আরও সংস্কারের ডাক চিদম্বরমের
এই সময়: টাকার ৬৬৷ চিদম্বরমের ১০৷
মঙ্গলবার ডলারের সাপেক্ষে টাকার দর ৬৬.২৪-এ পৌঁছে যাওয়ায় অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ১০-দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম৷ আরও আর্থিক সংস্কার, কয়লা এবং লৌহ আকরিক ক্ষেত্রের অচলাবস্থা কাটানো, উত্পাদন এবং রপ্তানি ক্ষেত্রকে গতি দেওয়া প্রভৃতির মাধ্যমে দেশের বৃদ্ধির হারকে ৮ শতাংশে নিয়ে যায়ওয়ার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী৷ এদিন লোকসভায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক বিতর্কে বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে চিদম্বরম বলেন, 'প্রচুর আর্থিক সংস্কার এবং মুক্ত বাণিজ্য নীতি চায়৷ নিয়ন্ত্রণ চাই না৷ প্রাথমিক ভাবে হয়তো কষ্ট হবে কিন্ত্ত শেষে আমরাই বিজয়ের হাসি হাসব৷'
রপ্তানি ক্ষেত্র চাঙ্গা করা, বিনিয়োগ ফিরিয়ে আনা, আর্থিক ঘাটতি ও চলতি খাতের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ, শিল্প এবং উত্পাদনের ঘুরে দাঁড়ানো, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রকল্প খাতে ব্যয়বৃদ্ধি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির পুঁজি বাড়ানো, ভালো বর্ষার জেরে কৃষিপণ্যের সঠিক ব্যবহার-১০ দফা নীতিতে এই বিষয়গুলিকেই ছুঁয়ে গিয়েছেন চিদম্বরম৷ পাশাপাশি, কয়লার যথাযথ সরবরাহ, লৌহ আকরিকের আমদানি, জমি অধিগ্রহণ ও পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড় প্রভৃতি সমস্যাগুলির উপরও বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷
মঙ্গলবার ৫৯০ পয়েন্ট খুইয়ে ১৭,৯৬৮ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে সেনসেক্স৷ ধসের মুখে দাঁড়িয়ে রাজ্যসভায় বাজারকে আশ্বস্ত করতে অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছেন, 'মাথা ঠাণ্ডা রেখে এগোতে হবে আমাদের৷ ধৈর্য ধরতে হবে৷ দৃঢ় মানসিকতা রাখতে হবে৷'
মঙ্গলবার দেশের বিনিময় ও শেয়ার বাজারে হাহাকার পড়ার পর পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে আসরে নামেন চিদম্বরম৷ এদিন সকালে সাংবাদিকদের তিনি জানান, টাকার অবমূল্যায়নে আন্তর্জাতিক কারণের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব 'ভুলও' রয়েছে৷ তাঁর মতে, ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত নেওয়া নীতির জেরে দেশের আর্থিক ঘাটতি ও চলতি খাতের ঘাটতি বেড়ে গিয়েছে৷ ২০০৮ সালের আন্তর্জাতিক আর্থিক সঙ্কটের হাত থেকে বাঁচতে ভারত সরকার 'আর্থিক ত্রাণ' ঘোষণা করে৷ যার জেরে দেশের ঊর্ধ্বমুখী বৃদ্ধি বজায় থাকে৷ কিন্ত্ত সেটার দাম চোকাতে গিয়ে আর্থিক ঘাটতি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের চলতি খাতের ঘাটতি ক্রমশ বেড়ে গিয়েছে৷
চিদম্বরমের ব্যাখ্যার আড়ালে কিন্ত্ত পূর্বতন অর্থমন্ত্রীর প্রতি একটু খোঁচা প্রকাশিত হল৷ ২০০৯ থেকে ২৬ জুন, ২০১২ পর্যন্ত দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ হয়তো চিদম্বরম বলতে চাইছেন তত্কালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নীতির ব্যর্থতাই এখন ভোগ করতে হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে৷
