On Saradha Scam Mamata cries CBI-BJB nexus and remains Mum as Protests Against Her Grow Louder!
I am least bothered with political equations.For me, the scam itself is all about financial management of India.It is all about day light robbery by politically protected free market forces,listed unlisted companies blooming with economic reforms and hindutva.Writing in English so that the Geo politics unit should be communicated.
সারদার টাকায় জামায়াতের নাশকতা
মমতার সাংসদের মাধ্যমে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ সন্ত্রাসের জন্য
Palash Biswas
আজকালের প্রতিবেদন: কে কী বলল, সমালোচনা করল, সেদিকে কান না দিয়ে নিজের কাজে বিশ্বাস ও ভরসা রাখার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ বৃহস্পতিবার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আসল হচ্ছে নৈতিকতা৷ নিজের ওপর ভরসা রাখতে হবে৷ নৈতিক চরিত্র গঠন করতে হবে৷ আয়নায় অন্যের মুখ দেখে লাভ নেই৷ নিজের মুখ দেখতে হবে৷ কে কী বলল, সমালোচনা করল তাতে কিছু এসে যায় না (হার্ডলি ম্যাটার)৷ নিজের কাজে বিশ্বাস রাখতে হবে৷ নিজের ওপরও ভরসা এবং বিশ্বাস রাখতে হবে৷' স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২১ বছর উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রামকৃষ্ণ ইনস্টিটিউট অফ কালচার৷ এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে স্বামীজির জীবনদর্শনের কথাও উল্লেখ করেন৷ বলেন, 'একতাই বল৷ কোনও ভাগাভাগি নয়, কুসংস্কার নয়, সাম্প্রদায়িকতা নয়৷ আমরা সবাই সবার জন্য (উই আর ফর অল)৷ স্বামীজি বারবারই একতার ওপর জোর দিয়েছেন৷' মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্বামীজির আর্দশে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে৷ ধ্বংস নয়, আমাদের সৃষ্টির দিকে থাকতে হবে৷' এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্বামীজির মূর্তি দিয়ে সাজানো একটি রথের উদ্বোধন করে৷ আয়োজকদের তরফে তাঁকে বই উপহার দেওয়া হয়৷
নজরে সাংসদের মৌলবাদী যোগ,জামাতের সন্ত্রাসেও সারদার টাকা
সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করতে কাজে লাগানো হয়েছে সারদার কোটি কোটি টাকা। আর তার সঙ্গে জড়িত তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান। ... আরও»
সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার অসমের গায়ক সদানন্দ গগৈ
Last Updated: Friday, September 12, 2014 - 19:54
কলকাতা: সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে অসমের প্রখ্যাত গায়ক এবং অ্যাড ফিল্ম মেকার সদানন্দ গগৈকে গ্রেফতার করল সিবিআই। সদানন্দ গগৈ সারদার জন্য একটি প্রমোশনাল অ্যাডফিল্ম বানাতে সুদীপ্ত সেনের থেকে চার কোটি টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকার অনেকটাই তিনি তছরুপ করেন বলে অভিযোগ। এছাড়াও সদানন্দ গগৈ অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রখ্যাত রাজনীতিক হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ। হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁর কাছ থেকে চাপ দিয়ে টাকা আদায় করেছিলেন বলে অভিযোগ সুদীপ্ত সেনের।
এতেও সদানন্দ গগৈয়ের বড় ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ। সদানন্দ গগৈকে আর্থিক তছরুপ এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আগামিকাল তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।
তৃণমূল নেতাদের শাস্তি দাবিতে সোচ্চার বাম জোট ও কংগ্রেস
সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং শাসক দল যখন কোণঠাসা ঠিক সেই সময় প্রতারিত আমানতকারীদের নিয়ে আবার আন্দোলনে নামলেন বিরোধীরা। প্রতারিতদের নিয়ে নতুন উদ্যমে রাজপথে দেখা গেল সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের। সঙ্গে ছোট দলের নেতারাও ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতায় কলেজ স্কয়ার থেকে রানী রাসমণি এ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিলে জনতার ভিড় উপচে পড়ে। 'চিটফান্ড সাফারার্স ইউনিটি ফোরাম' নামে মঞ্চের ডাকে এই মিছিল শুরু হয়। আমানতকারীদের টাকা ফেরতে দেয়ার দাবিতে বিভিন্ন সময় সরব হলেও ভুক্তভোগীদের এতবড় জমায়েত এর আগে হয়নি। কেবল টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েই ওই মঞ্চের নেতারা থেমে থাকেননি বরং সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন। শুধু সারদা কেলেঙ্কারি নিয়েই নয়, অন্য সব বেআইনী অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধেও তদন্ত করার দাবি জানান তারা। পূজার পরে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দেয়া হয়। সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হবার পরে বিভিন্ন বেআইনী অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারিত আমানতকারীরাও একজোট হন। তারা টাকা ফেরতে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। -আনন্দবাজার পত্রিকা
দৈনিক জনকন্ঠের প্রতিবেদন
সারদার টাকায় জামায়াতের নাশকতা
মমতার সাংসদের মাধ্যমে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ আসে
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে ভারতের সারদা গ্রুপ জামায়াতে ইসলামীকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে এমন দাবি করা হয়েছে ভারতের শীর্ষ বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার-এ। শুক্রবার পত্রিকাটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান জড়িত। সরকারিভাবে এ ঘটনার তদন্ত চেয়ে জামায়াতের রাজশাহীর আমির আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহীর সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও সাতক্ষীরার সংসদ সদস্য মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, 'গত সপ্তাহে যমুনা টেলিভিশনের টকশোতে রাজশাহী জামায়াতের আমির আতাউর রহমান বলেছেন, ভারতের কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে।' এর মাধ্যমে আনন্দবাজারে শুক্রবার প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত হয় বলে মনে করেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। তিনি বলেন, তৃণমূল নেত্রী মমতার বিরোধিতার কারণে ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি এবং সীমান্ত চুক্তি থেমে আছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী শক্তির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভারত এবং বাংলাদেশে ব্যবস্থা নিলে তিস্তা চুক্তি এবং সীমান্ত চুক্তি সম্পাদিত হবে। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর সম্পর্কের মধ্যে বিরাজমান সঙ্কট কেটে যাবে।
