Follow palashbiswaskl on Twitter

ArundhatiRay speaks

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Jyoti basu is dead

Dr.B.R.Ambedkar

Wednesday, September 24, 2014

যেহেতু অশ্বিনী নক্ষত্রের কবির দেশে আমরা পূর্ণিমার চাঁদে বাস করি !যাদবপুরের আন্দোলনে আইনের শেকল!

যেহেতু অশ্বিনী নক্ষত্রের কবির দেশে আমরা পূর্ণিমার চাঁদে বাস করি !যাদবপুরের আন্দোলনে আইনের শেকল!


আইন আইনের পথে চলছে আর রাজ্যটা মগের মুল্লুক হয়ে গেল দেখতে দেখতে৷রোজ নেতা নেত্রীদের সুবাচ্যে বাংলা ভাষার দশ দিগন্ত আবিস্কার হছ্ছে খিস্তি ও খেউড়ের আভিজাত্যে, আধিপাত্যে, সন্ত্রাসে৷

আসলে আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি,বলতে পারেন বাবু মশাই? সুশীল বাবু?

রাজনৈতিক মেরুকরণ কোন ধ্বংসাবশেষে পরিণত করছে আমাদের যে মুখ্যমন্ত্রীর কবিতার বই বেস্টসেলার,সুকান্ত ভট্টাচার্য কেউ পড়ছেই না,যেহেতু সে কম্যুনিস্ট

সুকান্তকে মনে পড়ে?

মনে পড়ে সেই পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি ?

ফের নবান্নে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে লালবাজার অভিযান হচ্ছে না,যাদবপুরের পাশে প্রসিডেন্সীর পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও।আর এই ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ভাইফোঁটার পর থেকে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷



পলাশ বিশ্বাস

সৌজন্যে কলকাতা 24 x7


আগামিকাল লালবাজার অভিযান হচ্ছে না। একথা জানিয়ে দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনড় ছাত্র-ছাত্রীরা।  কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আন্দোলন করার নির্দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচয় পত্র দেখিয়ে প্রবেশের নির্দেশ মানতে রাজি নন তাঁরা।


আইন আইনের পথেই চলছে কিন্তু যদিওপাড়ুই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টতবু কি আশা করা যায় এই মগের মুল্লুকে বিস্তর টালবাহানার পর এ বার কি ন্যায়বিচার পাবেন হৃদয় ঘোষ? আর তাঁর মতোই বিচারের আশায় আরও অনেককে বাধ্য হয়ে আদালতে যেতে হয়েছে,তাঁদের কি হবে? রাজ্য পুলিশের তদন্তে তাঁরা অসন্তুষ্ট। তাঁদের কেউ ছেলেকে হারিয়েছেন, কেউ স্বামীকে। বিচারের অপেক্ষায় তাঁদের আইনি লড়াই চলছে।  

আরও একটা সিবিআই তদন্ত চায় না সরকার, পাড়ুইকাণ্ডে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ আরও একটা সিবিআই তদন্ত চায় না সরকার, পাড়ুইকাণ্ডে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

পাড়ুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের। সিটের তদন্তে অসঙ্গতির কারণে তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে খুশি নয় আদালত। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে সাগর ঘোষ হত্যা মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কোলকাতা হাইকোর্ট।


মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর অভিযোগ, বাংলায় খুন, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিরোধীরা৷ সিপিএম, বিজেপি ও অতি বামেরা ছাত্রদের এই অন্যায়ে মদত দিচ্ছে বলে মনে করেছেন পার্থবাবু৷আর উৎসবের মুখে ইচ্ছে করে একদল ছাত্র অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে৷ তা তৃণমূল কখনই হতে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি৷ আর এই ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ভাইফোঁটার পর থেকে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এদিন একথা ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷


পাড়ুই কান্ডে সিবিআই,হাইকোর্টের রায়ে অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার৷ সারদায় সিবিআইযের কল্যাণে রং বেরং রাজনৈতিক ইন্দ্রধনুষ সৃষ্টি হয়েছে ইতিমধ্যেই,যাদবপুর কান্ডে জনগণের সারদাবিরোধী রোষানল অনেকটা কমেছে৷ইতিমধ্যে আজই মিডল্যান্ড পার্কে সারদার অফিস বাজেয়াপ্ত করল ইডি। মিডল্যান্ড পার্কের একতলায় পনেরশো স্কোয়্যার ফুটের অফিস কিনেছিল সারদাগোষ্ঠী। বহুতলের বাকি তলাগুলি ভাড়ায় নেয় সারদা। একতলার অফিসটিই আজ বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত সারদার প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডি গোয়েন্দারা।   


