীর ভূমিকা কারও অজানা নয়৷ স্বাভাবিক ভাবেই এই মনোনয়নে তিনি উসিত৷ ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজনাথ-সহ দলের সব শীর্ষ নেতাদের৷
বরুণ গান্ধীকে দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে বিজেপি তাঁকে রাহুল গান্ধীর সমান্তরাল হিসেবে নিয়ে আসতে চেয়েছেন৷ তাদের লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশের তরুণ ভোটাররা৷ সে কারণেই তারা বরুণকে এনে বাজিমাত করার চেষ্টা করছে৷ মানেকা গান্ধী ছেলের এই 'সাফল্যে' খুশি৷ তিনি বলেছেন, 'ওর উপর দল এতটা যখন ভরসা করেছে, ও তার মান রাখবে৷' দলের নবনিযুক্ত সহ সভাপতি মুরলীধর রাও অবশ্য বলেছেন, 'রাহুল নন, সঙ্ঘ পরিবারের চাপেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷' তবে সুর কেটেছে প্রবীণ বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ারের কথায়৷ তিনি বলেন, 'বরুণ তাঁর পদবির জন্য এই সম্মান পাচ্ছেন৷ গান্ধী পরিবারের প্রভাবকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপিও৷'
তবে রাজনৈতিক মহল বলছে, রাজনাথ সংসদীয় কমিটিতে যাঁদের নিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই বিজেপি সভাপতির 'পছন্দের', অন্যদিকে প্রতিটি অঞ্চল, জাত-পাতের প্রতিনিধিত্বও যাতে ঠিক থাকে নজর রেখেছেন সে দিকেও৷ রবিবার সকালে সংসদীয় কমিটি ঘোষণা করার আগে, রাজনাথ আদবানির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন৷ তাঁর সঙ্গে আলোচনার পরেই ঘোষণা করা হয় লোকসভা নির্বাচনের টিম৷ রাজনাথের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সুধাংশু ত্রিদেবী-সহ আরও তিন নতুন মুখ এসেছেন দলীয় মুখপাত্র হিসেবে৷ রবিশঙ্কর প্রসাদকে এই দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে৷ প্রমোদ মহাজনের মেয়ে পুনম ও মধ্যপ্রদেশের সাংসদ সরোজ পান্ডে এসেছেন এই দলে৷ স্মৃতি ইরানিকে সরিয়ে সরোজ মহিলা যুব মোর্চার দায়িত্ব পেলেন৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বলছে, মোদী যে আগামী লোকসভা ভোটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকছেন, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই৷ তবে মোদীর এই 'প্রত্যাবর্তনের' সঙ্গে সঙ্গে নীতীশ কুমারের দল জানিয়ে দিয়েছে, অসাম্প্রদায়িক কারওকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হোক৷ গুজরাট গণহত্যাকর 'ক্ষত' এখনও মোদীর পিছু ছাড়েনি, তাই দিল্লি দরবারে বসার জন্য 'হিন্দু হূদয়সম্রাট' প্রস্ত্তত থাকলেও, তা কতটা সর্বসম্মত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷ - সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি: দলের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মঞ্চ জাতীয় কর্মসমিতিতে নরেন্দ্র মোদীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এই সিদ্ধান্ত সঠিক, যথাযথ বলে দাবি করলেন খোদ বিজেপি সভাপতিই। আজ ঔরঙ্গাবাদে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে রাজনাথ সিংহ যুক্তি দিয়েছেন, মোদী দেশের 'সবচেয়ে জনপ্রিয়' মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্যই তাঁকে দলের জাতীয় কর্মসমিতিতে নেওয়া হয়েছে। কেন তিনি আগে বিজেপি সভাপতি থাকাকালে কর্মসমিতিতে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে নেননি, প্রশ্ন করা হলে রাজনাথ বলেন, আমজনতার কাছ থেকে পাওয়া ফিডব্যাকের ওপর ভিত্তিতেই তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আর তাঁকে কর্মসমিতিতে ঢোকানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে সেই আমজনতার প্রতিক্রিয়া দেখেই। গতকাল কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বল মোদীর বিজেপিতে উত্থানের খবরে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, মোদীকে কর্মসমিতিতে নেওয়ার ফলে প্রধান বিরোধী দল এবার