Indian diplomacy begs help from washington as situation worsens in Bangladesh!
২০ দিনে নিহত ১০০ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশে
আজ মহান বিজয় দিবস
Palash Biswas
Indian diplomacy begs help from washington as situation worsens in Bangladesh.Meanwhile,at least four more deaths have been reported in Bangladesh as riots continue to surge following the execution of top opposition leader, Abdul Quader Molla.The political unrest in Bangladesh is showing no signs of subsiding.
Prime Minister Sheikh Hasina vowed to crack down on the violence on Sunday as opposition supporters torched houses and fought battles with officers during a third day of unrest, police said.
At least 25 people have been killed in clashes involving opposition, pro-government activists and police since Thursday, when Jamaat-e-Islami leader, Abdul Quader Molla, was put to death for crimes committed during the nation's independence war in 1971.
Members of the Jamaat-e-Islami party said the execution was politically motivated.
Molla's hanging triggered fresh unrest in Bangladesh, which was already reeling from political violence in the build-up to a deeply divisive national election scheduled for January 5.
India has weighed pressure on the US to play a positive role in light of the volatile political situation in Bangladesh, reports an Indian newspaper on its website.
The Anandabazar, through its source, reports that the South Block is disappointed about the White House's stance on Bangladesh and due to the significance of the situation the disappointment has been conveyed to the White House.
Indian Foreign Secretary Sujatha Singh discussed the current situation in Dhaka with her US counterpart Wendy Sherman during her recent visit to the country, says the report.
The South Block has explicitly told the US leadership that the West should help bring back the democratic and congenial environment in Bangladesh for the sake of the security of the entire South Asia.
But the Indian foreign ministry thinks that the US is yet to take any active measure to this end, says the report.
According to the newspaper, Indian government sources claim that the US believes Jamaat-e-Islami does not support terrorism; so if the party is allowed in the political arena, it will help combat extremist Taliban supporters. The US also thinks BNP believes in their (US) principles to a good extent and if it assumes power, it will be easier for the US to access Bangladeshi market. On strategic issue, BNP is more preferred by the US, says the report.
However, New Delhi has been trying to convince the US of the fact that the situation of Bangladesh is gradually going out of hand due to the destructive activities of Jamaat.
Spokesperson of the Indian Foreign Ministry Syed Akbaruddin said, "We believe that as the people of a democratic nation Bangladeshi politicians will resolve their differences through dialogue."
Meanwhile, New Delhi fears that a large number of refugees may intrude into the country, says the report, adding that they are also worried that the huge amount of money channelled through Islami Bank to the Islamist organisations in Bangladesh, including Jamaat-e-Islami, might have a negative impact across the borders as well.
As per the report, 5,000 extra BSF men (Border Security Force) have been deployed along the Indian frontier. Border state West Bengal is also worried about the issue. Its Chief Minister Mamata Banerjee has taken steps in this matter. The DG of the state police has beefed up vigilance in the border areas as per her orders.
রাজনৈতিক সহিংসতায় গত ২০ দিনে সারা দেশে ১০৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে গতকাল রোববার নিহত হন আটজন। তাঁদের মধ্যে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে চারজন, জয়পুরহাটে তিনজন ও লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে একজন নিহত হন। এ ছাড়া গত শনিবার নারায়ণগঞ্জে আহত রাসেল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা গেছেন।
এই ২০ দিনে নাশকতায় রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়েছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে যানবাহন, ঘরবাড়ি, দোকান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।
নির্বাচন কমিশন গত ২৫ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে তিন দিনের রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। এরপর শুরু হয় সহিংসতা, নাশকতা। ৩০ নভেম্বর থেকে ১৩১ ঘণ্টা এবং ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ছয়টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। এ সময় নিহত হন ৭৫ জন।
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর রাতে। সেই রাতে তা স্থগিত হয় এবং রায় কার্যকর হয় বৃহস্পতিবার রাতে। ওই রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল পর্যন্ত সহিংসতায় প্রাণ হারান ৩০ জন। রায় কার্যকরের প্রতিবাদে জামায়াত গতকালও সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছিল।
লালমনিরহাটে চারজন নিহত: প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল সাতটার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সরেয়ার বাজারে লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কে হরতাল-সমর্থকেরা যানবাহন ভাঙচুর শুরু করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁরা ককটেল ছোড়েন। এ সময় উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ উপজেলা শিবিরের সভাপতি মনিরুল ইসলাম (২৫) ও কর্মী আবদুর রহিমকে (২৬) পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়। গুলিবিদ্ধ শিবিরের কর্মী সাজু মিয়াকে (২২) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান।
সংঘর্ষের জেরে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সরেয়ার বাজার এলাকায় পাটগ্রাম পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আনসার-ভিডিপির কমান্ডার আমিনুর রহমানের চালকল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদের এলাহী ও তাঁর পাঁচ ভাইয়ের বাড়ি এবং জাতীয় পার্টির উপজেলা আহ্বায়ক কুদরত এলাহীর বাড়িসহ ১৫টি বাড়িতে আগুন দেয় জামায়াত-শিবির। কুদরতের বাড়িতে একটি মাইক্রোবাসেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর করা হয় ২০টি বাড়ি ও দোকানে।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সঙ্গে পাটগ্রাম পৌর এলাকা থেকে ঘটনাস্থলে যান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আগুন নিভিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ চলে যাওয়ার পর জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালালে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মিন্টুকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হন পৌর আওয়ামী লীগের দুজন নেতা। এর জেরে বুড়িমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আছির উদ্দিনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জামায়াতের নেতা এরশাদ হোসেনের বাড়ি ও দোকান এবং পাটগ্রাম পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি রানার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেন, পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি ছোড়ে।
লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কের পাটগ্রামের বাউরা রেলগেট থেকে মমিনপুর কবরস্থান পর্যন্ত অন্তত আট কিলোমিটারজুড়ে গাছ কেটে ও নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। সরেয়ার বাজার ও বাউরা স্টেশন এলাকায় রেললাইনের ক্লিপ খুলে ফেলায় সকাল থেকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাটগ্রামে বেলা তিনটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
জয়পুরহাটে সংঘর্ষে নিহত ৩: বেলা আড়াইটায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল বাজার এলাকায় জয়পুরহাট-বগুড়া সড়ক অবরোধ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যালকনিতে পাঁচটি পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ হরতালকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা হালট্টিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ককটেল, ইটপাটকেল ও তির ছোড়েন। জবাবে পুলিশ ও র্যাব কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হালট্টি গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ হোসেন, ইনছান আলী ও জলাটুল গ্রামের শাকিব হোসেন নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন আরও ছয়জন। সংঘর্ষের পর জয়পুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
জয়পুরহাট শহর জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি আবদুল মোমিন ফকির দাবি করেন, হতাহত ব্যক্তিরা তাঁদের কর্মী।
ছাত্রলীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ভাঁটের মসজিদ এলাকায় বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলামকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা ও ছাত্রলীগের কর্মী মাসুদ হোসেনকে জখম করে। নিহতের পরিবার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দাবি, জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে মিরাজকে হত্যা করেছে।
মিরাজ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ লোকজন সন্ধ্যা সাতটায় জামায়াতের নেতাদের মালিকানাধীন পৌরসভার মিরগঞ্জের আইডিয়াল স্কুল পুড়িয়ে দেয়।
রায়পুর পৌর জামায়াতের আমির ইসমাইল হোসেন বলেন, জামায়াত-শিবির এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের সানারপাড়ে শনিবার জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত রাসেল ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা গেছেন।
বিভিন্ন স্থানে নাশকতা, অগ্নিসংযোগ: গত শনিবার রাতে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায় সিরাজগঞ্জ-সদানন্দপুর সড়কের কোনাগাতি বেইলি সেতুর একটি পাটাতন খুলে ফেলেন হরতাল-সমর্থকেরা। রাত পৌনে দুইটার দিকে ওই সেতু পার হওয়ার সময় পণ্যবাহী দুটি ট্রাক খাদে পড়ে যায়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা নলকা বেইলি সেতুর পাটাতন খোলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ছাড়া ভোররাত পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার বাঐতারায় বেইলি সেতুর চারটি পাটাতন খুলে ফেলেন তাঁরা। সেখানে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। বেলা ১১টায় খোকশাবাড়ীতে পিকেটাররা পুলিশের পিকআপে ককটেল ছুড়লে দুই কনস্টেবল আহত হন।
চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের সদর উপজেলার বোয়ালমারীতে গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে জামায়াত-শিবির। রংপুরের পীরগাছায় শনিবার রাতে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে রেললাইন পাহারায় নিয়োজিত চার আনসার সদস্যকে হাত-পা বেঁধে ২৫২ ফুট রেললাইনের ফিশ প্লেট ও ক্লিপ উপড়ে ফেলে। এতে একটি টহল ট্রেন লাইনচ্যুত হয় এবং ভোর থেকে দিনাজপুর-ঢাকা, লালমনিরহাট-সান্তাহার ও ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
রাজশাহীর বিনোদপুরসহ ছয়টি স্থানে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। কাটাখালীতে সংঘর্ষের পর পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি পাইপগান উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার রাতে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা সদরে জামায়াত-শিবির দোকানপাট ভাঙচুর ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। আওয়ামী লীগ-সমর্থকদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও গুলিবিনিময়ে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। ভোররাতে আটঘরিয়ার সঞ্জয়পুর কলাবাগান এলাকায় একটি বাসে আগুন দেয় জামায়াত-শিবির।
দিনাজপুরের পাঁচবাড়ীতে শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় একটি ধানবোঝাই ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়।
সকালে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের আদাজুড়ি ও ভৈরমপুর বেইলি সেতুর দুই পাশের রাস্তা কেটে যান চলাচল বন্ধ করে দেন জামায়াতের কর্মীরা। দুপুরে সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার মল্লিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছে সর্বজনীন কালী ও শিতলামন্দির আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মাগুরার শালিখা উপজেলার রামানন্দপুরে শনিবার রাত দুইটার পর হরতাল-সমর্থকেরা তুলাবোঝাই একটি ট্রাক আগুনে পুড়িয়ে দেন।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছদাহা ইউনিয়নে শনিবার রাতে শিবিরের কর্মীরা যুবলীগের নেতা মোহাম্মদ রফিকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেন। গতকাল তাঁরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়কে সবজিবাহী ট্রাকসহ ১৭টি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
সকালে গাজীপুর মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করে রাস্তায় অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের ১০ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জামায়াত-শিবির।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিরা]
Warning signs
Independent United Nations experts Urged the Bangladeshi government to postpone Molla's hanging, citing concerns that he did not receive a fair trial, according to a UN press release.
