মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্যই তাঁর বিরুদ্ধে এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতিয়ার! কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে মমতা সরকারের জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানোই পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের পক্ষে যুক্তি জোগাচ্ছে কমিশনকে৷
আজ, মঙ্গলবার হাইকোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দায়ের মামলার ফের শুনানি রয়েছে৷ কমিশন সূত্রের খবর, ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এ দিনও সওয়াল করবেন তাদের আইনজীবী৷ আর সেই সওয়ালেই জঙ্গলমহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পেতে চলেছে৷ কমিশন মনে করছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার ফলেই জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে৷ তথ্যও বলছে, 'পরিবর্তনে'র পর মাওবাদী-প্রভাবিত তিন জেলায় শান্তি ফিরেছে৷ গত এক বছরে সেখানে মাওবাদীদের হাতে কেউ খুনও হননি৷ সরকার এ জন্য সাফল্যও দাবি করে৷ সেই দাবিকেই এ বার সরকারের বিরুদ্ধে মামলায় অস্ত্র করতে চলেছে কমিশন৷ জলপাই উর্দির উপস্থিতি ভোটের সময়ে আম-ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলেই মত কমিশনের৷
কিন্তু পুলিশই কি সে জন্য যথেষ্ট নয়? কমিশন মনে করছে, না৷ যুক্তি হিসাবে রাজ্যের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরতে চলেছে কমিশন৷ জঙ্গলমহল ছাড়া রাজ্যের বাকি অংশে আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যার জন্য পুলিশি ব্যর্থতাই অন্যতম কারণ হিসাবে মনে করছে কমিশন৷ আদালতের সওয়ালেও উঠে আসতে পারে সেই বক্তব্য৷ ক্রমবর্ধমান অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা-জনিত সমস্যার তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরেই বর্তমান অবস্থায় রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করা যে সম্ভব নয়--তা ব্যাখ্যা করতে চলেছে কমিশন৷ পাশাপাশি, মামলা চলাকালীন অবস্থাতেই শাসকদলের পক্ষ থেকে কমিশনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে যে ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে, তা যে অভিপ্রেত নয়, সেটাও আদালতে জানাবে কমিশন৷ কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতে যে হলফনামা পেশ করা হবে, তা নিয়ে আইনজীবী সমরাদিত্য পালের নিউ আলিপুরের বাড়িতে সোমবার দিনভর ম্যারাথন বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে-সহ কমিশনের অন্য আধিকারিকেরা৷
কিন্তু, সরকারের প্রস্তাব মতো কেন এ রাজ্যের পুলিশ বা অন্য রাজ্যের পুলিশ মোতায়েন করে ভোট করতে রাজি নয় কমিশন? নিয়ম অনুযায়ী, ভোটের আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের ফলপ্রকাশ পর্যন্ত কমিশনেরই আওতায় থাকে রাজ্যের পুলিশ৷ কিন্তু ভোটের সময়ে কড়া ব্যবস্থা নিলে পরবর্তীকালে সরকারের রোষে পড়ার ভয় থেকে যায় অনেক পুলিশকর্মীর মধ্যেই৷ আর সে কারণেই রাজ্যের পুলিশ দিয়ে অবাধ, স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ ভোট করা সম্ভব নয় বলে কমিশন মনে করছে৷ বাইরের রাজ্য থেকে পুলিশ আনলেও, তারা কাজ করবে এ রাজ্যের পুলিশের নেতৃত্বেই৷ ফলে সমস্যা থেকেই যাবে৷ অথচ, অবাধ, স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য কমিশনই মানুষের কাছে দায়বদ্ধ৷ সেই দায়বদ্ধতা থেকেই কমিশন বারে বারে সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছে৷
গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকেই কমিশন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করে৷ আইনশৃঙ্খলা-জনিত বিভিন্ন তথ্য নেওয়া ছাড়াও রাজ্যে কত সংখ্যক পুলিশকর্মী রয়েছেন, তারও হিসাব নেওয়া হয়৷ পরবর্তীকালে সরকারের পক্ষ থেকে যখন এ রাজ্যের পুলিশ দিয়ে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট করার কথা বলা হয়, তখন কেন তা অসম্ভব, তার যুক্তি দিতে গিয়ে কমিশন রাজ্যে পুলিশকর্মীর অপ্রতুলতার কথাও জানায়৷ পরে সরকার প্রয়োজনে অন্য রাজ্যের পুলিশ আনার কথা বললেও, তাতে রাজি নয় কমিশন৷ ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে তিন দফায় ভোট করার পক্ষেই তারা৷ তবে পর্যাপ্ত বাহিনী পাওয়া গেলে দফার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিতও আছে কমিশনের তরফে৷