উল্টে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, কেননা মোদী একবার বিজেপির ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে দলটাই শেষ হয়ে যাবে। কেননা মুখ্যমন্ত্রী যে ব্র্যান্ডের রাজনীতি করেন, তার সঙ্গে আদর্শের কোনও সম্পর্কই নেই। সিব্বলের বক্তব্যের জবাবে আজ বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভরেকর বলেন, কংগ্রেস আসলে রাজনাথ সিংহের টিমে মোদী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অমিত শাহের অন্তর্ভুক্তিকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। এই টিম আগামী সাধারণ নির্বাচনে কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারকে উতখাত করতে চলেছে বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, সিব্বল হতাশ হয়ে পড়েছেন। কেননা তিনি জানেন, চাঁদনি চক থেকে তিনি আর জিতছেন না।সুতরাং ওঁর কথায় খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই।
আজ অবশ্য কংগ্রেস মুখপাত্র রেনুকা চৌধুরি মোদীর উত্থানকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ওটা বিজেপির ঘরোয়া ব্যাপার।তাঁর প্রতিক্রিয়া, এটা আরোহন, প্রোমোশন, অবনমন, বিচ্যুতি না গুরুত্ব হ্রাস আমরা জানি না। আমাদের এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়াই নেই, কোনও মতামতও নেই, আমরা ভাবিতও নই। এটা ওদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
http://www.abpananda.newsbullet.in/national/60-more/35216-2013-04-01-17-03-26
আমেদাবাদ:নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী, অথচ তাঁর অনুপস্থিতিতেই গুজরাতকে ২০১৫-র মধ্যে হিন্দু রাজ্য বানানোর ঘোষণা করে দিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-র শীর্ষনেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া৷ রবিবার মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্রের অন্তর্গত এলাকায় হিন্দু সঙ্গম কর্মসূচি ছিল ভিএইচপি-র৷ সেখানেই তোগাড়িয়া বলেন, আর দুবছরের মধ্যেই ভিএইচপি রাজ্যের ১৮ হাজার জেলার সবগুলিতেই ঢুকে পড়বে৷ রাজ্যের সর্বত্র নিজের অস্তিত্বের প্রমাণ দেবে৷ আমরা গুজরাতকে হিন্দু রাজ্য বলে ঘোষণা করব৷ ভিএইচপি নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে হিন্দুত্বের ভবিষ্যত, হিন্দু নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য শীর্ষক এক কর্মসূচি নিয়েছেন তোগাড়িয়ারা ৷ গ্রামগঞ্জ, শহর ও উপজাতি এলাকায় সব হিন্দুর কাছে পৌঁছাতেই এই কর্মসূচি৷ হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে উদ্বেগ জানিয়ে তোগাড়িয়া বলেছেন, আত্মরক্ষা ও সমৃদ্ধির জন্য হিন্দুদের নিজেদেরই ততপর হতে হবে৷ এজন্য হিন্দু রীতিনীতি, আচার নিষ্ঠাভরে পালন করতে হবে৷সচেতন ও সক্রিয় করে তুলতে হবে হিন্দুদের৷ অনুষ্ঠানে মোদীর না থাকা নিয়েও গুঞ্জন উঠেছে৷ ভিএইচপি-র হিন্দু রাজ্য ঘোষণার উদ্যোগে কি সায় নেই তাঁর, এই জল্পনার মধ্যেই পর্যবেক্ষকরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, গান্ধীনগর ও আমেদাবাদে বেআইনি মন্দির ভাঙা সহ একাধিক ইস্যুতে মোদীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে ভিএইচপি৷ তোগাড়িয়ার বক্তব্য, আমাদের আচার-আচরণ, রীতিনীতি পালনেও খাঁটি হিন্দু হতে হবে৷ তাহলেই অযোধ্যায় রামমন্দির গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে৷ তবে তোগাড়িয়া হিন্দুত্বের সুর চড়ালেও তাঁর দিকে সমালোচনার তীর ধেয়ে আসতে শুরু করেছে৷ প্রাক্তন ভিএইচপি নেতা, গুলবর্গা দাঙ্গা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অতুল বৈদ্য বলেছেন, দাঙ্গা মামলায় জড়িয়ে পড়া ভিএইচপি কর্মীরা চরম সামাজিক, আর্থিক সঙ্কটে রয়েছেন৷ এতদিন কোথায় ছিলেন উনি? হিন্দু সঙ্গম করছেন, লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে কিন্তু আমাদের সাহায্য করার টাকা ছিল না!