ফজলে হোসেন বাদশা জনকণ্ঠকে বলেন, ভারত বাংলাদেশ পরীক্ষিত সম্পর্ক। এ দেশে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি শাসিত সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের কোন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে অস্ত্র এবং টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে যাবে- এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি সংসদে তার প্রতিবাদ উপস্থাপন করবেন জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাতে হবে। মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের অনেক সাংসদ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।'
তিনি জানান, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সাতক্ষীরা থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত সীমান্তপথে প্রচুর অস্ত্র এবং গানপাউডার আনার তথ্য তারা নিশ্চিত হন। তিনি বলেন, তখন আমাদের সন্দেহ হয়, সীমান্তের ওপার থেকে কেউ না কেউ জামায়াতকে মদদ দিচ্ছে। এর পর কানসাটে গানপাউডার দিয়ে হামলা হলো, রাজশাহীর ট্রেন পুড়িয়ে দেয়া হলো। এ সব নাশকতার ঘটনা প্রমাণ করে সারদার দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশে এসেছে। আর এই দুর্নীতির টাকা পেয়ে বিএনপির মদদে জামায়াত একের পর এক নাশকতা করে যাচ্ছে। আগামীতে জামায়াতের আরও ভয়াবহ হামলা করার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। তিনি বলেন, বিএনপি এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করতে চাইলে জামায়াতের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান প্রকাশ্যে জানাতে হবে।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে পত্রিকাটিতে বলা হয়েছে, ২০১২-১৩ সালে ইমরানের মাধ্যমে ভারত থেকে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ পৌঁছেছে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের হাতে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতের প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা শুরুর পর বাংলাদেশে দাঙ্গা, নাশকতা ও সন্ত্রাস শুরু করেছিল মৌলবাদীরা। সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলে 'হেফাজতে ইসলাম' নামে বকলমে নাম সর্বস্ব আরও একটি মৌলবাদী সংগঠন গজিয়ে ওঠে। তারা ঢাকা অবরোধ করে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল।
গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, সেই কাজে ইন্ধন জোগাতেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। যার একটা বড় অংশ সারদা অর্থলগ্নি সংস্থার। ঢাকার অভিযোগের সত্যতা নয়াদিল্লী পেয়েছে, যার ভিত্তি ভারতের গোয়েন্দা প্রতিবেদন।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইমরানের মাধ্যমে অর্থের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের কয়েকটি চালানও ভারত থেকে জামায়াতের হাতে দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। আনন্দবাজার জানায়, ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ইমরান তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারদার বেশকিছু এ্যাম্বুলেন্সে কাঁচা টাকার বান্ডিল ভরে তা নিয়ে যাওয়া হতো বনগাঁ, বসিরহাট, নদিয়া, মালদহ, বালুরঘাট ও কোচবিহারের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে। পরে তা বাংলাদেশী টাকা, ডলার বা ইউরোতে পরিবর্তন করে জামায়াতের এজেন্টদের হাতে তুলে দেয়া হয়। তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষও ইডিকে লেখা চিঠিতে সারদার এ্যাম্বুলেন্সে করে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর কাছে টাকার বান্ডিল চালান যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এছাড়া হাওয়ালা ও হুন্ডির মাধ্যমেও গেছে সারদার টাকা। বাংলাদেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জামায়াত পরিচালিত বেশকিছু হাসপাতাল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেনামে লগ্নিও করেছে সারদা। সেই অর্থও কার্যত জামায়াতের 'জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে' খরচ হয়েছে।
'পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু উর্দুভাষী নেতার দহরম মহরম শুরু হয়। ২০১১ সালের ভোটে সীমান্ত এলাকায় জামায়াতকর্মীরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করে। সে সময়ে তৃণমূলকে অর্থেরও যোগান দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই সুসম্পর্ক থেকেই পরবর্তীকালে জামায়াতকে তৃণমূল শুধু পাল্টা সাহায্যই করেনি, তিস্তা চুক্তি ও স্থলসীমান্ত চুক্তি আটকে দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও বিপদে ফেলার চেষ্টা করে।
বাংলাদেশ সংক্রান্ত নীতির বিষয়ে মমতা বরাবর জামায়াতের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগ রাখা উর্দুভাষী নেতাদের মতামতই মেনে চলেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
এ সব কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন সিমি নেতা, বর্তমান তৃণমূল সাংসদ ইমরানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
দলের কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ আনন্দবাজারকে বলেন, সিমিকে নিষিদ্ধ করার সময়ে মমতা কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সবই জানতেন। তারপরও কেন তিনি ইমরানকে রাজ্যসভায় পাঠালেন?
