প্রশাসনের কাজে কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে 'পশ্চিমবঙ্গ জন-পরিষেবা অধিকার বিল, ২০১৩' আজ সোমবার বিধানসভায় পেশ করতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ এই বিল আইনে পরিণত হলে কতটা কর্মসংস্কৃতি ফিরবে, সেই প্রশ্নের থেকেও বড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশেই কি সরকার এই বিল আনছে? শাসক দল বিরোধী রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি এই বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে৷ তাদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে সরকার তার সমস্ত ব্যর্থতার দায় সরকারি কর্মচারীদের ঘাড়ে চাপানোর লক্ষ্যেই এই বিল আনছে৷ পাশাপাশি তারা প্রশ্ন তুলেছে, যেখানে প্রায় দেড় লক্ষ শূন্য পদ পড়ে রয়েছে, সেখানে কী করে সমস্ত কাজ সময়ের মধ্যে করা সম্ভব৷
ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (নবপর্যায়)-এর সাধারণ সম্পাদক সমীর মজুমদার বলেন, 'এই বিল আসলে ভণ্ডামি৷ লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশে সরকার এই বিল আনছে৷ কাজ না করলে সরকারি কর্মচারীদের শাস্তির বিধান সার্ভিস রুলে বলা আছে৷ এই বিলের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই৷ জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর দেখানো পথেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন দমন করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিল আনছেন৷' তাঁদের প্রশ্ন মন্ত্রী-আমলাদের ক্ষেত্রে কেন এই বিল প্রযোজ্য হবে না কেন?' তাঁর প্রশ্ন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন দু'বছরে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে, সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সহযোগিতা ছাড়া এই কাজ কী করে সম্পন্ন হল৷ বিলের বিরুদ্ধে অন্য সংগঠনগুলির সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলন করতে চাইছে নবপর্যায়৷
কংগ্রেস প্রভাবিত কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন বিলের বিরুদ্ধে যৌথ আন্দোলনে সিপিএম প্রভাবিত কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (ইউএসজিইএফ)-কেও পাশে পেতে চায়৷ সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক সঙ্কেত চক্রবর্তী বলেন, '১৯৭৭-এর তুলনায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে৷ অথচ, সরকার শূন্যপদ পূরণ না করে বিরোধী সংগঠনগুলিকে দমন করতে এই বিল আনছে৷ বিধানসভায় বিল পেশ হওয়ার পর আমরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব৷'আন্দোলনে নামার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কোঅর্ডিনেশন কমিটি৷ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিল দেখার পরেই এ ব্যাপারে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন৷ তিনি বলেন, 'পঞ্চাশ শতাংশ পদে লোক নেই৷ একজন কর্মচারীকে দু'জনের কাজ করতে হচ্ছে৷ এই অবস্থায় বিল এনে সরকার কর্মচারীদের শাস্তি দিতে চাইছে৷ কিন্ত্ত, বাড়তি কাজ না করার জন্য কোনও কর্মচারীকে শাস্তি দেওয়া যায় না৷'
এই বিলের ব্যাপারে তৃণমূলপন্থী ইউএসজিইএফ অবশ্য সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছে৷ সংগঠনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, 'সিপিএম ৩৪ বছরের শাসনে আসি যাই, মাইনে পাই মন্ত্র সরকারি কর্মচারীদের মজ্জায় ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছে৷ এই অবস্থায় প্রশাসনিক কাজে কর্মসংস্কৃতি ফেরাতেই সরকার এই বিল আনছে৷ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নানাবিধ সমস্যা আছে৷ তবে এটাও মনে রাখতে হবে মানুষের জন্য সরকার৷ তাই নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি পরিষেবা পাওয়াটা মানুষের অধিকার৷'
ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (নবপর্যায়)-এর সাধারণ সম্পাদক সমীর মজুমদার বলেন, 'এই বিল আসলে ভণ্ডামি৷ লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশে সরকার এই বিল আনছে৷ কাজ না করলে সরকারি কর্মচারীদের শাস্তির বিধান সার্ভিস রুলে বলা আছে৷ এই বিলের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই৷ জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর দেখানো পথেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন দমন করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিল আনছেন৷' তাঁদের প্রশ্ন মন্ত্রী-আমলাদের ক্ষেত্রে কেন এই বিল প্রযোজ্য হবে না কেন?' তাঁর প্রশ্ন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন দু'বছরে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে, সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সহযোগিতা ছাড়া এই কাজ কী করে সম্পন্ন হল৷ বিলের বিরুদ্ধে অন্য সংগঠনগুলির সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলন করতে চাইছে নবপর্যায়৷
কংগ্রেস প্রভাবিত কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন বিলের বিরুদ্ধে যৌথ আন্দোলনে সিপিএম প্রভাবিত কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (ইউএসজিইএফ)-কেও পাশে পেতে চায়৷ সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক সঙ্কেত চক্রবর্তী বলেন, '১৯৭৭-এর তুলনায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে৷ অথচ, সরকার শূন্যপদ পূরণ না করে বিরোধী সংগঠনগুলিকে দমন করতে এই বিল আনছে৷ বিধানসভায় বিল পেশ হওয়ার পর আমরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব৷'আন্দোলনে নামার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কোঅর্ডিনেশন কমিটি৷ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিল দেখার পরেই এ ব্যাপারে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন৷ তিনি বলেন, 'পঞ্চাশ শতাংশ পদে লোক নেই৷ একজন কর্মচারীকে দু'জনের কাজ করতে হচ্ছে৷ এই অবস্থায় বিল এনে সরকার কর্মচারীদের শাস্তি দিতে চাইছে৷ কিন্ত্ত, বাড়তি কাজ না করার জন্য কোনও কর্মচারীকে শাস্তি দেওয়া যায় না৷'
এই বিলের ব্যাপারে তৃণমূলপন্থী ইউএসজিইএফ অবশ্য সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছে৷ সংগঠনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, 'সিপিএম ৩৪ বছরের শাসনে আসি যাই, মাইনে পাই মন্ত্র সরকারি কর্মচারীদের মজ্জায় ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছে৷ এই অবস্থায় প্রশাসনিক কাজে কর্মসংস্কৃতি ফেরাতেই সরকার এই বিল আনছে৷ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নানাবিধ সমস্যা আছে৷ তবে এটাও মনে রাখতে হবে মানুষের জন্য সরকার৷ তাই নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি পরিষেবা পাওয়াটা মানুষের অধিকার৷'
No comments:
Post a Comment