আজ, মঙ্গলবার হাইকোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দায়ের মামলার ফের শুনানি রয়েছে৷ কমিশন সূত্রের খবর, ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এ দিনও সওয়াল করবেন তাদের আইনজীবী৷ আর সেই সওয়ালেই জঙ্গলমহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পেতে চলেছে৷ কমিশন মনে করছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার ফলেই জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে৷ তথ্যও বলছে, 'পরিবর্তনে'র পর মাওবাদী-প্রভাবিত তিন জেলায় শান্তি ফিরেছে৷ গত এক বছরে সেখানে মাওবাদীদের হাতে কেউ খুনও হননি৷ সরকার এ জন্য সাফল্যও দাবি করে৷ সেই দাবিকেই এ বার সরকারের বিরুদ্ধে মামলায় অস্ত্র করতে চলেছে কমিশন৷ জলপাই উর্দির উপস্থিতি ভোটের সময়ে আম-ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলেই মত কমিশনের৷
কিন্তু পুলিশই কি সে জন্য যথেষ্ট নয়? কমিশন মনে করছে, না৷ যুক্তি হিসাবে রাজ্যের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরতে চলেছে কমিশন৷ জঙ্গলমহল ছাড়া রাজ্যের বাকি অংশে আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যার জন্য পুলিশি ব্যর্থতাই অন্যতম কারণ হিসাবে মনে করছে কমিশন৷ আদালতের সওয়ালেও উঠে আসতে পারে সেই বক্তব্য৷ ক্রমবর্ধমান অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা-জনিত সমস্যার তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরেই বর্তমান অবস্থায় রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করা যে সম্ভব নয়--তা ব্যাখ্যা করতে চলেছে কমিশন৷ পাশাপাশি, মামলা চলাকালীন অবস্থাতেই শাসকদলের পক্ষ থেকে কমিশনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে যে ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে, তা যে অভিপ্রেত নয়, সেটাও আদালতে জানাবে কমিশন৷ কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতে যে হলফনামা পেশ করা হবে, তা নিয়ে আইনজীবী সমরাদিত্য পালের নিউ আলিপুরের বাড়িতে সোমবার দিনভর ম্যারাথন বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে-সহ কমিশনের অন্য আধিকারিকেরা৷
কিন্তু, সরকারের প্রস্তাব মতো কেন এ রাজ্যের পুলিশ বা অন্য রাজ্যের পুলিশ মোতায়েন করে ভোট করতে রাজি নয় কমিশন? নিয়ম অনুযায়ী, ভোটের আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের ফলপ্রকাশ পর্যন্ত কমিশনেরই আওতায় থাকে রাজ্যের পুলিশ৷ কিন্তু ভোটের সময়ে কড়া ব্যবস্থা নিলে পরবর্তীকালে সরকারের রোষে পড়ার ভয় থেকে যায় অনেক পুলিশকর্মীর মধ্যেই৷ আর সে কারণেই রাজ্যের পুলিশ দিয়ে অবাধ, স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ ভোট করা সম্ভব নয় বলে কমিশন মনে করছে৷ বাইরের রাজ্য থেকে পুলিশ আনলেও, তারা কাজ করবে এ রাজ্যের পুলিশের নেতৃত্বেই৷ ফলে সমস্যা থেকেই যাবে৷ অথচ, অবাধ, স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য কমিশনই মানুষের কাছে দায়বদ্ধ৷ সেই দায়বদ্ধতা থেকেই কমিশন বারে বারে সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছে৷
গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকেই কমিশন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করে৷ আইনশৃঙ্খলা-জনিত বিভিন্ন তথ্য নেওয়া ছাড়াও রাজ্যে কত সংখ্যক পুলিশকর্মী রয়েছেন, তারও হিসাব নেওয়া হয়৷ পরবর্তীকালে সরকারের পক্ষ থেকে যখন এ রাজ্যের পুলিশ দিয়ে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট করার কথা বলা হয়, তখন কেন তা অসম্ভব, তার যুক্তি দিতে গিয়ে কমিশন রাজ্যে পুলিশকর্মীর অপ্রতুলতার কথাও জানায়৷ পরে সরকার প্রয়োজনে অন্য রাজ্যের পুলিশ আনার কথা বললেও, তাতে রাজি নয় কমিশন৷ ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে তিন দফায় ভোট করার পক্ষেই তারা৷ তবে পর্যাপ্ত বাহিনী পাওয়া গেলে দফার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিতও আছে কমিশনের তরফে৷
No comments:
Post a Comment