তার দাবি, জামায়াতের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই তৃণমূল নেত্রী এই প্রার্থী বাছাই করেছেন। মমতার এই কাজকে 'দেশদ্রোহ' বলে মন্তব্য করে ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ, একজন মুখ্যমন্ত্রীর এমন কাজের জন্য রাজ্যে জঙ্গী ও দুষ্কৃতকারীরা সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে।
সারদা মামলায় প্রভাবশালীরা বাইরে, বোঝাতে পার্থর বিরুদ্ধে কোর্টে 'নথি' পেশ কুণালের
রাজর্ষি দত্তগুপ্ত, এবিপি আনন্দ
Friday, 12 September 2014 05:57 PM
কলকাতা: সারদা মামলায় তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল ঘোষের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার শিক্ষামন্ত্রী। জেলের বাইরে থাকা প্রভাবশালীরা প্রভাব খাটাচ্ছেন, এই দাবির স্বপক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে, সারদাকাণ্ডে ধৃত কুণাল আঙুল তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে।
নিজের জামিনের আর্জি জানাতে গিয়ে কুণাল এদিন আদালতে বলেন, সিবিআই আমাকে প্রভাবশালী আখ্যা দিয়ে জেলবন্দি করে রাখতে চাইছে। কিন্তু, আমি তেমন প্রভাবশালী নই। একথা বলেই ২০১২ সালের দক্ষিণ কলকাতার একটি পুজো কমিটির একটি কার্ড বের করে বিচারকের দিকে বাড়িয়ে দেন তিনি। তাঁকে কুণাল বলেন, কার্ডটা দেখুন। কার্ডে সারিবদ্ধভাবে চিটফান্ড সংস্থার নাম রয়েছে। পুজোর কর্পোরেট পার্টনার হিসেবে তাদের দেখানো হয়েছে। পুজো কমিটির প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এখন শিক্ষামন্ত্রী।
সিবিআই আমাকে প্রভাবশালী বলে জেলবন্দি করে রাখতে চাইছে। অথচ, বাইরে প্রভাবশালীরা রয়েছেন, প্রভাব খাটাচ্ছেন। এসব সিবিআই দেখুক।
সারদা-মামলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই, এমন অনেক তৃণমূলপন্থী আইনজীবী এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কুণালের মন্তব্যের বিরোধিতায় রে রে করে ওঠেন। তাঁরা বলেন, রাজ্যের কোনও মন্ত্রীর নাম নেওয়া যাবে না। মামলা সম্পর্তিত বক্তব্য বলতে হবে। সিবিআইয়ের আইনজীবী এর বিরোধিতা করেন। শুরু হয়ে যায় বাদানুবাদ। সারদাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা রজত মজুমদার বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে যে দাবি করেছিলেন, তা অসত্য বলেও এদিন পাল্টা দাবি করে কুণাল বলেন, তিনি মোটেই সিবিআইকে বলেননি যে, রজত মজুমদারের হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও মুকুল রায়ের কাছে টাকা পাঠাতেন সুদীপ্ত সেন।
কুণাল এদিন আবেদন জানান, তাঁকে যেন আর জেল হেফাজতে পাঠানো না হয়ষ প্রয়োজনে ফের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হোক। দু'পক্ষের বক্তব্য শুনে, বিচারক কুণাল ঘোষকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
গত শনিবার আদালতে উপস্থিত হয়ে কুণাল দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করুক সিবিআই। এরপর সিবিআইয়ের অফিসে ঢোকার মুখেও ফের বোমা ফাটান তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল। আঙুল তোলেন একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। বলেন, সারদা মিডিয়ার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সুবিধা যদি সব থেকে বেশি কারও কাছে পৌঁছে থাকে, তাহলে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
কুণালের এই বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। তারপর থেকেই কুণাল যাতে মুখ না খুলতে পারে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ অতি তৎপর বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এদিনও কুণালকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আদালতে পেশ করা হয়। আদালতকক্ষেও ছিল তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের ভিড়। কিন্তু, এরপরও কুণাল মুখ বন্ধ রাখেননি। এবার তিনি আঙুল তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে, যা বিরোধীদের হাতে নয়া অস্ত্র তুলে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেই মদন,শ্যামাপদ, সারদাকাণ্ডের জেরে ডানা ছাঁটা গেল? জল্পনা
সুমন ঘরাই, এবিপি আনন্দ
Friday, 12 September 2014 04:41 PM
সারদা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপের মধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে মদন মিত্র এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা। বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী ও বস্ত্রমন্ত্রীর গরহাজিরার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গুঞ্জন ছড়ায় নবান্নের অন্দরে। যদিও এ নিয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে মদন মিত্রের দাবি, তিনি গড়িয়ায় কাজে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে যাদবপুরে যানজটে আটকে পড়েন। পরিবহণমন্ত্রীর দাবি, বৈঠকের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তিনি নবান্নে না গিয়ে সিটিসির দফতরে বসেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠমহলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাইরাল ফিভার হওয়ায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আসতে পারেননি বস্ত্রমন্ত্রী।