http://www.abpananda.newsbullet.in/national/60-more/35190-2013-04-01-06-33-21
বাংলায় হচ্ছেটা কি, আমরা সবাই চোখ কান খুলে দেখছি,শুনছি।
পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত্ নির্ধারিত হতে চলেছে আদালতেই। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট নিয়ে রাজ্য সরকারের একতরফা ভাবে জারি করা বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে সোমবার মামলা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও প্রক্রিয়াগত কারণে এক্ষেত্রে কমিশন কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। মামলা গ্রহণ না-করে আইনি পদ্ধতি অনুসরণ করে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অর্থাত্ , সার্বিক ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া আরও বিলম্বিত হবে।
এদিকে কমিশন আদালতে যাওয়ার পরই তত্পরতা শুরু হয়ে যায় মহাকরণে। জরুরি বৈঠক করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় এবং সরকারি আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকের আগে অ্যাডভোকেট জেনারেল ও সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সারেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী।
এদিন সকালে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের এজলাসে মামলা দায়ের করা হয়। কমিশনের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী লক্ষ্মীনারায়ণ দ্বিবেদী। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার আবেদন গ্রহণের সওয়াল করেন তিনি। তবে সেই আবেদন গৃহীত হয়নি। আইনি পথে মামলা রুজুর নির্দেশ দেওয়া হয় কমিশনকে। ফলে, সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি আরও দু'-একদিন পিছিয়ে যেতে পারে। মঙ্গলবার নতুন করে মামলা রুজু করা হতে পারে। রাজ্যকে মামলার নোটিফিকেশন দিতে আরও একদিন। ফলে বুধবারের আগে মামলার আইনি প্রক্রিয়া কতটা শুরু হবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।
কমিশনের আবদনে রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি খারিজের কথা বলা হয়েছে। কারণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সহমতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। আইন অনুযায়ী, কমিশনের সহমত ছাড়া এ ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা যেতে পারে না বলে কমিশন আবেদনে জানিয়েছে। আদালতের কাছে কমিশনের আবেদন, রাজ্য সরকার যাতে কমিশনের সঙ্গে কথা বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, সেই নির্দেশিকা দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, কমিশন চায় জুনে পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন করতে।
এদিন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি-ও। হাইকোর্টে দাখিল করা আবেদনে দলের তরফে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হোক কমিশনকে। একই সঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত আইন বাতিলের আবেদনও জানানো হয়েছে।
এদিকে, এই টানাপোড়েনের দায় রাজ্য সরকারের ঘাড়েই চাপিয়েছে কংগ্রেস। মানস ভুঁইয়া বলেছেন, 'রাজ্য সরকার ইচ্ছে করলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এই জটিলতা এড়াতে পারত। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াতই না।' অরুণাভ ঘোষ বলেছেন, 'টোটালটাই লুকোচুরি খেলা চলছে৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে মামলা করছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সেটা তো আমরা অর্থাত্ কোনও রাজনৈতিক দল জানেই না৷ অন্তত সব রাজনৈতিক দলকে একটা করে কপি তো পাঠানো উচিত ছিল৷ আর মামলা করার পদ্ধতিতেও তো ভুল হয়েছে৷ আরে আগে তো মামলাটাকে লিস্টিং (তালিকাভুক্ত) করাতে হবে৷ নইলে শুনানির জন্য আবেদন করা যাবে কী ভাবে?' দীপা দাশমুন্সির মন্তব্য, 'আমাদের তো মনে হচ্ছে রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত নির্বাচনটাই করতে চাইছে না৷'