"The execution of Molla could trigger further violence and unrest that has been agitating the country in the recent months," said Christof Heyns, Special Rapporteur on summary executions in the UN press release.
Opposition parties have demanded that the government resign and hand over power to an independent caretaker to oversee January's vote.
Molla was one of five opposition leaders and other politicians sentenced to death by the International Crimes Tribunal, which was set up in 2009 to investigate crimes of genocide committed in 1971 during the Bangladesh Liberation War.
Some 250 people have been killed in street protests since January, when the first verdicts of the tribunal were handed down.
India must seek meaningful democracy in Bangladesh
- See more at: http://www.canindia.com/2013/12/i
These are turbulent times in Bangladesh. As the South Asian country plunges into a disturbing political imbroglio, all eyes are set on the position India is likely to take.
Without being overtly vocal about its sentiments, India is traditionally known to have a soft corner for a Sheikh Hasina-led Awami league. However, in the changing landscape, India would do well to adopt a more neutral approach, more so because the coming elections are perceived to be state-controlled.
Bangladesh goes to polls Jan 5 amid growing unrest and question marks on the integrity of the election process. Following months of protests, strikes and blockades, the Khaleda Zia-led opposition party BNP formally announced a boycott of the election citing unfair conditions.
Zia has repeatedly said the poll process should be conducted under a non-party neutral caretaker administration. Zia's demand for a level-playing field has been dismissed by Hasina, an action perceived as autocratic by many. A June 2011 decision to rewrite the constitution now appears to be a blunt power grab, letting the government run the 2014 general election by scrapping a "caretaker" arrangement.
Opinion polls, including one commissioned by the Awami League, reflect overwhelming public support for elections under a neutral government, and not under an all-party umbrella where the Awami League enjoys superiority in number. There is no doubt that if Bangladesh goes to polls with Hasina as the premier, BNP will be adversely and unjustly affected.
India cannot afford to be seen as keeping a blind eye to the destructive brinkmanship. The Indian leadership needs to adopt a non-partisan stand and push for a "constructive dialogue" between the major political parties and against any election excluding the main opposition party. India must go beyond its traditional stated stand and not pursue a "one-friend policy" in Bangladesh. The ramifications for maintaining a hardened, soft approach towards the incumbent government could easily portray the UPA as divisive among the minority Indians in Bangladesh. India could do without the anti-India suspicion and resentment among ordinary Bangladeshis.
The Bangladesh government, as a party to the International Covenant on Civil and Political Rights, has an obligation to take administrative, legislative and judicial initiatives to guarantee the rights of the people. Sadly, it is not agreeing to create a level-playing ground for the general election. The authorities appear to be determined to hold a farcical election, excluding the major parties. The excuse of "protecting the constitution" is not going to solve the problem on the ground. India must design its policy based on the facts, not sentimental association and fears of radical uprising.
The UN has intervened and urged the government to organise an inclusive and fair election, free of violence, to help Bangladeshis exercise their mandate and India needs to undertake a similar stand.
With respect to support to democracy and its processes, India should be invested more in the political process that leads to free, fair and credible elections. If India puts undue impetus on the outcome, which is ultimately not in its control, its image might take a substantial hit in the international community.
Hasina will have to address the critical question of an interim government that both the parties could live with. Otherwise, can Hasina be trusted to deliver free and fair elections? Unless a negotiated resolution of the predicament emerges, the spectre of imposition of national emergency looms large.
নূরের গাড়িতে হামলা
এলাকার বাইরে থেকে সশস্ত্র কর্মী আনে জামায়াত
সুত্রঃ প্রথম আলো
নীলফামারীর রামগঞ্জ বাজারে সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলাটি ছিল পরিকল্পিত। জামায়াত -শিবির বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের সশস্ত্র কর্মীদের জড়ো করে এই বর্বরোচিত হামলা চালায়। এতে পাঁচজন নিহত ও শতাধিক লোক আহত হন।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, শনিবারের ওই হামলার সময় এলাকার বাইরের অনেক অচেনা মুখ দেখা গেছে। এ ঘটনায় যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের দুজনই পাশের উপজেলা থেকে আসা। তাঁরা হলেন সৈয়দপুর উপজেলা শহরের মিস্ত্রিপাড়ার আবদুল ওয়াহেদ (৩২), সৈয়দপুরের নিয়ামতপুরের মকলেছুর রহমান (৪২) ও জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের সুখধন গ্রামের হাসান আলী মিঞা (৬৫)। তিনজনই জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় কর্মী।
প্রথম আলোর সৈয়দপুর প্রতিনিধি জানান, মকলেছুর সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের রোকন এবং ওয়াহেদ জামায়াত পরিচালিত আল ফারুক একাডেমির শিক্ষক।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা খবর পেয়েছেন যে কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা সংগঠিত হয়ে এখানে এসে হামলা করেছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা দেড় হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে শনিবার রাতেই মামলা করেছে পুলিশ। ওই রাতে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
আহতদের অবস্থা: আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা হলেন নীলফামারী সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শহিদুল ইসলাম (৬০) ও মীরগঞ্জ এলাকার লিমন (২৫)।
শহিদুল ইসলামের এক পায়ের রগ কেটে দিয়েছে হামলাকারীরা। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। লিমনের মাথাসহ শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আমিন, কলেজপাড়ার রুহুল আমিন, দিঘলডাঙ্গীর হাবিবুর রহমান, বাইশপুকুরের বক্কর, ডোমারের হান্নান, বারেক ভরসা, শুকানপুকুর এলাকার জাহেদুল, বালাপাড়ার জ্যোতিষ ও শান্তিনগর এলাকার মানিক চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতালের উপপরিচালক গোলাম মোস্তফা জানান, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নীলফামারী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩০ জন। তাঁরা সবাই আওয়ামী ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্য।
গতকাল রোববার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও রামগঞ্জ বাজারের পরিস্থিতি ছিল থমথমে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। জ্বালিয়ে দেওয়া ৩৫টি মোটরসাইকেলের খোলস রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ ও বিজিবি টহল দিচ্ছে।
আসাদুজ্জামান নূর এ ঘটনাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর নীলফামারীর পলাশবাড়ী ও লক্ষ্মীচাপে জামায়াত-শিবির হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালায়। আগুনে পুড়িয়ে দেয় ঘরবাড়ি, হাটবাজার। তাদের নির্যাতনে নারীরা বাড়িতে রাত্রিযাপন করতে পারছেন না। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শনিবারের ঘটনায় টুপামারী ইউনিয়নের কৃষক লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ শাহ, ছাত্রলীগের কর্মী মুরাদ শাহ ও আওয়ামী লীগের কর্মী লেবু মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে জামায়াত-শিবির। নিহত অপর ব্যক্তি আবু বক্কর সিদ্দিক লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের সরমুদ্দিন মাহমুদের ছেলে। তিনি পেশায় বাঁশ বিক্রেতা। তিনি জামায়াত বা বিএনপির কর্মী নন। পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। এ সময় পুলিশের গাড়ির চাপায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, পলাশবাড়ীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ আলী প্রামাণিক ও তাঁর চাচাকে জামায়াত-শিবির প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এসব ঘটনা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তিনি মনে করেন, প্রশাসন শৈথিল্য দেখিয়েছে। তারা আরও সতর্ক হলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটত না।
জানাজা: নিহত চার নেতা-কর্মীর জানাজা গতকাল রাত সাড়ে সাতটায় নীলফামারী শহরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা সঞ্চৃতি অম্লান চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। আসাদুজ্জামান নূর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনসহ দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয় মানুষ এতে অংশ নেন। টুপামারী গ্রামে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ মহান বিজয় দিবসজাতীয় জীবনে ঘোর অনিশ্চয়তা থাকলেও আজ ভোরে পুব আকাশে যে নতুন সূর্য উঠবে তা স্মরণ করিয়ে দেবে দিনটি গৌরবের, আনন্দের, বিজয়ের। জাতীয় স্মৃতিসৌধে গতকাল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ষ ছবি: আবীর আবদুল্লাহবাঙালি জাতির জীবনে আজ এক আনন্দের দিন। এমনি এক দিনের প্রতীক্ষায় কেটেছে বাঙালির হাজারো বছর। বহু কাঙ্ক্ষিত সেই দিনটির দেখা মিলেছিল ইতিহাসের পাতায় রক্তিম আখরে লেখা এক সংগ্রামের শেষে ১৯৭১ সালে, ১৬ ডিসেম্বর। ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ৪২ বছর আগের এদিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে। স্বাক্ষর করেছিল পরাজয়ের সনদে। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়ের দিনটিতে আনন্দের পাশাপাশি বেদনাও বাজবে বাঙালির বুকে। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করবে জানা-অজানা সেসব শহীদকে। যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করে পেরিয়ে গেল ৪২ বছর। কিন্তু যারা সেই সংগ্রামের উত্তাল দিনে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে হাত মিলিয়েছিল ঘাতক পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে, সেই রাজাকার-আলবদরদের বিচার না করার কলঙ্ক যেন অনেকটাই ম্লান করেছিল জাতির এই শ্রেষ্ঠ অর্জনকে। দিনে দিনে গণদাবিতে পরিণত হয়ে ওঠা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ অবশেষে শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার মাস ২০১০ সালের মার্চে। এ বছর 'মিরপুরের কসাই' বলে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করায় সেই কলঙ্কের দায় মুক্তির সূচনা ঘটেছে। জাতির বিজয়ের আনন্দে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। তবে জাতীয় সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে বিদ্যমান অস্থির পরিস্থিতি এবং যুদ্ধাপরাধের সাজা কার্যকর করার পর থেকে সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের সহিংস তৎপরতা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এ পরিস্থিতিতেই পালিত হচ্ছে এবার বিজয় উৎসব।