তবে চিদম্বরমের আশ্বাস আর্থিক ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আর্থিক সংহতিকরণের পথে হাঁটছে সরকার৷ আর্থিক ঘাটতিকে মোট অভ্যন্তরীণ উত্পাদনের ৪.৮ শতাংশে বেঁধে রাখতে প্রত্যয়ী অর্থমন্ত্রী৷ সোমবার লোকসভায় পাশ হয়ে খাদ্য সুরক্ষা বিল৷ এর জেরে প্রতি মাসে তিন টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল, এবং দু'টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি গম পাওয়া যাবে৷ বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, সামনের বছরই লোকসভা ভোট৷ সরকার এখন জনমোহিনী ঘোষণা করবেই৷ হয়তো অর্থনীতিকে উপেক্ষা করেই৷ বাজারের দাবি, খাদ্য সুরক্ষা বিলের জেরে সরকারের খাদ্য খাতে ভর্তুকি বাড়বে৷ এবং এর ফলে চলতি বর্ষে সরকারের আর্থিক ঘাটতি ৪.৮ শতাংশের বেশিই হবে৷ কিন্ত্ত অর্থমন্ত্রীর দাবি, আর্থিক ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেই খাদ্য বিলের রূপায়ণ হবে৷ সাধ্যের বাইরে গিয়ে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে না৷
আর্থিক ঘাটতির পাশাপাশি চলতি খাতের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের উপরও জোর দিয়েছেন চিদম্বরম৷ তিনি বলেছে, সিএডি এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে জারি হওয়া পদক্ষেপের বার্তা বাজারে ঠিকঠাক পৌঁছছে না৷ তাঁর কথায়, বিনিয়োগ এবং উত্পাদন বাড়লেই চলতি খাতের ঘাটতি আপন গতিতে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে৷ এদিন লোকসভাতেও অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি ইতিমধ্যেই ১.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২৭টি প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে৷ অর্থনীতির জন্য এটি অত্যন্ত সুখবর৷ চিদম্বরমের আশা, বিনিয়োগ মাথা তুলে চাইলেই চলতি খাতের ঘাটতি সাত হাজার কোটি ডলার বা জিডিপির ৩.৭ শতাংশে বাঁধা থাকবে৷ এপ্রিল-জুনে রপ্তানি নিম্নমুখী ছিল, কিন্ত্ত তা বছরের শেষে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশা থাকছে৷ সেরকমই বিমা-পেনশন-প্রতিরক্ষা থেকে আরও বিদেশি লগ্নি এবং কর ব্যবস্থার সরলীকরণ বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে বলে আশা৷
মঙ্গলবার ডলারের সাপেক্ষে টাকার দর ৬৬.২৪-এ পৌঁছে যাওয়ায় অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ১০-দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম৷ আরও আর্থিক সংস্কার, কয়লা এবং লৌহ আকরিক ক্ষেত্রের অচলাবস্থা কাটানো, উত্পাদন এবং রপ্তানি ক্ষেত্রকে গতি দেওয়া প্রভৃতির মাধ্যমে দেশের বৃদ্ধির হারকে ৮ শতাংশে নিয়ে যায়ওয়ার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী৷ এদিন লোকসভায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক বিতর্কে বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে চিদম্বরম বলেন, 'প্রচুর আর্থিক সংস্কার এবং মুক্ত বাণিজ্য নীতি চায়৷ নিয়ন্ত্রণ চাই না৷ প্রাথমিক ভাবে হয়তো কষ্ট হবে কিন্ত্ত শেষে আমরাই বিজয়ের হাসি হাসব৷'
রপ্তানি ক্ষেত্র চাঙ্গা করা, বিনিয়োগ ফিরিয়ে আনা, আর্থিক ঘাটতি ও চলতি খাতের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ, শিল্প এবং উত্পাদনের ঘুরে দাঁড়ানো, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রকল্প খাতে ব্যয়বৃদ্ধি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির পুঁজি বাড়ানো, ভালো বর্ষার জেরে কৃষিপণ্যের সঠিক ব্যবহার-১০ দফা নীতিতে এই বিষয়গুলিকেই ছুঁয়ে গিয়েছেন চিদম্বরম৷ পাশাপাশি, কয়লার যথাযথ সরবরাহ, লৌহ আকরিকের আমদানি, জমি অধিগ্রহণ ও পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড় প্রভৃতি সমস্যাগুলির উপরও বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷
মঙ্গলবার ৫৯০ পয়েন্ট খুইয়ে ১৭,৯৬৮ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে সেনসেক্স৷ ধসের মুখে দাঁড়িয়ে রাজ্যসভায় বাজারকে আশ্বস্ত করতে অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছেন, 'মাথা ঠাণ্ডা রেখে এগোতে হবে আমাদের৷ ধৈর্য ধরতে হবে৷ দৃঢ় মানসিকতা রাখতে হবে৷'