দুপুর ২টোয় বৈঠক শুরু হয়। ৩৫ মিনিটের বৈঠকের পর দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর গরহাজিরার বিষয়টি এড়িয়ে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়ে দুই মন্ত্রীও কারণ খাড়া করেছেন। যদিও ঘটনাক্রম থেকে অন্য গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ ইতিমধ্যেই সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গিয়েছে বস্ত্রমন্ত্রী ও পরিবহণমন্ত্রীর নাম। বাঁকুড়ায় বস্ত্রমন্ত্রীর মালিকানাধীন একটি লোকসানে চলা সিমেন্ট কারখানা লাটে ওঠা সংস্থার সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে বিক্রয় করার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীণ হয়েছেন বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ। মদন মিত্রর প্রাক্তন সিএ বাপি করিমকে জেরা করেছে সিবিআই, গোয়েন্দা নজরে পরিবহণমন্ত্রীর আর এক ঘনিষ্ঠ প্রশান্ত প্রামাণিকও।
দলের অন্য নেতা, সাংসদদের জেরা-গ্রেফতারের পাশাপাশি, সারদাকাণ্ডে এই দুই মন্ত্রীর নাম জড়ানোয় অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। প্রশ্ন উঠছে, সরকারের শীর্ষ মহল থেকে তাহলে কি বৈঠকে আসতে বারণ করা হয়েছে মদন ও শ্যামাপ্রসাদকে? সারদাকাণ্ডের জেরে কি তাহলে শুরু হল অভিযুক্ত মন্ত্রীদের ডানা ছাঁটা?
আনন্দবাজারের খবরঃ
জামাতের সন্ত্রাসেও সারদার টাকা
সারদার জল এ বার গড়াল বাংলাদেশেও। সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করতে কাজে লাগানো হয়েছে সারদার কোটি কোটি টাকা। আর তার সঙ্গে জড়িত তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান। এ ব্যাপারে ভারতের কাছে সরকারি ভাবে অভিযোগও জানিয়েছে বাংলাদেশ। এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে সরব হয়েছেন বাংলাদেশের জামাত-উপদ্রুত দুই এলাকা রাজশাহি ও সাতক্ষীরার দুই সাংসদ। যদিও ইমরান নিজে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, জামাতের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। কী বলা হয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে?
অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
নবান্নেও এসেছে সতর্কবার্তা, প্রশাসন অনড়ই
তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানের সঙ্গে একাধিক মৌলবাদী সংগঠনের যোগাযোগ নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসও। দূতাবাস থেকে পাঠানো ওই রিপোর্টে ভারতে নিষিদ্ধ মৌলবাদী সংগঠন, স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া বা সিমি-র সঙ্গেও ইমরানের যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে। ইমরান রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার ঠিক পরেই বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সারন নয়াদিল্লিকে একটি 'ডশিয়ার' পাঠান। সেখানে বাংলাদেশের মাটিতে সক্রিয় ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে ইমরানের যোগাযোগের কথা ছিল।
জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
জেলে বসে কুণাল ঘোষের লেখা
সারদা সংস্থার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'স্বার্থের সম্পর্ক' নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, মমতা 'সচেতনভাবে' সারদা মিডিয়া থেকে 'সবচেয়ে বেশি সুবিধা' নিয়েছেন। তদন্তকারীদের হাতে থাকা তাঁর ৯১ পাতার লিখিত বয়ানেও আছে এই প্রসঙ্গের বিশদ বর্ণনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতার একদা ঘনিষ্ঠ এবং সারদা কাণ্ডের জেরে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, "মমতা ব্যানার্জির কাছাকাছি থেকেও তাঁর অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই কতটা কঠিন এবং চাপের, বাইরে থেকে বোঝা যাবে না।"
নিজস্ব সংবাদদাতা
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
কৌশলে নিলেন মমতা-মুকুলের নাম, সিবিআই হেফাজতে রজত
সারদার টাকা কে বা কারা নিয়েছেন, এ নিয়ে আদালতে কেউই তাঁকে কোনও প্রশ্ন করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মুকুল রায়ের নামও ওঠেনি। কিন্তু তিনি নিজে থেকেই আগ বাড়িয়ে সারদার লেনদেনের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়ের নামটা জড়িয়ে দিলেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
রোগের দেখা নাই, হাসপাতাল ছুটি দিল রজতকে
শেষরক্ষা হল না! বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছুটি নিতেই হল রজত মজুমদারকে। যদিও বুধবার রাতে অসুস্থতা আরও বেড়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এ দিন সকালে ডাক্তারদের উদ্দেশে তাঁর কাতর অনুরোধ ছিল, "শরীর খুব খারাপ। আমাকে দয়া করে ছুটি দেবেন না।"
নিজস্ব সংবাদদাতা
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বিবেক ঢালেই বিরোধিতা সামাল মমতার