স্বাধীনতা অর্জিত হলেও গত ৪২ বছর জাতির চলার পথ মসৃণ ছিল না কখনো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়া, দারিদ্য ও দুর্নীতি থেকে মুক্তির সংগ্রামের পাশাপাশি একইভাবে চলেছে সামরিক শাসন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, যুদ্ধাপরাধের বিচার, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ আন্দোলন। এসব আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যেই মোকাবিলা করতে হয়েছে প্রবল বন্যা, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের। এই বন্ধুর পথপরিক্রমায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। কিন্তু শত বাধা-প্রতিবন্ধকতাতেও হতোদ্যম হয়নি এ দেশের মানুষ। হারায়নি সাহস। লাল-সবুজ পাতাকা উড়িয়ে অব্যাহত আছে বাঙালির এগিয়ে যাওয়া।
আজ সকাল থেকেই সারা দেশে পথে নামবে উৎসবমুখর মানুষ। শহীদদের স্মরণ করে বিনম্র শ্রদ্ধায় দেশের সব স্মৃতিসৌধ ভরিয়ে দেবে ফুলে ফুলে। রাজধানীতে সব বয়সী অগণিত মানুষ সমবেত হবে সভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। শ্রদ্ধার ফুলে ঢেকে যাবে সৌধের বেদি।
লাল-সবুজ পতাকা উড়বে আজ বাড়িতে ও গড়িতে, সব প্রতিষ্ঠানে। মাথায় থাকবে পতাকার রঙে রাঙা ফিতা। পতাকার রঙের পোশাকও থাকবে উৎসবে শামিল অনেকের পরনে। পতাকায় সজ্জিত করা হবে রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ। আজ সরকারি ছুটি। রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবনে করা হবে আলোকসজ্জা। হাসপাতাল, শিশুসদন ও কারাগারগুলোতে পরিবেশন করা হবে বিশেষ খাবার।
বাণী: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।
কর্মসূচি: বরাবরের মতোই এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালনের বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, ঢাকায় ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক দেবেন। বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মিলিত হবেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সূর্যোদয়ের সময় দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ, ভোর ছয়টা ৪০ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আটটায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের কর্মসূচি নিয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকেও সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনী নিয়োজিত থাকায় এ বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না।
র্যাব-পুলিশ বিশেষ অভিযানে নামছে, সহায়তা করবে বিজিবি
কঠোর অবস্থানে সরকার
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, রেলপথে বা মহাসড়কে যারা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যারা হরতাল ডেকেছে এবং এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে মদদ দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় কৌশল প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যেকোনো উপায়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সরকারের এসব নির্দেশনা মানতে প্রশাসন ও পুলিশকে সহায়তা করতে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দলীয় নেতা-কর্মী বা জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতি পাওয়া গেলে তাদের দায়ী করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পুলিশ-র্যাব-বিজিবি-আনসারকে সমষ্টিগতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পিত সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা নিয়ে আলোচনা হয়। কয়েকজন মন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এভাবে আর কতদিন চলবে? মাসের পর মাস তো এভাবে চলতে পারে না। চোরাগোপ্তা হামলা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সংস্থার এক পদস্থ কর্মকর্তা প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, সরকার মনে করছে এ ব্যবস্থায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। কিন্তু মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, পরিস্থিতি বর্তমানের চেয়ে খারাপ হলে তা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কি না তা নিয়ে খোদ পুলিশের ভেতরেই সংশয় রয়েছে।
তবে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যা সামাল দেওয়া পুলিশের পক্ষে অসম্ভব। তাঁর দাবি, পুলিশ কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
এদিকে, গতকালই পুলিশের এক ডিআইজি, দুই অতিরিক্ত ডিআইজি ও পাঁচ পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রেলওয়ের ডিআইজি ও অতিরিক্ত ডিআইজি, সাতক্ষীরা ও দিনাজপুরের পুলিশ সুপারও আছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সারা দেশে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ কিছুই করতে পারছে না। কোথাও কোথাও পুলিশ সদস্যরা সহিংসতায় জড়ানোর ভয়ে হাত গুটিয়ে বসে আছেন। ঘটনা না ঘটলে পুলিশ আর বের হচ্ছে না। ঢাকার পুলিশ কর্মকর্তারা নানা কৌশল নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তার পরও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না। সর্বশেষ গত শুক্রবার খোদ রাজধানীতেও তাণ্ডব চালান জামায়াত-শিবির কর্মীরা। পুলিশ এঁদের ভিডিও চিত্র দেখে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
সাতক্ষীরায় অভিযান: সাতক্ষীরা থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের কর্মী সন্দেহে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার রাত ১১টার দিকে কলারোয়া উপজেলা সদরের একটি ঢাকাগামী বাস কাউন্টার থেকে তাঁদের আটক করা হয়। আটক করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কলারোয়ার চারজন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা খান জানান, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে শনিবার রাত ১১টার দিকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে কলারোয়া সদরের এসপি গোল্ডেন নামের একটি পরিবহন সংস্থার ঢাকাগামী বাস কাউন্টার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এঁদের সাতজনকে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও পাঁচজনকে গাছ কেটে অবরোধ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড
ত্রিদেশীয় দিল্লিচুক্তি বাতিল করুন
বিখ্যাত চেক লেখক মিলান কুন্দেরা তাঁর দ্য বুক অব লাফটার অ্যান্ড ফরগটেন (১৯৭৯)-এ লিখেছেন, 'বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী নির্বিচার হত্যাকাণ্ড আলেন্দেকে ভুলিয়েছে। সিনাই মরুভূমির যুদ্ধের হট্টগোলে বাংলাদেশের আর্তনাদ নিমজ্জিত হয়েছে।... এভাবেই প্রত্যেকে পুরোপুরি ভুলে না যাওয়া পর্যন্ত চলছে এবং চলছে তো চলছে।'
বিশ্ব একাত্তরের গণহত্যা বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যেতে দিয়েছে। এখন মনে করার চেষ্টাও করে না। লন্ডন সেমিনার সম্পর্কে প্রথম আলোয় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদের ১৪ ডিসেম্বরের প্রতিবেদনটি তারই সাক্ষ্য দিচ্ছে। তবু ভালো, সেখানকার বুদ্ধিজীবীরা সমস্বরে তা স্বীকার করেছেন। বিচারহীনতার চেয়ে বিস্মৃতি আরও ভয়ংকর। জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী অংশের দায় আরও গর্হিত। কারণ, তারা গণহত্যা অস্বীকার করে চলেছে।
প্রিন্সটন অধ্যাপক গ্যারি জে বাসের ফরগটেন জেনোসাইড বইয়ের প্রচ্ছদে অর্চার ব্লাডের একটি টেলিগ্রাম মুদ্রিত হয়েছে। একাত্তরের মার্চের এই টেলিগ্রামের শিরোনাম 'সিলেকটিভ জেনোসাইড'। আমি লক্ষ করি, তিনি তাঁর বইয়ের শিরোনামে ফরগটেন জেনোসাইড লিখলেও তিনি ব্লাডের 'সিলেকটিভ' শব্দটিকে গুরুত্ব দেন। ৫৮ পৃষ্ঠায় তিনি লিখেন, ক্ষুব্ধ ব্লাড একটি ঝুঁকিপূর্ণ শিরোনাম দিয়ে তারবার্তা পাঠান। তিনি আইনজীবী ছিলেন না। কিন্তু 'সিলেকটিভ জেনোসাইড' শব্দটি ব্যবহার করেন, যা ঝাঁকুনি দেয়। পররাষ্ট্র দপ্তরের তারবার্তার যে সান্ত্বনাদায়ক মেজাজ থাকে, তাকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়। বাস ফুটনোটে লিখেন, জেনোসাইড কনভেনশন গণহত্যাকে সংজ্ঞায়িত করেছে। হত্যাযজ্ঞ বা নিপীড়ন চালানো হয় একটি জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত কিংবা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে। তাই ব্লাডের 'বেছে বেছে গণহত্যা' সঠিক ব্যবহার।
একাত্তরের গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে জাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। নিক্সন-কিসিঞ্জারের ভূমিকার জন্য আমেরিকা নীরবই থাকবে? তাদের নীরবতাও পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ও জামায়াতকে শক্তি দিচ্ছে। একাত্তরের ২৯ মার্চ ব্যাংকক ডেটলাইনে ওয়াশিংটন পোস্ট-এ সেলিন এস হ্যারিসন লিখেছেন, পঞ্চাশের দশকে পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র যখন সমরাস্ত্র সরবরাহ শুরু করে, তখন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসে ঘরোয়াভাবে সতর্ক করেছিলেন যে, এসব অস্ত্র একদিন বাঙালির আকাঙ্ক্ষা দমনেই ব্যবহূত হবে।
১৮ মে ১৯৭১, মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে বাঙালি হত্যায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গিয়ে হ্যারিসনের ওই প্রতিবেদনটির বরাত দিয়েছিলেন সিনেটর চার্চ। একই দিনে কংগ্রেস নথিবদ্ধ করে ১৬ মে ১৯৭১, ম্যালকম ডব্লিউ ব্রাউনের নিউইয়র্ক টাইমস-এর রিপোর্ট: 'সৈন্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের তাড়া করেছে এবং ঠান্ডা মাথায় তাদের সপরিবারে হত্যা করেছে।' ৭ জুন ১৯৭১, নিউইয়র্ক টাইমস-এ অ্যান্থনি লিউস লিখেছেন, 'পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ "সিলেকটিভ"। বুদ্ধিজীবী এবং সমাজের জনমত গঠনকারী অংশ—চিকিৎসক, অধ্যাপক, ছাত্র ও লেখকেরাই টার্গেট।' নিক্সন-কিসিঞ্জাররা এর প্রতি চোখ মুদে ছিলেন। কিন্তু ওবামা-কেরি চোখ খুলেছেন তার প্রমাণ কী?