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অচলাবস্থাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের মধ্যে বিভাজন তৈরির চাল দিলেন বিমান বসু৷ নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে না করার জন্য রাজ্য সরকারের শীর্ষস্তরে যে 'চক্রান্ত' হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া মুকুল রায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো কতিপয় নেতার বাইরে তৃণমূলের আর কেউই জানতে না বলে দাবি করলেন বর্ষীয়ান এই বাম নেতা৷ জেলায় জেলায় প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়া, দলীয় কোন্দল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বেহাল থাকার কারণেই রাজ্য সরকারে শীর্ষস্তরে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট না করার 'চক্রান্ত' করা হয়েছে বলে সোমবার বামফ্রন্টের বৈঠকের পর দাবি করেছেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান৷ পঞ্চায়েত ভোটকে 'ভন্ডুল' করার দায়িত্ব পরিকল্পনা করেই সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মকুল রায়ের ওপর দেওয়া হয়েছিল বলে তাঁর বক্তব্য৷ এই পরিস্থিতিতে এ দিন নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করার দাবিতে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের 'হস্তক্ষেপ' প্রার্থনা করেছেন বিমান বসুর নেতৃত্বে বাম প্রতিনিধি দল৷ রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোট নির্দিষ্ট সময়ে করার দাবিতে এবং যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তার নিষ্পত্তির জন্য রাজ্যপালের 'গুড অফিস'কে ব্যবহারের কথা আমরা বলেছি৷ সমঝোতার জন্য তাঁর উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলেছি৷ তিনি বলেছেন, বিষয়টি তিনি দেখছেন৷' রাজ্যপালের 'হস্তক্ষেপ' দাবি করলেও বিজেপি কিংবা কংগ্রেসের মতো আইনি পথে বামেরা যে এখনই যাচ্ছে না তা এ দিন স্পষ্ট করেছেন বর্ষীয়ান এই বাম নেতা৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের আইনি দ্বন্দ্ব কোন পথে গড়ায় সেই দিকে আপাতত নজর রাখার কৌশলই নিচ্ছেন বাম নেতৃত্ব৷ তবে আইনি পথে না গেলেও নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচনের দাবিতে রাস্তায় নামার কথা এ দিন ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট৷ মঙ্গলবার কলকাতায় তিন ঘণ্টার অবস্থান ছাড়াও জেলায় জেলায় এই ইস্যুতে আন্দোলনের নামার কথা এ দিন ঘোষণা করেছেন বিমান বসু৷
পঞ্চায়েত ভোট সময়ে না হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে দিতে সুপরিকল্পিতভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাতে গেছে সরকার।
সময়ে পঞ্চায়েত ভোট না হওয়ায়, রাজ্যবাসী ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানালেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ ফুরোলে প্রশাসক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু, বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্প শুধুমাত্র পঞ্চায়েতের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত করা হয়। পঞ্চায়েত না থাকলে সেইসব প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন রাজ্যবাসী।
পঞ্চায়েত জট নিয়ে ততপরতা রাজনৈতিক শিবিরেও। আজ সরকারের বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করতে জরুরি বৈঠকে বসে বামফ্রন্ট। এতদিন পর্যন্ত সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বন্দ্ব নিয়ে সে ভাবে সুর চড়ায়নি বামফ্রন্ট। কারণ বামফ্রন্ট চেয়েছিল দু'পক্ষের সংঘাত মিটে গিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক। কিন্তু আদালত পর্যন্ত বিষয়টি গড়ালে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারের রণকৌশল কী হবে তা ঠিক করতেই বামফ্রন্টের এই জরুরি বৈঠক।