অনেকটাই এক বছর আগের বক্তৃতার 'অ্যাকশন রিপ্লে'। তবু স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার উদ্যাপন-মঞ্চে ফের তাঁকে ঢাল করেই সমালোচকদের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামকৃষ্ণ মিশনের ইনস্টিটিউট অব কালচার আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে নিজেই আসতে আগ্রহী ছিলেন তিনি।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
শাসককে বাগে পেয়ে সুর চড়ল বিরোধীদের
সারদা-কাণ্ডে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল যখন কোণঠাসা, সেই সময়ে প্রতারিত আমানতকারীদের নিয়ে একযোগে ফের ময়দানে নামলেন বিরোধীরা। প্রতারিতদের নিয়ে নতুন উদ্যমে রাজপথে দেখা গেল সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের। সঙ্গে আরও কিছু ছোট দলের নেতারাও।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
তৃণমূলের বিক্ষোভ দেখে অবাক অসম-ওড়িশা
বাধা দিচ্ছে শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। সারদা-সহ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সিবিআইকে অসম বা ওড়িশায় কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে না। পড়শি রাজ্যগুলির তুলনায় একেবারে বিপরীত মেরুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ও তাঁর সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
চন্দ্রিমা, সোনালিরাও কি গণ্ডি ছাড়ালেন, প্রশ্ন ধর্নায়
সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের মূল ফটক বন্ধ। সামনের রাস্তার উপরে বসে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ এবং রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য! তাঁদের নেতৃত্বে ধর্না-অবস্থান চালাচ্ছেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের শ'খানেক কর্মী-সমর্থক। পুলিশে ঘেরা জমায়েত থেকেই মাইকে বারবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ধর্না দিয়ে অস্বস্তিই বাড়াল তৃণমূল
চাপে পড়ে পাল্টা চাপ দেওয়ার চেষ্টা। আর তাতে উল্টে বেড়ে গেল আরও অস্বস্তি! রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআই কাজ করছে, এমন অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ধর্না-অবস্থানে বসল, টানা স্লোগান দিল তৃণমূলের প্রমীলা বাহিনী! যার পুরোভাগে মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য! অবস্থানে সামিল ছিলেন বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীও।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
সারদার ভূত, বিজেপির তাড়ায় ছুটছে শাসক দল
অতৃপ্ত আত্মা আছে একাধিক! কিন্তু তারা প্রতিশোধ নেবে কি? অন্য ভূত যে ঘাড়ের উপরে চেপে বসেছে! শিখা মিত্র দান ছেড়ে দেবেন, অনেক দিন ধরেই ক্ষেত্র প্রস্তুত ছিল। ঝোপ বুঝে কোপ মারবেন ভেবে ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের হাত মাথার উপরে ছিল। তৃণমূলের ছাত্র নেতা ভাবছিলেন, চৌরঙ্গি থেকেই বুক ফুলিয়ে সোজা বিধানসভায় পদার্পণ ঘটাবেন! কিন্তু সংসার-ধর্ম থেকে বেরিয়ে টিকিট নিয়ে চলে গেলেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র সংগঠনের নানা কাজে বিব্রত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে মুকুলও রক্ষা করতে পারলেন না ছাত্র নেতার স্বপ্ন!
রোশনী মুখোপাধ্যায়
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
Writing in English so that the Geopolitics unit should be communicated.
Mamata speak:And not 17 lakh but 12 lakh investors were duped in the Saradha scam. He should cross check his facts from his friends," Banerjee said. She went on to claim, "We from our government treasury had returned money to five lakh investors.
Saradha Scam in Bengal seems to be a political civil war as ruling TMC is trapped top to bottom and discredited Marxists may not return so soon. BJP is emerging as third alternative.It seems very interesting as daily exposure is covered with full details.
For me,it is nothing but the result of decontrolled,deregulated free open market under minimum governance which runs a systematic ponzi economy injected with free flow of black money in FDI mode.It is the exposure of great Indian growth story based onbull run.
I have been covering the day to day updates in Bengali inserting some English content. But it is crossing the borders.Bangladesh is involved as Saradha group is alleged to finance fundamental and terror network there to upset the apple cart of Hasin Wajed.It did vot succeed as Mamata succeeded to bring out the so called Parivartan killing the left and the project has been funded by Saradha group.Now,Mamata is dumping everyone exposed including her ministers in self defence and intensified her secular jihad against BJP and Modi.Her ministers are cying foul and trying their best to dismiss the case crying CBI BJP nexus.