১০ জুন ১৯৭১, সিনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির শুনানিতে অনর্গল বাংলা বলতে পারা হার্ভার্ডের মেডিকেল স্কুল স্নাতক জন রোড বলেন, 'আমি ২৫ মার্চ রাতে ঢাকার রাস্তায় ট্যাংকবহরে আমেরিকান এম-২৪ প্যাটনস দেখেছি।' কিসিঞ্জার গণহত্যাকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেছিলেন। আর কখনো এ নিয়ে কথা বলেননি। মনে হচ্ছে, তাঁর নেতৃত্বাধীন এককেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা নীরবতা দিয়ে তারই অনুকূলে বিরতিকাল মানছে। এই নীরবতাও একটি অদৃশ্য শৃঙ্খলবেড়ি। এটা ভাঙতে হবে।
মার্কিন কংগ্রেস রেকর্ডে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের সানডে টাইমস-এ ১৩ জুন, '৭১ লেখা দেখলাম। তিনি লিখেন, 'টিক্কা খান ঢাকায় ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দপ্তরে আমাকে বলেন, তিনটি নীতি বাস্তবায়ন করছেন তিনি ১. বাঙালিরা "অবিশ্বস্ত"। তাই পশ্চিম পাকিস্তানিরাই তাদের শাসন করবে ২. বাঙালিদের ইসলামীকরণ করতে হবে ৩. হিন্দুনিধন ও নির্মূলের পর তাদের সম্পদ দরিদ্র মুসলিমদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ...ইয়াহিয়া ও টিক্কা তাদের এ রকম কর্মসূচির প্রতি এ পর্যন্ত বাঙালি আইনজীবী মৌলভি ফরিদ আহমেদ, ফজলুল কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের অধ্যাপক গোলাম আযমের সমর্থন পেয়েছেন।' [জুলাই ৮, ১৯৭১, কংগ্রেশনাল রেকর্ড, পৃ. ২৪০৯৯]
২০১০ সালের অক্টোবরে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস ছাপে অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান গারলেকের বই 'এক্সট্রিমলি ভায়োলেন্ট সোসাইটিজ: মাস ভায়োলেন্স ইন দ্য টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ওয়ার্ল্ড'। গারলেক সুইজারল্যান্ডের বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ইতিহাস পড়ান। জার্নাল অব জেনোসাইড রিসার্চের সহযোগী সম্পাদক। আমি তাঁকে লিখি: আপনি লিখেছেন, 'অর্চার ব্লাড অস্বীকার করেছেন যে পাকিস্তান আর্মি পূর্ব পাকিস্তান থেকে বুদ্ধিজীবী নির্মূলে পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছিল।' বললাম, 'আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত অন্য কোথাও লিখেছেন কি?' গত ১৬ আগস্টে পাওয়া অধ্যাপক গারলেকের উত্তর: 'প্রাপ্তিসাধ্য তথ্যসমূহ এটা নিশ্চিত করে না যে, পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তবে বুদ্ধিজীবীসহ নিহতদের সংখ্যা নির্ধারণ এবং হত্যাকাণ্ড ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর বসতি স্থানান্তরের মধ্যকার তফাত দেখানোসংক্রান্ত একটি পেপার আমি তৈরি করেছি। আসন্ন একটি সম্মেলনে তা পেশ করা হবে।' আমার মনে হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সংবেদনশীলতা সৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ।
গারলেক তাঁর বইয়ের ১৩৪ পৃষ্ঠায় অবশ্য লিখেছেন, 'একাত্তরের ডিসেম্বরে ঢাকা, খুলনা, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৮০ জন পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবী এবং সিভিল সার্ভেন্টদের অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় যারা ঘটিয়েছে, তারা হলো প্যারা মিলিটারি আলবদর।'
মাসকারেনহাস লিখেছেন, '২৫ মার্চের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত গণহত্যার ক্যাম্পেইন চলে। এর লক্ষ্য ছিল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বাঙালি বুদ্ধিজীবী।'
আর এই গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে সজাগ করতে দুটি বাধা আগে দূর করা দরকার। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও জামায়াতকে দিয়ে এর দায় স্বীকার করানো।
১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দীকে ছেড়ে দিতে ১৯৭৪ সালে দিল্লিতে যে চুক্তি হয়েছিল, তার টিকে থাকা একটি বাধা। জামায়াতের কাছে দিল্লিচুক্তি একটি বর্ম। দিল্লিচুক্তির ১৩ ধারায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আজিজ আহমেদ নিতান্ত দায়সারা একটি উক্তি করেন। তিনি বলেন, 'যদি অপরাধ ঘটে থাকে, তার জন্য পাকিস্তান সরকার নিন্দা ও গভীর অনুশোচনা করে।' এর জবাবে বাংলাদেশ ১৫ ধারায় বলেছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা ও ভুলে যাওয়ার আবেদন জানানোর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ১৯৫ জনের বিচার না করার সিদ্ধান্ত নিল। কোনো রাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বিশ্বমানবতার প্রতি এটি একটি নিষ্ঠুর রসিকতা।
দিল্লিচুক্তি দায়মুক্তি গণ্য হলে সেসব ধারা বাতিল করতে হবে। এ চুক্তির সামনে ছিলেন মিসরের আনোয়ার সাদত, পেছনে কিসিঞ্জার। ওই সময়ে মধ্যপ্রাচ্য কূটনীতিতে সাদত কিসিঞ্জারের জানি দোস্ত হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি আমার অনুসন্ধানলব্ধ প্রাথমিক অনুমান হলো, বঙ্গবন্ধুকে ওআইসি সম্মেলনে নেওয়ার পেছনে কিসিঞ্জারের হাত উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোরে ওআইসি সম্মেলন ও তার দুই মাস পরেই দিল্লিতে চুক্তি হলো। ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার যাতে না হয়, সে জন্য কিসিঞ্জার-মাও সেতুং পণ করেছিলেন। এই তথ্য অনালোচিত যে দিল্লিচুক্তিটা কায়রোতে সারতে সাদত ইন্দিরা গান্ধীকে মিসরে আমন্ত্রণ জানান। বিস্মিত ইন্দিরা তা নাকচ করেন। তখন ভুট্টোসহ মুসলিম দেশগুলোর স্বীকৃতি আদায় পেয়েছিল সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই ১৯৭৩ সালের আইনে বিচার না করতে বঙ্গবন্ধু আপস করেন। তবে এটি ভয়েড অ্যাবিনিশিও বা জন্ম থেকে বাতিল চুক্তি। ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে আগে তা বাতিল করতে হবে। তবে ভারতের নাগরিক সমাজের প্রতি আবেদন, তারা যেন ওই চুক্তির মানবতাবিরোধী অংশ বাতিলে সোচ্চার হয়। উপমহাদেশে শান্তির নামে গণহত্যার দায়মুক্তি-সংবলিত চুক্তি থাকতে পারে না। ড. কামাল হোসেন, শরণ সিং ও আজিজ আহমেদ নিজ নিজ দেশের সংবিধান পরিপন্থী ও এখতিয়ারবহির্ভূত চুক্তি করেছিলেন। এ বিষয়ে গলা ফাটিয়ে বিশ্বকে বলার আগে বাংলাদেশের সংসদের উচিত দিল্লিচুক্তিটা প্রথমেই নাকচ করা। (শেষ)
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
2013 Shahbag protests
It has been suggested that Timeline of the 2013 Shahbag protests be merged into this article. (Discuss) Proposed since March 2013. |
This article contains special characters.Without proper rendering support, you may see question marks, boxes, or other symbols. |
2013 Shahbag protests | |
---|---|
Demonstrators in Shahbag in February 2013 | |
Date | February 2013 |
Location | Bangladesh (began at Shahbagh Square,Dhaka) 23°44′18″N 90°23′45″ECoordinates: 23°44′18″N 90°23′45″E |
Causes |
|
Methods |
The 2013 Shahbag protests, associated with a central neighbourhood of Dhaka,Bangladesh, began on February 5, 2013 and later spread to other parts of Bangladesh, as people demanded capital punishment for Abdul Quader Mollah, who had been sentenced to life imprisonment, and for others convicted of war crimes by the International Crimes Tribunal.[5][6] On that day, the International Crimes Tribunal had sentenced Abdul Quader Mollah to life in prison after he was convicted on five of six counts of war crimes.[7][8] Later demands included banning the Bangladesh Jamaat-e-Islami party from politics and a boycott of institutions supporting (or affiliated with) the party.[9]
Protesters considered Mollah's sentence too lenient, given his crimes.[10][11]Bloggers and online activists called for additional protests at Shahbag.[12][13]Tens of thousands of people joined the demonstration, which gave rise to protests across the country.[14] By mid-April, their numbers had declined, and the original protest site is now clear.[15]
A counter-protest, demanding release of those accused and convicted, was launched by Jamaat-e-Islami as its leaders were the majority of those first identified for trial. The Bangladesh Nationalist Party (BNP) initially expressed its support for Jamaat-e-Islami, a principal political ally.[16] But, the BNP cautiously welcomed the Shahbag protest, while warning the government not to make political mileage from a movement demanding capital punishment for war criminals.[17]
During the protests, Ahmed Rajib Haider, a pro-Shahbag blogger, was brutally killed outside his house by machete-wielding youth.[18] On March 2, five Jamaat-Shibir activists were arrested; they 'confessed' involvement in Rajib's killing, though independent verification and investigation is not possible at this stage.[19][20][21] On February 27, 2013, the tribunal convicted Delwar Hossain Sayeedi of war crimes and sentenced him to death. Jamaat followers protested and there were violent clashes with police. About 60 people were killed in the confrontations; most were Jamaat-Shibir activists, and others were police and civilians.[22]
Contents
[hide]Historical context[edit]
In 1971 Bangladesh was the portion of the Islamic Republic of Pakistan known as East Pakistan. In the 1971 Liberation War of Bangladesh, East Pakistan fought West Pakistan for nine months. During this period the Indian Army which provided guerrilla training to freedom fighters of Mukti Bahini, joined the war on December 3, 1971 in support of the liberation of East Pakistan. Armed conflict ended on December 16, 1971 through surrender of the Pakistani Armed Forces to India, resulting in the formation of The People's Republic of Bangladesh as a free, secular and independent state.
