বিশ্বাস করুন বা না করুন, সাহারা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুব্রত রায়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র পাঁচ কোটি টাকা৷ কোনও স্থাবর সম্পত্তিও নেই তাঁর৷ বুধবার সেবিকে এ কথাই জানিয়েছেন সুব্রত রায়৷ সমন পেয়ে দেখা করতে সেবি দপ্তরে দেখা করতে এসে সুব্রত রায় অভিযোগ করেন, 'সাহারা ইন্ডিয়া রিয়েল এস্টেট কর্পোরেশন ও সাহারা হাউজিং কর্পোরেশনের ঋণপত্রে বিনিয়োগকারী প্রায় তিন কোটি বিনিয়োগকারীর টাকা ফিরিয়ে দিতে শেয়ার বাজার সংস্থা সেবিই দেরি করছে৷' সেবির সদর দপ্তরে এক ঘণ্টা ধরে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির হিসাব নিয়ে জবাবদিহি করেন সুব্রত রায় ও ওই দুই সংস্থার অন্য তিন ডিরেক্টর, অশোক চৌধুরী, রবিশঙ্কর দুবে এবং বন্দনা ভার্গব৷ ২৬ মার্চ সুব্রত রায় ও অন্য তিন ডিরেক্টরকে সমন পাঠায় সেবি৷ ওই সমনে বলা হয়, ১০ এপ্রিল তাঁরা যেন সেবির দপ্তরে হাজির হয়ে নিজেদের এবং দুই সংস্থার সমস্ত বিষয় সম্পত্তির হিসাব ও দলিল দস্তাবেজ দাখিল করেন যাতে সাহারার সম্পত্তি বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে সেবি৷ যদি সুব্রত রায় সহ সাহারার ওই চার আধিকারিক ওই দিন (১০ এপ্রিল) সেবির দপ্তরে উপস্থিত না হন তা হলে তাঁদের মতামত না নিয়েই সেবি সম্পত্তি বিক্রি করা শুরু করবে৷
সেই মত বুধবার দুপুরে সেবির দপ্তরে হাজির হন সুব্রত রায় এবং তাঁর তিন সঙ্গী৷ সাংবাদিকদের সুব্রত রায় বলেন, 'সেবির আধিকারিকেরা কেবল আমাদের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পত্তি নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করে, বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি৷ আমার ব্যক্তিগত কত সম্পত্তি আছে সেটাই যেন সেবির কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যার৷ ওরা আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি কত আছে জানতে চেয়ে আমায় ডেকে পাঠিয়েছিল এবং এটা জেনে ওরা হতভম্ব হয়ে গেছে যে আমার সোনা ও মূল্যবান পাথর আছে তিন কোটি টাকার, ব্যাঙ্কে নগদ আছে ৩৪ লক্ষ টাকা এবং ফিক্সড ডিপোজিট আছে ১.৫৯ কোটি টাকা৷ আমার কোনও স্থাবর সম্পত্তিও নেই৷ বাদাউলিতে একটা চিনি কল তৈরি করার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ১১ কোটি টাকা ধার নিয়েছিলাম, সেটা আছে৷' সাহারা গোষ্ঠীর আগের দাবির পুনরাবৃত্তি করেই সুব্রত রায় বলেন, 'বিনিয়োগকারীদের পাওনা টাকার ২০,০০০ কোটি টাকা আমরা মিটিয়ে দিয়েছি৷ বকেয়া ৫ ,১২০ কোটি টাকা সেবির কাছে জমা আছে৷ আমরা চাই বিনিয়োগকারীদের টাকা যত তাড়িতাড়ি সম্ভব ফিরিয়ে দিতে৷ সেবিই ওই টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছে না, অহেতুক দেরি করছে৷'
গত ৩১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট সাহারা গোষ্ঠীকে নির্দেশ দেয় সাহারার দুই সংস্থার প্রায় তিন কোটি বিনিয়োগকারীর পাওনা ২৪,০০০ কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে৷ টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টা তদারকি করার জন্য সেবিকে দায়িত্ব দেয় সর্বোচ্চ আদালত এবং আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি বি এন আগরওয়ালকে নিয়োগ করা হয় পুরো কাজটার দেখভাল করার জন্য৷ এর পর আরও সময় চেয়ে আবেদন করলে ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আলতামস কবীর সাহারাকে বিনিয়োগকারীদের পুরো পাওনা মিটিয়ে দিতে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ অবধি সময় দেন৷ এই শুনানি চলাকালীন সাহারা সেবিকে ৫,১২০ কোটি টাকার একটি ব্যাঙ্ক ড্রাফট দেয়৷ পরে সাহারা দাবি করে তারা