I am least bothered with political equations.For me, the scam itself is all about financial management of India.It is all about day light robbery by politically protected free market forces,listed unlisted companies blooming with economic reforms and hindutva.
Thus, Trinamool Congress today alleged that there was a 'nexus' between BJP and CBI to malign the party and its chief Mamata Banerjee ahead of the Assembly by-polls in the state.Mind you,the Supreme Court had handed over the Saradha chit fund scam probe to CBI and asked the state governments to provide all logistical help to the CBI team investigating the matter. CBI has formed a Special Investigating Team (SIT) headed by Joint Director Rajeev Singh to also probe the role of Securities Exchange Board of India (SEBI) and RBI.
"There is a nexus and a conspiracy which is going on to malign Trinamool Congress and our party supremo Mamata Banerjee, who is the most honest leader of the country, before the by-polls," prominent TMC leader Partha Chatterjee said.
Chatterjee also alleged that the 'nexus' between the two was also aimed at 'politicising' the Saradha scam probe.
"The way things have been politicised by the CBI is a shame and a day will come when the truth will come out. If they are talking about chit fund then we also need an answer to the question about where the huge money that was spent during the BJP's election campaign came from," he said.
He said measures should be taken to return the money of all the duped investors who lost their money in various chit funds from 1980s.
Chatterjee's outburst came after state Congress president Adhir Chowdhury questioned the silence of Trinamool Congress leadership on the arrest of Rajat Majumdar in the Saradha Ponzi scam.
Chowdhury also said that days were not far off when several top TMC leaders would be arrested by the CBI in the Saradha case.
Hindustan Times reports:
Financial investigation agencies are probing whether a UAE-based financial firm linked to Trinamool Congress MP KD Singh was the destination of some of the funds raised from investors in the Saradha scam.
The ED and the Serious Fraud Investigation Office (SFIO) are understood to be looking at whether Saradha used the hawala route to siphon off funds collected from its depositors and park them at Al Masah Capital Ltd, an asset management firm where Singh was vice-chairman.
Sources in the Enforcement Directorate, which investigates foreign exchange violations and money laundering, said that Singh was likely to be examined soon.
"We are trying to tap all possible links of Saradha Group both nationally as well as overseas. During the course of our investigations on these lines, we tracked Saradha's links in the UAE and there the name of Al Masah surfaced. We are going into details in the probe regarding Saradha's tax-haven links," said an SFIO official.
Singh's office did not respond to repeated queries, but in an earlier conversation with HT, Singh had denied knowledge of any links between Saradha and Al Masah. He had said that he was offered the post of honorary vice-chairman of the UAE company for a year and had quit before entering the world of parliamentary politics.
The Saradha scam, caused by the collapse of a Ponzi scheme run by the Saradha group, a consortium of over 200 companies running a wide variety of collective investment schemes in mainly in West Bengal, Assam and Odisha. The group collapsed in April 2013, causing an estimated loss of about Rs. 10,000 crore to over 1.7 million depositors.
The Bengal government instituted an inquiry commission to probe the scam and set up a Rs. 500-crore fund to ensure that low-income investors got back some part of their investments. The Centre also launched a multi-agency probe.
Manideepa Banerjee writes for NDTV,"Gali gali may shor hai, Mamata Banerjee chor hai" (In every lane, they are saying Mamata Banerjee is a thief).
A year ago, even after the Saradha chit fund group collapsed, taking millions in depositors' hard-earned money with it, such a slogan against the West Bengal Chief Minister in Kolkata would have been considered as blasphemy. But now, Mamata Banerjee's image is taking a beating.
On Thursday, hundreds of agents and investors of several chit funds, including Saradha, shouted that slogan as they held a march in Kolkata. They have been watching one leader after another of the ruling Trinamool Congress, led by Ms Banerjee, being called by the Central Bureau of Investigation or CBI for questioning in connection with the scam; and they are angry.
"There is still time. Let Mamata Banerjee admit she is involved in wrong-doing. Let her try and return the money to the poor. This is our appeal," says Chittaranjan Das, a chit fund agent. He warns that the protests will become much stronger if their appeal is not heard.
Meanwhile, members of the Trinamool Congress' woman's unit sat on adharna outside the CBI office in Salt Lake near Kolkata. They were protesting, according to them, the CBI's "political vendetta" against their leaders. Leading the dharna was Chandrima Bhattacharya, Law Minister and Minister of State for Health.
"Their attitude and the steps they are taking, it proves they are only bent on maligning Trinamool Congress," she said as her supporters shouted, "CBI hai hai".
In the last fortnight, many leaders of the Trinamool Congress have been called in for questioning by the CBI. Yesterday, Member of Parliament Srinjoy Bose was questioned for almost seven hours.
Rajat Majumdar, who Trinamool leaders described as a "party associate", was arrested on Tuesday and taken into CBI custody today. Another party MP, Ahmed Hassan Imran, was quizzed recently, so was Asif Khan, who publicly quit the Trinamool yesterday after calling it "not clean".