According to the famous Blood Telegram from the US Dacca consulate to the State Department, many atrocities had been committed by the Pakistan Army and its supporter Razakars and Al-Badar militia.[23][24][25] Time reported a high-ranking U.S. official as saying, "It is the most incredible, calculated killing since the days of the Nazis in Poland."[26] Estimates are that one to three million people were killed, nearly a quarter of a million women were raped and more than ten million people fled to India to escape persecution.[27][28]
A paramilitary force known as the Razakars was created by the May 1971 Razakar Ordinance promulgated by Tikka Khan, the governor of East Pakistan. The ordinance stipulated the creation of a volunteer force, trained and equipped by the provincial government.[29]Razakar (Bengali: রাজাকার) comes from رضاکار (razākār, the Urdu word for "volunteer"). However, it became a derogatory term in the Bengali language due to the widespread killings of civilians and atrocities committed by the paramilitary during the war. The war criminals, mostly young men, were never brought to trial, since Bangladesh needed to bargain with Pakistan for the return of 200,000 Bengalis stranded in Pakistan at the end of the war.[citation needed]
The majority of East Pakistanis supported the call to create a free and independent Bangladesh during the Liberation War. A small number of Pakistani supporters and members of fundamentalist political parties, particularly Jamaat-e-Islami (JEI) and its student wingIslami Chatra Sangha (ICS, Bengali: ইসলামী ছাত্র সঙ্ঘ Islami Chhatro Shônggho), the Muslim League, the Pakistan Democratic Party (PDP) Council and Nejam-e-Islami, collaborated with the Pakistani army to resist the formation of an independent Bangladesh. The students belonging to Islami Chatra Sangha were known as the Al-Badr force; people belonging to Jamaat-e-Islami, Muslim League, Nizam-e-Islami and similar groups were called Al-Shams, and the Urdu-speaking people (generally known as Bihari) were known as Al-Mujahid.[30]
International Crimes Tribunal (ICT) of 2010[edit]
Since 2000, there has been an increasing demand in Bangladesh for justice related to war crimes committed during the 1971 struggle; the issue was central to the 2008 general election.[31][32] The Awami League-led, 14-party Grand Alliance included this issue in its election manifesto.[33] Its rival, four-party alliance (which included the BNP and Jamaat-e-Islami) had several leaders alleged to have committed war crimes.[34] The former freedom fighters and sector commanders of the liberation war pleaded with the public not to vote for alleged war criminals in the election.[35]
The Grand Alliance won the election (held on December 29, 2008) with a two-thirds majority, based in part on its promise to prosecute alleged war criminals.[36][37][38] On 29 January 2009 the new Parliament unanimously passed a resolution to prosecute war criminals.[39] The government intended to use the 1973 law: the International Crimes (Tribunals) Act.[40] The government worked to amend the law, updating it and incorporating other nations' experience.[41][42][43] The amendments provided for the trial of individuals and political parties that had worked against the liberation of Bangladesh. The government was empowered to appeal tribunal decisions.[43]
On March 25, 2010, the Awami-led government announced the formation of a three-member tribunal, a seven-member investigation agency, and a twelve-member prosecution team to conduct the trials under the ICT Act 1973.[33][44] The panel of three judges included Fazle Kabir and Zahir Ahmed, with Mohammed Nizamul Huq as chairman.[45] Abdul Matin, Abdur Rahim, Kutubur Rahman, Shamsul Arefin, Mir Shahidul Islam, Nurul Islam and M. Abdur Razzak Khan were appointed to assist the state prosecutors.[46] Golam Arif Tipu was named Chief Prosecutor. Others prosecutors were Syed Rezaur Rahman, Golam Hasnayen, Rana Das Gupta, Zahirul Huq, Nurul Islam Sujan, Syed Haider Ali, Khandaker Abdul Mannan, Mosharraf Hossain Kajal, Ziad Al-Malum, Sanjida Khanom and Sultan Mahmud Semon.[46]
Verdicts[edit]
A formal charge was filed by the prosecution against Abdul Quader Mollah on 18 December 2011.[47] He was charged with:[47]
- The Pallab murder
- Killing pro-liberation poet Meherunnesa, her mother and two brothers
- The Khandoker Abu Taleb killing
- The Ghatar Char and Bhawal Khan Bari killings
- The Alubdi mass killing (344 people)
- The rape and murder of Hazrat Ali and his family
On 5 February 2013, the ICT found Mollah guilty of crimes against humanity.[7][48] He was sentenced to life imprisonment for the Alubdi and Ali killings and 15 years each for the Pallab, Meherunnesa and Taleb murders.[47] The day before the verdict was announced, Bangladesh Jamaat-e-Islami, the Islamist political party (of which Mollah is a leader), announced a nationwide dawn-to-dusk general strike for 5 February in protest of their leader's conviction.[49][50]
Many citizens (especially young people) were outraged that, given his crimes, Mollah was sentenced to life imprisonment rather than death.[10][11] The verdict was criticized in social media, and a peaceful demonstration began at Shahbagh Square in Dhaka.[51]
Protesters' demands[edit]
Over several days, protesters increased their demands, asking for:
- Death penalty for Mollah[1][52][53]
- Death sentence for those convicted of war crimes by the International War Crimes Tribunal[54][55][56]
- A ban of Jamaat from Bangladeshi politics[2][3]
- A boycott of Jamaat institutions[57]
Oath of Shahbag Square movement[edit]
We swear an oath that the leadership of the mass of people from the Gonojagaran Mancha (National Awakening Stage) will continue the movement from Teknaf to Tetulia until capital punishment is handed down to those Razakar and Al-Badr members who committed crimes against humanity like mass killing and rape in 1971. We take the oath that we will remain vocal, both on the streets and online, until the politics of the war criminals, Jamaat and Shibir, is banned and the citizenship of their members cancelled. We further take the oath that we will continue this demonstration and keep demanding trials, under a special tribunal, of those Razakars and Al-Badr activists who were convicted, and under trial, but freed after 1975. We swear that we will boycott the war criminals' business entities -- Islami Bank, Ibn Sina, Focus, Retina and various other coaching centres. We know through these they collect money to continue with their anti-liberation activities. We will also boycott the academic and cultural organisations through which they are spreading anti-liberation sentiments among the children. In brief, we will work for banning all the business, social and cultural organisations belonging to Razakars and Al-Badr activists. We swear that we will continue with our demand for stringent punishment of Jamaat and Shibir, who have committed crimes of sedition by threatening civil war, after making their immediate arrest by recognising them through video footage of news and newspaper pictures. We swear that we will boycott war criminals' mass media like Diganta Television, Daily Naya Diganta, Amar Desh, The Daily Sangram, Sonar Bangla Blog. We will not subscribe to the newspapers of the war criminals at any office or house. At the same time, we request the pro-liberation mass media to boycott the war criminals and their accomplices.[58]
Development[edit]
Origins[edit]
Protest began right after the verdict was announced. Student organizations started the protest immediately after the Judgement in the Shahbag square that was the actual call for people to gather in the Shahbag square within half an hour of the Judgement. It took half an hour to spread out the call for protest through different social media and later the satellite TV channels. BOAN and some other social and cultural organizations called for different programmes in the same venue who later worked together. [59] Demonstrators gathered at Shahbag Circle (or Projonmo Chottor); they painted murals on the road, drew cartoons, hanged effigies of war-crimes suspects and chanted slogans, with a vow to continue demonstrating until their demands were met.