বিনিয়োগকারীদের ২০,০০০ কোটি টাকা মিটিয়ে দিয়েছে এবং ওই টাকার ৯০ শতাংশই দেওয়া হয়েছে নগদে৷ বিনিয়োগকারীদের এর পর যতটুকু পাওনা হয় তার চেয়ে বেশি টাকা (৫ ,১২০ কোটি টাকা) সাহারা দিয়ে রেখেছে সেবিকে৷ ফলে, সাহারার দুই সংস্থার কাছে বিনিয়োগকারীদের আর কোনও পাওনা নেই৷ এ দিকে বিনিয়োগকারীদের পাওনা না মেটানোয় ১৩ ফেব্রুয়ারি সাহারার দুই সংস্থা এবং সুব্রত রায় সহ বাকি ডিরেক্টরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ জারি করে সেবি৷ ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত নোটিশের প্রেক্ষিতেই ২৬ মার্চ সুব্রত রায় ও বাকি তিন ডিরেক্টরকে ১০ এপ্রিল সরেজমিনে হাজির হয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পত্তির হিসাব ও দলিল দস্তাবেজ দাখিল করার সমন পাঠানো হয়৷
'আমাকে সেবি জিজ্ঞাসা করে তাদের জানানোর মতো অন্য কোনও সম্পত্তি আমার আছে কিনা৷ আমি বলেছি আমার যা আছে তা সবই জানিয়েছি, এর বাইরে আমার আর কোনও সম্পত্তি নেই,' সুব্রত রায় এ দিন বলেন৷ সেবি-সাহারা বিবাদের কেন্দ্রবিন্দু হল তিন কোটি বিনিয়োগকারীর সঠিক পরিচয়৷ সাহারা সেবিকে বিনিয়োগকারীদের তথ্য ৩১ হাজার কার্টন ভর্তি ১২৮টি ট্রাকে করে পাঠায়৷ সেই তথ্য অনুযায়ী, ২০,০০০ বিনিয়োগকারীকে তাদের টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য সেবি চিঠি পাঠায়৷ কিন্তু, মাত্র ৬৮ জন সেবির চিঠির জবাব পাঠায়! সেবিকে দেওয়া সাহারার তথ্য অনুযায়ী বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারীর তল্লাস করে এনডিটিভি৷ নিউজ চ্যানেলটি জানিয়েছে তারা ওই নামের কোনও বিনিয়োগকারী বা নথিতে উল্লিখিত ঠিকানা খুঁজে পায়নি৷ এ দিন সুব্রত রায় বলেন, 'সেবি বলে আসছে বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টগুলো ভুয়ো৷ তথ্য অনুসন্ধান করে দেখার আগে কী করে সেবি এ কথা বলতে পারে? আমি তাদের অনুরোধ করেছি তথ্যের সত্যাসত্য যাচাই করতে সাহারা সেবিকে সাহায্য করতে প্রস্তুত৷ জানিনা, সেবি কী করবে৷ বিনিয়োগকারীদের তথ্য অনুসন্ধান করে দেখার চেয়ে সেবি সংবাদ মাধ্যমেই বেশি সময় কাটাচ্ছে৷' বাকি তিনজন ডিরেক্টর সাহারা ইন্ডিয়া রিয়েল এস্টেট কর্পোরেশন ও সাহারা হাউজিং কর্পোরেশন নিয়ে সেবির প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলেও সুব্রত রায় জানান৷ 'এক ঘণ্টার কথাবার্তা চলাকালীন আমাদের এক কাপ চাও দেয়নি সেবি৷ আমরা কিন্তু ওদের ৫,০০০ কোটি টাকা দিয়ে রেখেছি,' সুব্রত বক্রোক্তি করেন৷
সেই মত বুধবার দুপুরে সেবির দপ্তরে হাজির হন সুব্রত রায় এবং তাঁর তিন সঙ্গী৷ সাংবাদিকদের সুব্রত রায় বলেন, 'সেবির আধিকারিকেরা কেবল আমাদের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পত্তি নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করে, বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি৷ আমার ব্যক্তিগত কত সম্পত্তি আছে সেটাই যেন সেবির কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যার৷ ওরা আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি কত আছে জানতে চেয়ে আমায় ডেকে পাঠিয়েছিল এবং এটা জেনে ওরা হতভম্ব হয়ে গেছে যে আমার সোনা ও মূল্যবান পাথর আছে তিন কোটি টাকার, ব্যাঙ্কে নগদ আছে ৩৪ লক্ষ টাকা এবং ফিক্সড ডিপোজিট আছে ১.৫৯ কোটি টাকা৷ আমার কোনও স্থাবর সম্পত্তিও নেই৷ বাদাউলিতে একটা চিনি কল তৈরি করার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ১১ কোটি টাকা ধার নিয়েছিলাম, সেটা আছে৷' সাহারা গোষ্ঠীর আগের দাবির পুনরাবৃত্তি করেই সুব্রত রায় বলেন, 'বিনিয়োগকারীদের পাওনা টাকার ২০,০০০ কোটি টাকা আমরা মিটিয়ে দিয়েছি৷ বকেয়া ৫ ,১২০ কোটি টাকা সেবির কাছে জমা আছে৷ আমরা চাই বিনিয়োগকারীদের টাকা যত তাড়িতাড়ি সম্ভব ফিরিয়ে দিতে৷ সেবিই ওই টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছে না, অহেতুক দেরি করছে৷'