Trinamool Congress's Rajya Sabha lawmaker Kunal Ghosh was arrested last year and is currently being questioned by the CBI. All these leaders allegedly had some link or the other with the Saradha group or its boss Sudipta Sen.
The Opposition is also piling up the charges.
"85 lakh people have suffered in the chit fund scam and many of your ministers and MPs appear to be involved. There are newspaper reports about some of the Saradha money going to terrorist organisations too. Mamata Banerjee, you took a high moral ground on Tehelka(magazine's expose on the coffin scam, over which Ms Banerjee had resigned from the then NDA government), but as the Chief Minister, will you abandon your morality," said BJP leader Siddharth Nath Singh.
The silence of Mamata Banerjee, who attended an event on Swami Vivekananda today, on her party men being allegedly tangled in the Saradha web is deafening.
Indian Express reports:Chief Minister Mamata Banerjee in an interview to ETV News Bangla said, "Acche din nehi, ronek a din aa gaya."(the days of tears have come). she said this when asked about the first 100 days of Modi government in office. she further added, "the BJP government has committed no less than 100 mistakes in 100 days. They have sold the country in 100 days."
On Saradha financial scam she said that her patience is being tried by the BJP government and the media. "None from my party took money from Saradha. Congress-CPM-BJP helped this chit fund companies to grow during their regime. The TMC government took action against the company and is now being targeted. "The moment the scam came to our notice, we took action and arrested the kingpin."
"The BJP government has committed no less than 100 mistakes in 100 days. They have sold the country in 100 days," said Mamata Banerjee.
On BJP president Amit Shah's statement on Saradha that 17 lakh people were cheated during an election rally in Kolkata on September 7, she said, "I have all evidence against the person who spoke here against me.
The people of Gujarat handed several pen drives to me which had all evidence against these leaders. they themselves are accused in several cases and how dare point finger at me ?" The Trinamool Congress is the most transparent party in the country. There can be some rotten staff within but the moment they are identified action is taken against them.
- See more at: http://indianexpress.com/article/cities/kolkata/bjp-committed-100-mistakes-in-100-days-mamata-banerjee/#sthash.jJKsGGmw.dpuf
Central Bureau of Investigation on Friday arrested Assamese singer Sadananda Gogoi in connection with the Saradha scam.
CBI spokesperson Kanchan Prasad said in Delhi that Gogoi has been arrested in Kolkata on the allegations of "conspiracy and misappropriation of funds" and he will be produced in Alipore court tomorrow.
Gogoi was summoned at its CGO complex office in Kolkata for the fourth time today and was arrested after interrogation, CBI sources said.
Gogoi has been charged with criminal conspiracy and misappropriation of funds and will be produced in court on Saturday.
Gogoi was allegedly acting as a conduit for Saradha Chairman-cum-Managing Director Sudipta Sen and lured influential people using his contacts, the sources said.
With this arrest, a total of 10 persons have been nabbed by the CBI in connection with the scam which includes six who were arrested by West Bengal Police and taken into custody by the agency.
A prominent lawyer from Odisha is expected to be questioned by CBI soon, the sources said.
The agency has recently arrested former West Bengal DGP Rajat Majumdar for his alleged involvement in the scam.
Majumdar, who had worked as Director General (Armed Police) in West Bengal, was allegedly associated with Saradha Group, which has been accused of duping thousands of investors of crores of rupees, they said.
The agency has also arrested East Bengal club official Debabrata Sarkar and businessman Sandhir Agarwal
CBI has registered four FIRs against Saradha Group in the chit fund scam in West Bengal whereas 44 cases have been registered in Odisha.
The Supreme Court had handed over the Saradha chit fund scam probe to CBI and asked the state governments to provide all logistical help to the agency's team investigating the matter.
CBI has formed a Special Investigating Team (SIT) headed by Joint Director Rajiv Singh also probe the role of some officials of Securities Exchange Board of India (SEBI) and RBI, the sources said.