On 7 February, demonstrations began at 8 am. Thousands of people gathered with banners, posters, Bangladeshi flags and placards in Shahbag with their demands.[60] On Friday afternoon, a mass rally was held at Shahbag with an estimated attendance of more than 100,000.[61]
On 12 February, protesters observed three minutes of silence at 4 pm at Shahbag and all across Bangladesh.[62] In Dhaka, traffic was stopped as thousands of people took to the streets, formed human chains and stood in silence. A Bangladesh Premier League game at the Sher-e-Bangla National Stadium halted for three minutes, as players and supporters observed the silence. Parliamentarians and the police also joined the protest.[63] Bengali singer Kabir Suman wrote a song entitled "Tin Minit" ("Three Minutes") in honor of the silent protest.[64][65]
Further developments[edit]
On 21 February, International Mother Language Day, the number of protesters reached a new high. Its leadership declared 26 March 2013, the Independence Day of Bangladesh, as the deadline for the government to ban Jamaat-e-Islami from politics.[66]
The government did not ban Jamaat-e-Islam from politics after the deadline was over. Seven protesters calling themselves the Shaheed Rumi Squad began a fast until death on 26 March at 10:30 pm in front of the National Museum, protesting "inadequate government action" to ban Jamaat in response to the Shahbagh protesters' ultimatum.[67] The fasters said at a press briefing that they would send an open letter to Prime Minister Hasina during the 100th hour of their protests.[68] More than 100 organisations expressed solidarity with the hunger strikers.[69]
Sentencing of Delwar Hossain Sayeedi[edit]
On 28 February the International Crimes Tribunal sentenced Delwar Hossain Sayeedi, Nayeb-e-Ameer (vice president) of Jamaat-e-Islami,[70] to death for convictions on 8 out of 20 charges of war crimes and crimes against humanity committed during the 1971 Bangladesh Liberation War.[71] The protesters celebrated the sentence.[72] "This verdict is a victory for the people", declared spokes person of the organizers Imran H. Sarker.[72] Attorney General Mahbubey Alam said, "It's a victory day, it's a day of joy. Through this verdict, the nation is seeing the resurgence of liberation war spirits."[73] Sayeedi was the most senior official convicted by the tribunal, and the third person overall.[74]
Counter-demonstrations[edit]
Jamaat followers were enraged by the decision, claiming that the case against Sayeedi was politically motivated. His lawyer, Abdur Razzaq, accused authorities of preventing a key witness from testifying and intentionally slanting the process.[72] "This is a perverse judgment. It is inconceivable that a court of law awarded him a conviction. This prosecution was for a political purpose", Razzaq said.[72] Jamaat quickly called for a nationwide two-day strike, to start on 3 March.[73] By afternoon, violence led by Jamaat-e-Islami supporters had erupted across Bangladesh.[72] "The Jamaat-e-Islami is fighting for its political survival", said a spokesperson.[73] By the end of the day thirty-five people were dead, including three police officers;[73] an additional eight hundred were injured.[73] According to the BBC, it marked "the worst day of political violence in Bangladesh in decades".[74]
Clashes between police and Jamaat-e-Islami workers continued on 1 March, spreading to the northern districts of Gaibandha andChapai Nawabganj.[74] Opposition leader Khaleda Zia criticized government "brutality" and Jamaat called for a demonstration in the capital, Dhaka. Security measures were increased to prevent the situation from escalating.[74] The death toll rose to forty-four (including six policemen).[72] Former prime minister and BNP member Khaleda Zia declared a nationwide dawn-to-dusk hartal for 5 March, and called for countrywide rallies on 2 March to protest what she called government corruption, misrule, oppression, and "mass killings".[75]
Violent conflict continued on 2 March, with another four deaths and hundreds of injuries.[75] In Chittangong district police opened fire on Jamaat-e-Islami protesters, leading to three deaths.[75] In Nilphamari, a young person died in a clash between protestors and police.[75]
On 3 March, violence continued as the Jamaat-organized strike began. In Bogra Jamaat supporters attacked police outposts with sticks and homemade bombs, leading to at least eight deaths.[22] In Godagari two deaths were reported in a similar incident,[22] and three deaths were reported in the Joypurhat district.[22] Violence continued in Chittangong as well, where Jamaat claimed that police opened fire without provocation. The government denied the charge, saying that violence against citizens and police would not be tolerated; three deaths were reported.[22] "People in the street are very, very afraid of Jamaat-e-Islam. I am scared", reported an eyewitness in Dhaka.[22] Jamaat supporters singled out Hindu citizens, attacked their homes in many parts of the country, and torched Hindu temples.[76][77][78][79] More than 40 temples and many statues were destroyed and scores of houses set ablaze, leaving hundreds of people homeless throughout the country.
Amnesty International has urged the Bangladeshi government to provide better protection for minority Hindus. Abbas Faiz, the organisation's Bangladesh researcher, has noted that the attacks on the Hindu community were predicted and it was shocking that people were attacked because of their religion.[80][81] Attacks on Hindu communities had been widespread during the 1971 war.
On 5 May, Hefazot-e-Islam protesters, aided by Bangladesh Jamaat-e-Islami and its youth wing Chatra Shibir, did violent protest activities in Dhaka that included arson, vandalism and burning of books.[82][83] The protesters from Hifazat-e-Islam fought with police. Later, the government indicated an official death toll of 11. However, a grave digger said he had counted 14 bodies with beards.[84]
Reactions[edit]
Domestic response[edit]
The Shahbag protest has attracted people from all social strata to its cause.[6] The Shahbag intersection at the center of the protests has been referred to as "Generation Circle" (Bengali: প্রজন্ম চত্ত্বর Projônmo Chôttor) or "Shahbag Square", in a nod to the events which unfolded in Tahrir Square, Cairo.[1] The protest spread from Shahbag to other parts of the country, with sit-ins and demonstrations in Chittagong, Sylhet,Barisal, Mymensingh, Khulna, Rajbari, Rajshahi, Rangpur, Comilla, Bogra,Narayanganj, Sunamganj, Noakhali and Narsingdi.[85][86][87][88]
a participant, Amiruddin Ahmed remarked, "After coming here I have realised that the national flag is secure at the hands of our children". Members of the 1971 "Golden Generation" found fresh inspiration in Projônmo Chôttor.[89] Writer Muhammed Zafar Iqbal, noting the large youth participation, said, "I am here to offer my apology to you. I wrote in newspapers that the new generation only hits 'Like' on Facebook and writes on blogs, but does not take to the streets. You have proved me wrong and I thank you all for this".[90][91] Dhaka University Vice Chancellor Arefin Siddique said, "Today is a movement to make the country free from razakars. The country needs to be freed from razakars'hands. Capital punishment of the razakars is a demand of the country's 16 crore people".[92] Jahangirnagar University Vice-ChancellorM. Anwar Hossain said, "The people of Bangladesh have rejected the verdict. At Projonmo Chottor, we join our hands to make a clear statement, to give a call to all countrymen to unite and oust the anti-liberation forces from the soil".[92]
Political response[edit]
State Minister for Law, Quamrul Islam, said that the verdict against Abdul Quader Mollah could have been different if people had taken to the streets sooner.[93] The government is planning to file appeals with the Supreme Court contesting the sentence for Mollah.[94] On 11 February the Cabinet approved proposed amendments to the International Crimes (Tribunals) Act 1973, introducing a provision for plaintiffs to appeal verdicts handed down by the tribunal. This amendment, if passed, would enable the state to appeal Mollah's life sentence.[95]
Jamaat-e-Islami, which was already staging protests against the impending trial of its leaders, called for a general strike.[96] Jamaat continues to demand that the international war crimes tribunal be stopped and its party leaders freed. Jamaat supporters had staged nationwide demonstrations with increasing frequency from November 2012 to February 2013, demanding the release of its leaders.[97][98] Actions included firing gunshots, smashing and setting fire to vehicles and detonating homemade bombs.[99][100][101][102]Violence was targeted at police stationed in the capital, Dhaka, and major cities such as Rajshahi,[102] Cox's Bazar,[103]Chittagong,[104] Rangpur,[105] Dinajpur[106] and Khulna.[107][108] Several Jamaat-Shibir activists were arrested during the strikes and confrontations with police.[107][104]
Reaction from Bangladeshis abroad[edit]
Bangladeshis abroad have expressed solidarity with the protestors through social media websites Facebook and Twitter.[51] Demonstrations of solidarity have also taken place in Australia,[109] Malaysia,[110] Thailand,[111]Germany,[112] and the United States.