বৈঠকের শেষে বিকেল চারটেয় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবে বাম প্রতিনিধি দল। সেখানেই রাজ্যপালের কাছে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানানো হবে বাম প্রতিনিধি দলের তরফে। এতদিন পর্যন্ত সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বন্দ্ব নিয়ে সেভাবে সুর চড়ায়নি বামফ্রন্ট। কারণ বামফ্রন্ট চেয়েছিল দুপক্ষের সংঘাত মিটে গিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মোকাবিলায় এবার জোড়া কৌশল তৃণমূলের৷ পঞ্চায়েত ভোট পেছানোর দায় কমিশনের ঘাড়ে চাপিয়ে রাস্তায় নামছে শাসকদল৷ পাশাপাশি, আইনি লড়াইয়েরও প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কমিশন আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, কমিশন যখন আদালতে গিয়েছে, পাল্টা মামলা করবে রাজ্যও৷ পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে জটিলতার মধ্যে মহাকরণে বৈঠক করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ বৈঠকে ছিলেন পঞ্চায়েতসচিব-সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও৷ মহাকরণ সূত্রে খবর, আদালতে কমিশনের মুখোমুখি হতে গেলে রাজ্যের তরফে কী বক্তব্য খাড়া করা হবে, সেই প্রস্তুতি সারতেই এই বৈঠক হয়৷ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর পঞ্চায়েতমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, যা বলার আদালতেই বলব৷
শুধু আইনি লড়াই নয়, রাজনৈতিকভাবেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মোকাবিলায় পথে নামছে তৃণমূল৷ নির্ধারিত সময়ে ভোট করার ক্ষেত্রে কমিশন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, মূলত এই অভিযোগকে সামনে রেখেই মঙ্গলবার মেট্রো চ্যানেলে সমাবেশের ডাক দিয়েছে তারা৷ এদিন বেলা ২টোয় মেট্রো চ্যানেলে সমাবেশ৷ সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুকুল রায়, সুব্রত বক্সী-সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা৷ মূল লক্ষ্য, কমিশনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা৷ এই ইস্যুতে তৃণমূলের প্রচারের মূল কৌশল, সরকারে আসার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, গরমে নয়, তাঁরা পঞ্চায়েত ভোট করতে চান অপেক্ষাকৃত ঠান্ডায়৷ সেই মতো, ফেব্রুয়ারিতে ভোট করতে চেয়ে কমিশনকে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার৷ তাতে রাজি হয়নি কমিশন৷ এরপর রাজ্য সরকার ঘোষণা করে, ২৬ এবং ৩০ এপ্রিল দু দফাতেই পঞ্চায়েত ভোট হবে৷ কিন্তু, তাতেও সায় দেয়নি কমিশন৷ উল্টে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা৷ নানা অছিলায় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কমিশন, মানুষের সামনে এই বার্তাই তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, কমিশন এবং সরকারের সংঘাতের জেরে পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে গেলে, সেক্ষেত্রে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে৷ ইতিমধ্যেই বিরোধীরা পঞ্চায়েত ভোট নির্ধারিত সময়ে করার ক্ষেত্রে, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে৷ সংঘাতের জেরে পঞ্চায়েত ভোট সত্যি সত্যিই পিছিয়ে গেলে, সেক্ষেত্রে বিরোধীরা তাদের সুর আরও চড়ানোর সুযোগ পেয়ে যাবে৷ এই পরিস্থিতিতে জোড়া কৌশলে পঞ্চায়েত-অস্বস্তি কাটাতে চাইছে তৃণমূল৷ কমিশনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে, একদিকে যেমন ভোট পেছানোর দায় কমিশনের ঘাড়েই চাপিয়ে দিতে চাইছে তারা, পাশাপাশি, বিরোধীদের অভিযোগকেও অসত্য বলে মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাইছে তারা৷
No comments:
Post a Comment