Saradha scam shocker: Mamata Banerjee's aide, TMC MP's link with terror group SIMI, Jamat exposed
Kolkata, Sept 12: In a shocking twist in Saradha scam case, it has been alleged that money from the chief of the Saradha Group -- Sudipto Sen was collected by a Trinamool Congress (TMC) MP -- Ahmed Hasaan Imran. West Bengal BJP leaders on Thursday, Sept 11 held a press conference in Kolkata. The BJP leaders irked an old controversy after accusing Imran of sending huge amount of money to banned terror outfit in India -- SIMI and terror outfit in Bangladesh -- Jamat e Islam. Trinamool Congress supremo Mamata Banerjee had faced tremendous criticism over her decision of electing Imran as the Rajya Sabha MP. Media reports had claimed that Imran had direct connection with terror group. Now, BJP's latest allegations cornered Mamata government in West Bengal. Imran allegedly had siphoned off money to the banned Islamic fundamentalists in Bangladesh with Sudipto Sen's help. The Indian currency was then secretly converted to Bangladeshi Taka Media reports took information from sensation report of investigating agencies -- Central Bureau of Investigation (CBI) and Enforcement Directorate (ED). According to sources, many departments of Home Ministry were aware of Imran's alleged link with banned terror group SIMI (Students Islamic Movement of India). The CBI and ED reportedly had learnt that the funds collected from the public, through Saradha's chit fund schemes, were centrally deposited at the group's offices in Salt Lake in Kolkata. After being accounted for, hundreds of crores were transported to various centres close to the Indo-Bangladesh border, informed media reports. The cash was put in huge bags and taken by ambulances belonging to the Saradha group. The Indian currency was then secretly converted to Bangladeshi Taka and European currencies at a "Foreign Currency Convertor Centre", belonging to a man from Kolkata, added The New Indian Express report. The daily report also stated that armed couriers of radical Islamic outfits would then smuggle the converted currency across the border, under the cover of darkness. Former Special Director, Intelligence Bureau, Dhanesh Chandra Nath was quoted as saying, "We all know who this man is. It is unfortunate that West Bengal Chief Minister and TMC chief Mamata Banerjee sent Ahmed Hassan, alias Imran, to the Rajya Sabha, despite knowing his antecedents." Continuing his statement, he also added, "When SIMI was banned in 2001, Mamata was a Union Minister and she should have known about its leader's activities in the state. What is of serious concern to us is the planned infiltration of the known subversive elements, into the most sacred and highest corridors of power." OneIndia News Read in Bengali: সারদার পর দেশের দুশমনদের সঙ্গেও যোগ তৃণমূল সাংসদের, অভিযোগ
Read more at: http://news.oneindia.in/india/mamata-banerjee-close-aide-tmc-mp-connection-with-terror-outfit-simi-bangladesh-1520240.html
Saradha scam: CBI makes first arrest with direct TMC link
Agency raided residence of a TMC leader and former DG of Armed Police Rajat Majumdar, Saradha employee
BS Reporter | Kolkata
September 10, 2014 Last Updated at 00:39 IST
CBI recently quizzed Asif Khan, an aide of TMC general secretary and Rajya Sabha MP Mukul Roy and conducted searches at his residence
The Central Bureau of Investigation (CBI) on Tuesday arrested former West Bengal police chief and Trinamool Congress (TMC) leader Rajat Majumdar in connection with the multi-crore Saradha chit fund scam. While this is the third set of arrest by CBI in connection to the scam, Majumdar is the first TMC leader to be arrested by the investigative agency.
Majumdar used to serve Sudipta Sen-led Saradha Group as 'security advisor'. Last month, CBI raided the residence of a TMC leader and former director general of armed police Rajat Majumdar, who was once an employee at Saradha group.
Incidentally, former TMC MP and journalist Kunal Ghosh before being arrested by West Bengal police in connection to Saradha, in a 36-minute video broadcast on a local Bengali channel last year named Majumdar and several other TMC leaders for their alleged complicity in the Saradha scam.
After taking over the investigation following Supreme Court order, CBI had earlier arrested East Bengal Football Club official Debabrata Sarkar and city-businessman Sandhir Agarwal. CBI recently quizzed Asif Khan, a close aide of TMC general secretary and Rajya Sabha MP Mukul Roy and conducted searches at his residence. The enforcement directorate, which is also carrying out a parallel probe into the money trail of Saradha, had earlier quizzed TMC Lok Sabha MP Arpita Paul and Rajya Sabha MP Ahmad Hassan Imran. Both were associated with Saradha group's media arm.
সি বি আই-কে রজতের চ্যালেঞ্জ | ||||
সব্যসাচী সরকার | ||||
|
http://www.aajkaal.net/12-09-2014/news/228523/
BJP demands Mamata Banerjee's resignation over Saradha Chit Fund scam
Thursday, 11 September 2014 - 5:23pm IST | Place: Kolkata | Agency: ANI
Bharatiya Janata Party (BJP) leaderSiddharth Nath Singh said here on Thursday that the party has decided to start a Saradha Chit Fund scam 'andolan' demanding West Bengal Chief MinisterMamata Banerjee's resignation. "The state unit has decided under the leadership of state secretary that from Friday, all BJP workers will demonstrate in front of every police station of the state. We are starting a Saradha Cit Fund scam 'andolan' and will give a memorandum to West Bengal Governor, and at every police station, we will demand Chief Minister Mamata Banerjee's resignation," said Singh.
Earlier on Wednesday, the TMC's women's wing staged a protest outside the Central Bureau of investigation (CBI) office in Kolkata against their party leaders being quizzed in connection with the multi-crore Saradha chit-fund scam. According to reports, the CBI has registered a total of 48 cases in the Saradha chit fund scam bringing under its lens regulatory body like the Securities Exchange Board of India (SEBI) and the Ministry of Corporate Affairs.
Trinamool Congress leader and Rajya Sabha member Kunal Ghosh have been named in one of the FIRs along with Sudipta Sen, chairman of the Saradha group. There are four FIRs against Saradha Group in which it is alleged that thousands of investors were allegedly duped by the company officials and their associates who swindled their deposits. The Supreme Court had in May directed the CBI to probe the Saradha scam.
No comments:
Post a Comment