গত ৩১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট সাহারা গোষ্ঠীকে নির্দেশ দেয় সাহারার দুই সংস্থার প্রায় তিন কোটি বিনিয়োগকারীর পাওনা ২৪,০০০ কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে৷ টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টা তদারকি করার জন্য সেবিকে দায়িত্ব দেয় সর্বোচ্চ আদালত এবং আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি বি এন আগরওয়ালকে নিয়োগ করা হয় পুরো কাজটার দেখভাল করার জন্য৷ এর পর আরও সময় চেয়ে আবেদন করলে ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আলতামস কবীর সাহারাকে বিনিয়োগকারীদের পুরো পাওনা মিটিয়ে দিতে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ অবধি সময় দেন৷ এই শুনানি চলাকালীন সাহারা সেবিকে ৫,১২০ কোটি টাকার একটি ব্যাঙ্ক ড্রাফট দেয়৷ পরে সাহারা দাবি করে তারা বিনিয়োগকারীদের ২০,০০০ কোটি টাকা মিটিয়ে দিয়েছে এবং ওই টাকার ৯০ শতাংশই দেওয়া হয়েছে নগদে৷ বিনিয়োগকারীদের এর পর যতটুকু পাওনা হয় তার চেয়ে বেশি টাকা (৫ ,১২০ কোটি টাকা) সাহারা দিয়ে রেখেছে সেবিকে৷ ফলে, সাহারার দুই সংস্থার কাছে বিনিয়োগকারীদের আর কোনও পাওনা নেই৷ এ দিকে বিনিয়োগকারীদের পাওনা না মেটানোয় ১৩ ফেব্রুয়ারি সাহারার দুই সংস্থা এবং সুব্রত রায় সহ বাকি ডিরেক্টরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ জারি করে সেবি৷ ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত নোটিশের প্রেক্ষিতেই ২৬ মার্চ সুব্রত রায় ও বাকি তিন ডিরেক্টরকে ১০ এপ্রিল সরেজমিনে হাজির হয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পত্তির হিসাব ও দলিল দস্তাবেজ দাখিল করার সমন পাঠানো হয়৷
'আমাকে সেবি জিজ্ঞাসা করে তাদের জানানোর মতো অন্য কোনও সম্পত্তি আমার আছে কিনা৷ আমি বলেছি আমার যা আছে তা সবই জানিয়েছি, এর বাইরে আমার আর কোনও সম্পত্তি নেই,' সুব্রত রায় এ দিন বলেন৷ সেবি-সাহারা বিবাদের কেন্দ্রবিন্দু হল তিন কোটি বিনিয়োগকারীর সঠিক পরিচয়৷ সাহারা সেবিকে বিনিয়োগকারীদের তথ্য ৩১ হাজার কার্টন ভর্তি ১২৮টি ট্রাকে করে পাঠায়৷ সেই তথ্য অনুযায়ী, ২০,০০০ বিনিয়োগকারীকে তাদের টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য সেবি চিঠি পাঠায়৷ কিন্তু, মাত্র ৬৮ জন সেবির চিঠির জবাব পাঠায়! সেবিকে দেওয়া সাহারার তথ্য অনুযায়ী বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারীর তল্লাস করে এনডিটিভি৷ নিউজ চ্যানেলটি জানিয়েছে তারা ওই নামের কোনও বিনিয়োগকারী বা নথিতে উল্লিখিত ঠিকানা খুঁজে পায়নি৷ এ দিন সুব্রত রায় বলেন, 'সেবি বলে আসছে বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টগুলো ভুয়ো৷ তথ্য অনুসন্ধান করে দেখার আগে কী করে সেবি এ কথা বলতে পারে? আমি তাদের অনুরোধ করেছি তথ্যের সত্যাসত্য যাচাই করতে সাহারা সেবিকে সাহায্য করতে প্রস্তুত৷ জানিনা, সেবি কী করবে৷ বিনিয়োগকারীদের তথ্য অনুসন্ধান করে দেখার চেয়ে সেবি সংবাদ মাধ্যমেই বেশি সময় কাটাচ্ছে৷' বাকি তিনজন ডিরেক্টর সাহারা ইন্ডিয়া রিয়েল এস্টেট কর্পোরেশন ও সাহারা হাউজিং কর্পোরেশন নিয়ে সেবির প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলেও সুব্রত রায় জানান৷ 'এক ঘণ্টার কথাবার্তা চলাকালীন আমাদের এক কাপ চাও দেয়নি সেবি৷ আমরা কিন্তু ওদের ৫,০০০ কোটি টাকা দিয়ে রেখেছি,' সুব্রত বক্রোক্তি করেন৷
No comments:
Post a Comment