মঙ্গলবার দেশের বিনিময় ও শেয়ার বাজারে হাহাকার পড়ার পর পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে আসরে নামেন চিদম্বরম৷ এদিন সকালে সাংবাদিকদের তিনি জানান, টাকার অবমূল্যায়নে আন্তর্জাতিক কারণের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব 'ভুলও' রয়েছে৷ তাঁর মতে, ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত নেওয়া নীতির জেরে দেশের আর্থিক ঘাটতি ও চলতি খাতের ঘাটতি বেড়ে গিয়েছে৷ ২০০৮ সালের আন্তর্জাতিক আর্থিক সঙ্কটের হাত থেকে বাঁচতে ভারত সরকার 'আর্থিক ত্রাণ' ঘোষণা করে৷ যার জেরে দেশের ঊর্ধ্বমুখী বৃদ্ধি বজায় থাকে৷ কিন্ত্ত সেটার দাম চোকাতে গিয়ে আর্থিক ঘাটতি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের চলতি খাতের ঘাটতি ক্রমশ বেড়ে গিয়েছে৷
চিদম্বরমের ব্যাখ্যার আড়ালে কিন্ত্ত পূর্বতন অর্থমন্ত্রীর প্রতি একটু খোঁচা প্রকাশিত হল৷ ২০০৯ থেকে ২৬ জুন, ২০১২ পর্যন্ত দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ হয়তো চিদম্বরম বলতে চাইছেন তত্কালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নীতির ব্যর্থতাই এখন ভোগ করতে হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে৷
তবে চিদম্বরমের আশ্বাস আর্থিক ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আর্থিক সংহতিকরণের পথে হাঁটছে সরকার৷ আর্থিক ঘাটতিকে মোট অভ্যন্তরীণ উত্পাদনের ৪.৮ শতাংশে বেঁধে রাখতে প্রত্যয়ী অর্থমন্ত্রী৷ সোমবার লোকসভায় পাশ হয়ে খাদ্য সুরক্ষা বিল৷ এর জেরে প্রতি মাসে তিন টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল, এবং দু'টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি গম পাওয়া যাবে৷ বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, সামনের বছরই লোকসভা ভোট৷ সরকার এখন জনমোহিনী ঘোষণা করবেই৷ হয়তো অর্থনীতিকে উপেক্ষা করেই৷ বাজারের দাবি, খাদ্য সুরক্ষা বিলের জেরে সরকারের খাদ্য খাতে ভর্তুকি বাড়বে৷ এবং এর ফলে চলতি বর্ষে সরকারের আর্থিক ঘাটতি ৪.৮ শতাংশের বেশিই হবে৷ কিন্ত্ত অর্থমন্ত্রীর দাবি, আর্থিক ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেই খাদ্য বিলের রূপায়ণ হবে৷ সাধ্যের বাইরে গিয়ে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে না৷
আর্থিক ঘাটতির পাশাপাশি চলতি খাতের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের উপরও জোর দিয়েছেন চিদম্বরম৷ তিনি বলেছে, সিএডি এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে জারি হওয়া পদক্ষেপের বার্তা বাজারে ঠিকঠাক পৌঁছছে না৷ তাঁর কথায়, বিনিয়োগ এবং উত্পাদন বাড়লেই চলতি খাতের ঘাটতি আপন গতিতে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে৷ এদিন লোকসভাতেও অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি ইতিমধ্যেই ১.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২৭টি প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে৷ অর্থনীতির জন্য এটি অত্যন্ত সুখবর৷ চিদম্বরমের আশা, বিনিয়োগ মাথা তুলে চাইলেই চলতি খাতের ঘাটতি সাত হাজার কোটি ডলার বা জিডিপির ৩.৭ শতাংশে বাঁধা থাকবে৷ এপ্রিল-জুনে রপ্তানি নিম্নমুখী ছিল, কিন্ত্ত তা বছরের শেষে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশা থাকছে৷ সেরকমই বিমা-পেনশন-প্রতিরক্ষা থেকে আরও বিদেশি লগ্নি এবং কর ব্যবস্থার সরলীকরণ বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে বলে আশা৷
No comments:
Post a Comment