Bangladeshis in New York City joined in a symbolic protest on 9 February at Diversity Plaza in Jackson Heights.[113] A mass sit-in was organized by the Bangladeshi community in Sydney on 10 February at the International Mother Language Monument in Sydney Ashfield Park.[114] At a rally at the Angel Statue in Melbourne, demonstrators signed a petition to Bangladeshi Prime Minister Sheikh Hasina demanding death for war criminals.[115] Bangladeshis in Taiwan also expressed their solidarity with the Shahbag protests on 10 February.[citation needed]
On 10 February, Bangladeshi students gathered at Rutgers University in New Jersey to express solidarity with the Shahbag protests. Bangladeshi residents joined the students to express their support.[citation needed] Bangladeshi students at the University of Delawareand nearby residents demonstrated their solidarity with the Shahbag movement on 15 February at a busy intersection in Newark, Delaware. A candlelight vigil was held that evening for Rajib, a blogger and activist who was killed several hours before the demonstration.[116]
In London, protesters at Altab Ali Park in solidarity for Shahbag were attacked by Jamaat-e-Islami supporters. Protests are held at the park every week by both sides.[117]
International response[edit]
On 18 February British Foreign Office minister Sayeeda Warsi hailed the Shahbagh Square protests, describing them as peaceful, productive and non-violent.[118][119] An article in the Fletcher Forum of World Affairs by Suzannah Linton on 27 February expressed concern about "bloodlust in Bangladesh" and called on the international community to steer the process towards international standards.[120]
Media coverage[edit]
Domestic[edit]
While most media outlets followed the protests from the start, some pro-Jamaat-e-Islami news outlets reported them as a "well-orchestrated play made by the government".[citation needed] In Sreemangal, Moulvibazar cable operators in solidarity with the protests have stopped broadcasting the pro-Bangladesh Jamaat-e-Islami television channel Diganta Television.[121]
International[edit]
The BBC,[122] CNN,[123] Yahoo! News,[124] Reuters,[85] Al Jazeera,[125] The New York Times,[126] The Independent[127] and others have published stories on the protests;BBC Bangla has been closely following the events.[128][129] Reuters photographer Andrew Biraj published "live" photos of mass demonstrations at Shahbag.[130]
Social media[edit]
Facebook[edit]
Facebook, the most popular social-networking site in Bangladesh, has played an important role in spreading news worldwide about events at Shahbag.[131][132] A Facebook event was created calling for a protest at Shahbag; the human chain which went viral on 5 February 2013.[133] Facebook continues to be the main source of information about Shahbag protests.[131][132]
Twitter[edit]
Bangladeshis used the Twitter hashtag #shahbag to provide live updates of the movement.[134][135]
Outcome[edit]
The demonstration put pressure on the government to amend the International Crimes Tribunal Act so war criminals "can be swiftly executed if convicted".[136] The cabinet also set a 60-day limit for the Supreme Court's Appellate Division to rule on appeals, to keep the cases moving. This means that those who have been convicted and sentenced to death could be executed this year if their verdicts survive appeal.[136] In response to popular protests, Jute and Textiles Minister Abdul Latif Siddiqui said on 12 February that a bill is being drafted to ban Jamaat-e-Islami from Bangladeshi politics.[137]
On September 17, 2013, Bangladesh Supreme Court found Abdul Quader Molla guilty of murders and other war crimes and ordered his execution, converting his life sentence to death sentence.[138]
Photos[edit]
In Bangladesh | ||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
Outside Bangladesh | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
See also[edit]
Wikimedia Commons has media related to 2013 Shahbag Protest. |
References[edit]
- ^ ab c "Huge Bangladesh rally seeks death penalty for War Crimes". BBC. 8 February 2013. Retrieved 9 February 2013.
- ^ ab "Shahbagh grand rally demands ban on Jamaat", The Daily Star, 9 February 2013
- ^ ab "Cry for Jamaat ban". Bdnews24.com. 8 February 2013. Retrieved 9 February 2013.
- ^ "Vow to boycott Jamaat institutions", The Daily Star, 9 February 2013
- ^ "THE INTERNATIONAL CRIMES (TRIBUNALS) ACT, 1973".bdlaws.minlaw.gov.bd. Retrieved 1 March 2013.
- ^ ab "Protesters demand death for Bangladesh war crimes Islamist". Reuters. 6 February 2013. Retrieved 8 February 2013.
- ^ ab "Summary of verdict in Quader Mollah case", The Daily Star, 6 February 2013
- ^ Rabbi, Saimul Islam (16 Feb 2013). "Bangladesh 1971: War Crimes, Genocide and Crimes against Humanity". BD News 24.
- ^ Rahman, Mashiur (28 February). "Analysis: Calls grow for banning Jamaat-e-Islami in BD". The Express Tribune. Retrieved 1 March 2013.
- ^ ab "OUTRAGED", The Daily Star, 6 February 2013
- ^ ab "Verdict surprises some top jurists", The Daily Star, 7 February 2013
- ^ "Bangladesh's rising voices". Aljazeera. 19 February 2013. Retrieved 21 February 2013.
- ^ "Compilation of Shahbag Movement: A new Sun Uplifts".Priyo.com. Monday, February 11, 2013.
- ^ "Outrage explodes over verdict", The Daily Star, 7 February 2013
- ^ "Violent strikes continue in Bangladesh". Al Jazeera English. 2013-03-07. Retrieved 2013-04-17.
- ^ "Bangladesh war crimes trial: Key defendants". BBC. Wednesday, January 21, 2012. Retrieved 22 February 2013.
- ^ "BNP cautiously welcomes Shahbag protests".BDNews24.com. Wednesday, February 13, 2013. Retrieved 13 February 2013.
- ^ "Shahbagh protest to go relentless". bdnews24.com. Friday, February 15, 2013. Retrieved 15 February 2013.
- ^ "Four more killed in Bangladesh; 57 dead since January".The Times of India. 2 March 2013. Retrieved 2 March 2013.
- ^ "Shibir man behind blogger killing". The Daily Star. 2 March 2013. Retrieved 2 March 2013.
- ^ "5 detainees admit Shibir man behind Rajib murder".banglanews24. Retrieved 2 March 2013.
- ^ ab c d e f "Bangladesh deaths rise as Jamaat protest strike begins". BBC. 3 March 2013. Retrieved 3 March 2013.
- ^ Telegram 959 From the US Consulate General in Dacca to the US Department of State, March 28, 1971, 0540Z
- ^ Telegram 978 From the US Consulate General in Dacca to the US Department of State, March 29, 1971, 1130Z
- ^ Telegram 986 From the US Consulate General in Dacca to the US Department of State, March 30, 1971, 0905Z
- ^ "Pakistan: The Ravaging of Golden Bengal", Time, 1971-08-02
- ^ "3 MILLION Slaughtered Sheik MUJIB Charges 'Greatest Massacre'," The Portsmouth Herald, page 6, '17 January 1972, Portsmouth, New Hampshire
- ^ "Bangladesh war crimes stir tension". 30 June 2008. Retrieved 9 February 2013.
- ^ The Dacca Gazette Extraordinary, Aug 2, 1971. Available athttp://www.icsforum.org/library/files/420_GovernmentofEastPakistan1971.pdf
- ^ New Age, Bangladesh, May 11, 2013. Available athttp://newagebd.com/detail.php?date=2013-05-11&nid=48788#.Ukp8mT_bUWI
- ^ "Dhaka body lists war criminals of 1971". The Indian. 4 April 2008. Retrieved 2010-09-19.
- ^ "Bangladesh's Unfinished Revolution". Thaindian News(Dhaka). July 11, 2008. Retrieved 2010-09-19.
- ^ ab "Stage set for war trial", The Daily Star, March 26, 2010
- ^ "No against war criminals won", The Daily Prothom Alo, 31 December 2008, collected from ICSF Media Archive
- ^ "Plead not to cast vote for traitors and war criminals", The Daily Prothom Alo, 27 December 2008
- ^ Julhas Alam, "Bangladesh wrestles with trials from '71 war", The Guardian, December 21, 2011
- ^ "A historic landslide for Hasina". bdnews24.com (Dhaka). Tuesday, Dec 30th, 2008. Retrieved 2010-09-19.
- ^ "Awami League wins Bangladesh election". CNN. December 30, 2008. Retrieved 2010-09-19.
- ^ "JS passes proposal to try war criminals", The Daily Star, 30 January 2009
- ^ "Bangladesh Genocide Archive". genocidebangladesh.org. Retrieved 12 February 2013.
- ^ "War criminal trial under int'l crime act", The Daily Star, 26 March 2009
- ^ "Opinion of the Law Commission on the technical aspects of the International Crimes (Tribunals) Act, 1973 (Act No. XIX of 1973". Retrieved 2010-09-19.
- ^ ab "Law amended for war crime trials". The Daily Star(Dhaka, Bangladesh). 10 July 2009.
- ^ St, Bd (3, May 2012). "Prosecutor begins statement against SQ Chy". BD News 24.
- ^ IANS (26, March 2010). "We will wait, watch: Jamaat on war crimes trial". Thaindian News.
- ^ ab Connect, UNB (25, March 2010). "War Crimes Tribunal constituted, prosecutors, investigation agency named".UNBconnect.
- ^ ab c "Summary of verdict in Quader Mollah case". The Daily Star. 6 February 2013. Retrieved 9 February 2013.
- ^ "Bangladesh jails Islamic party leader for life". The Guardian. 5 February 2013. Retrieved 6 February 2013.
- ^ "66 held during violence-marred Jamaat strike".BDNews24. Tuesday, February 5, 2013. Retrieved 8 February 2013.
- ^ "At Shahbagh, Bangladesh's fourth awakening". The Hindu. February 16, 2013. Retrieved 17 February 2013.
- ^ ab "Protest gets social media boost". BDNews24. 6 February 2013. Retrieved 8 February 2013.
- ^ "Hundreds of thousands rally in Bangladesh to demand executions of 1971 war crimes suspects". The Washington Post. 8 February 2013. Retrieved 9 February 2013.
- ^ "Protesters continue to demand death penalty for Bangladesh war criminal Abdul Quader Mollah". newstrackindia. 8 February 2013. Retrieved 9 February 2013.
- ^ "Teeming thousands chant 'Hang them all'".Bdnews24.com. 8 February 2013. Retrieved 9 February 2013.
- ^ "Bangladesh Protest Calls for Death for War Crimes". ABC News. 8 February 2013. Retrieved 9 February 2013.
- ^ "Nationwide protests in B'desh; death for war criminals demanded". zeenews. 9 February 2013. Retrieved 9 February 2013.
- ^ "Vow to boycott Jamaat institutions". Daily Star. 9 February 2013. Retrieved 9 February 2013.
- ^ "The oath", The Daily Star, 9 February 2013
- ^ Personal Correspondent (6 February 2013). "মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় হতাশা, ক্ষোভ". Prothom Alo. Retrieved 12 February 2013.
- ^ "Protest gets social media boost", BDNews24, 6 February 2013
- ^ BBC report
- ^ AsiaOne news report
- ^ "A silence stronger than words", The Daily Star, 12 February 2013
- ^ Suman, Kabir. "Tin Minit (Three Minutes)".http://www.kabirsumanonline.com/home/2013/02/13/tin-minit-three-minutes/. Retrieved 13 February 2013.
- ^ "Tin Minute of Suman". Prothom Alo. Retrieved 2 March 2013.
- ^ "Act before March 26", The Daily Star, 22 February 2012
- ^ "Shaheed Rumi Squad begins fast-unto-death for ban on Jamaat". The Daily Star. March 28, 2013.
- ^ "Rumi Squad urges students to hold token hunger strike".The New Edge. March 30, 2013.
- ^ "Rumi Squad continues fast unto death". The Daily Star. March 30, 2013.
- ^ "Sayedee verdict Thursday". The Daily Star. 27 February 2013. Retrieved 2 March 2013.
- ^ Manik, Julfikar Ali (1 March 2013). "Gallows for Sayedee".The Daily Star. Retrieved 2 March 2013.
- ^ ab c d e f Julfikar Ali Manik; Jim Yardley (1 March 2013). "Death Toll From Bangladesh Unrest Reaches 44". New York Times. Retrieved 1 March 2013.
- ^ ab c d e Arun Devnath; Andrew MacAskill (1 March 2013)."Clashes Kill 35 in Bangladesh After Islamist Sentenced to Hang". Bloomberg. Retrieved 1 March 2013.
- ^ ab c d "Bangladesh war crimes verdict sparks more violence". BBC. 1 March 2013. Retrieved 1 March 2013.
- ^ ab c d Naim-Ul-Karim (2 March 2013). "4 dead, hundreds injured as riots continue in Bangladesh". Xinhua. Retrieved 2 March 2013.
- ^ "Jamaat men attack Hindus in Noakhali". bdnews24. 28 February 2013. Retrieved 5 March 2013.
- ^ "Stop violence against Hindus: Bangladeshi daily". Zee News. 4 March 2013. Retrieved 5 March 2013.
- ^ "Bangladesh: Khaleda Zia condemns attacks on Hindus, demands probe". Times of India. 5 March 2013. Retrieved 5 March 2013.
- ^ "44 killed in Bangladesh violence". The Hindu. 1 March 2013. Retrieved 5 March 2013.
- ^ "Bangladesh: Wave of violent attacks against Hindu minority". Amnesty International. 6 March 2013. Retrieved 9 March 2013.
- ^ "Amnesty calls for protecting Hindus". 7 March 2013. Retrieved 9 March 2013.
- ^ "Complaint filed at ICC against PM, 24 others". The Daily Star. 30 June 2013. Retrieved 19 July 2013.
- ^ "Hifazat burns Quran, Hadith in blind rage". bdnews24. 6 May 2013. Retrieved 19 July 2013.
- ^ "Video suggests higher Bangladesh protest toll - Central & South Asia". Al Jazeera English. 2011-10-04. Retrieved 2013-05-14.
- ^ ab Protests rage for third day over Bangladeshi war crimes Islamist | Reuters
- ^ "Thousands join Shahbagh sit-in". February 7, 2013. Retrieved 7 February 2013.
- ^ "A cartoon of Bangladesh's Jamaat-e-Islami senior leader Abdul Quader Mollah". Yahoo News. 7 February 2013. Retrieved 7 February 2013.
- ^ "People burst into protests". 7 February 2013. Retrieved 7 February 2013.
- ^ "Reaction from freedom fighter". bdnews24.com. Retrieved 9 February 2013.
- ^ Shahbagh protesters won't leave, Financial Express
- ^ "A Startling Awakening", The Daily Star
- ^ ab "The Rise Of The New Horizon", Priyo
- ^ "Verdict could be different if people took to streets earlier: Quamrul", News
- ^ Govt, defence ready to file appeals
- ^ "Provision for appeal endorsed: Cabinet okays change to war crimes trial act", The Daily Star
- ^ Jamaat calls hartal in Ctg for tomorrow
- ^ Haroon, Habib (16 February 2013). "At Shahbagh, Bangladesh's fourth awakening". The Hindu. Retrieved 21 February 2013.
- ^ Farid, Ahmed (16 February 2013). "Bangladesh war crimes verdict protests turn deadly". CNN. Retrieved 21 February 2013.
- ^ "Jamaat, Shibir attack policemen across country". bdnews24.com. 28 January 2013. Retrieved 8 February 2013.
- ^ "Jamaat, Shibir attack police in Khulna". bdnews24.com. 6 February 2013. Retrieved 7 February 2013.
- ^ "Jamaat, Shibir men torch 2 vehicles in Ctg". bdnews24.com. 7 February 2013. Retrieved 8 February 2013.
- ^ ab "Jamaat-Shibir men go on rampage". New Age. 29 January 2013. Retrieved 21 February 2013.
- ^ "Jamaat-Shibir let loose terror in several districts". The Independent. 28 January 2013. Retrieved 21 February 2013.
- ^ ab "Three shot dead in Ctg during Jamaat-Shibir hartal".The Independent. 5 February 2013. Retrieved 21 February 2013.
- ^ "40 injured in police and Jamaat-Shibir clash in Rangpur".Bangladesh Sangbad Snagstha(BSS).
- ^ "Jamaat turns violent, clash with cops across country; 168 injured". UNBconnect. Retrieved 21 February 2013.
- ^ ab "Jamaat, Shibir clash with police across country". New Age. 11 November 2012. Retrieved 21 February 2013.
- ^ "Jamaat rampage continues". The Daily Star. 14 February 2013. Retrieved 21 February 2013.
- ^ Daily Star::Sydney students are with Shahbag
- ^ timesworld24.com|last updated news::কাদের মোল্লার ফাঁসি : আন্দোলন মালয়েশিয়াতেও
- ^ Bangkok Post
- ^ bdnews24.com::"Cologne joins Shahbag in solidarity", BDNews24
- ^ Shahbag uprising protest in NYC - Bangladesh Videos : Firstpost Topic - Page 1
- ^ Bangladesh Sangbad Sangstha (BSS)
- ^ "Bangladeshis in Melbourne express solidarity with Shahbag protests", New Age BD
- ^ "Shahbagh protester killed".
- ^ "The agonies of Bangladesh come to London". The Guardian. 17 February 2013. Retrieved 14 March 2013. "The conflict between the Shahbag and Jamaat has already reached London. On 9 February, local supporters of the uprising demonstrated in Altab Ali Park, a rare patch of green space off the Whitechapel Road in London's East End. They were met by Jamaatis. "They attacked our men with stones," one of the protest's organisers told me. "There were old people and women and children there, but they still attacked us.""
- ^ "UK minister praises Shahbagh protests". theindependent. 20 February 2013. Retrieved 10 March 2013.
- ^ "UK Minister hails Shahbagh demo". bdnews24.com. 18 February 2013. Retrieved 10 March 2013.
- ^ "Bloodlust in Bangladesh: A Search for Justice Gone Wrong". The Fletcher Forum of World Affairs. February 27, 2013.
- ^ "Srimangal cable operators stop broadcasting Diganta television". The Daily Star. 10 February 2013. Retrieved 11 February 2013.
- ^ BBC News - Huge Bangladesh rally seeks death penalty for war crimes
- ^ Protests erupt in Bangladesh after war-crimes verdict - CNN.com
- ^ Bangladeshi war crimes protesters turn anger towards feuding politicians - Yahoo! News
- ^ Thousands in Bangladesh war crimes protest - Central & South Asia - Al Jazeera English
- ^ Manik, Julfikar (February 12, 2013). "Politics in Bangladesh Jolted by Daily Demonstrations". The new york times. Retrieved 2013-02-13.
- ^ Philip Hensher (2013-02-19). "The war Bangladesh can never forget - Asia - World". The Independent. Retrieved 2013-03-05.
- ^ "Follow up of the events by BBC Banga". BBC. Retrieved 9 February 2013.
- ^ "Interview with a protester from Shahbagh". BBC. Retrieved 9 February 2013.
- ^ Ahmed, Anis. "Bangladeshi war crimes protesters turn anger towards feuding politicians". www.reuters.com. Retrieved 1 April 2013.
- ^ ab "Shahbagh 'battle' now on cyber space". bdnews24.com. 10 February 2013. Retrieved 4 April 2013.
- ^ ab "Shahbag protesters versus the Butcher of Mirpur". The Guardian. The Guardian, Wednesday. Retrieved 4 April 2013.
- ^ "Defiant crowd battles propaganda war", bdnews24, 11 February 2013
- ^ "Shahbag online". The Daily Ittefaq. 9 February 2013.
- ^ "Shahbag outcry". The Daily Ittefaq. 15 February 2013.
- ^ ab "Bangladesh approves law to swiftly execute war criminals". 12 February 2013.
- ^ "'Bill to ban Jamaat on way'". 12 February 2013.
- ^ Criminal Appeal(A) 24/2013;http://bdnews24.com/bangladesh/2013/09/17/quader-molla-to-go-to-the-gallows-for-murders
No comments:
Post a Comment