বিস্ফোরক অভিযোগ সারদার আধিকারিক অরবিন্দ সিং চৌহানের। তাঁর অভিযোগ, কলকাতা ছেড়ে পালানোর আগে ২০১৩-র পাঁচই এপ্রিল মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল  সুদীপ্ত সেনের। নিজাম প্যালেসের সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন রজত মজুমদারও। তাঁর আরও অভিযোগ, বৈঠকের দুদিন পর রাতে সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বুম্বা ওরফে অরিন্দম দাস। অবরিন্দ সিং চৌহানের দাবি তিনি নির্দোষ,   আসল দোষীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি।


আইন আইনের পথে চলছে আর রাজ্যটা মগের মুল্লুক হয়ে গেল দেখতে দেখতে৷রোজ নেতা নেত্রীদের সুবাচ্যে বাংলা ভাষার দশ দিগন্ত আবিস্কার হছ্ছে খিস্তি ও খেউড়ের আভিজাত্যে,আধিপাত্যে,সন্ত্রাসে৷


বৃহস্পতিবার লালবাজার অভিযান হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতেই এই স্থগিতের নির্ণয় বলে মনে করা হচ্ছে৷

ক্যাম্পাসে পড়াশুনার পরিবেশ ফিরুক তাঁরাও এটা চান। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে ,তার বিচার পেতে গেলে আন্দোলন-বিক্ষোভ ছাড়া পথ নেই। আজ যাদবপুরের গণ কনভেনশনে এমনই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। কনভেনশনে যোগ দিয়েছেন অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্রছাত্রীরা।যোগ দিয়েছেন যাদবপুরের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো বিশিষ্টজনেরাও। অন্যদিকে আজ স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করেন যাদবপুরের উপাচার্য অভিজিত্‍ চক্রবর্তী। মনে করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়েই কথা হয় দুজনের মধ্যে।

মদ, গাঁজা, চরস বন্ধ, তাই কি প্রতিবাদের গন্ধ। তাঁর ফেসবুকের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠলেও পিছু হঠতে রাজি নন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, তিনি সঠিক মন্তব্যই করেছেন। যাদবপুরের উপাচার্যকে কেন ইস্তফা দিতে হবে সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।


সরকার যখন ছাত্র আন্দোলনকে শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য বা মদ,গাজা,ভাঙ বন্ধ ,তাই আন্দোলনের গন্ধ বলে পাল্টা ছাত্র রাজনীতির নেশা মদ গাজাভাঙ দিয়ে মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে,ঠিক তখনই  যাদবপুর কাণ্ডে নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন প্রাক্তন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়৷


তবু ঘটনা হল,কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়েই বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে পারবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। ক্যাম্পাসে যেখানে সেখানে আন্দোলন-বিক্ষোভ করা যাবে না। সেজন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করতে হবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা নিয়ে আজ এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বহিরাগতদের প্রবেশও।  প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেটের বাইরেই রাখতে হবে অস্থায়ী পুলিস ফাঁড়ি। বসাতে হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।


ছাত্র আন্দোলনের জেরে যাদবপুরের পঠন পাঠনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে । এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন শিক্ষাবিদ বিমলশঙ্কর নন্দ। সেই মামলায়  বুধবার অন্তবর্তী নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। নির্দেশে বিচারপতি বলেছেন

কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে পারবে ছাত্ররা

ক্যাম্পাসে যেখানে সেখানে আন্দোলন-বিক্ষোভ করা যাবে না

কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে   নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করতে হবে

নিয়ন্ত্রিত হবে বহিরাগতদের প্রবেশও

বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেটের বাইরেই রাখতে হবে অস্থায়ী পুলিস ফাঁড়ি, বসাতে হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা

 হাইকোর্টের  অন্তবর্তী নির্দেশে  অখুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। আদালতের নির্দেশে মেনে কর্মসূচি পরিকল্পনা করলেও, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে কোনওমতেই সরছেন না তাঁরা। আদালতের নির্দেশ দুঃখজনক বলছেন বিশিষ্টরা। বুধবার যাদবপুরে একটি গণকনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল।  কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্রছাত্রীরাও।


অন্যদিকে শহর কোলকাতার আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা যাদবপুরের পাশে এসে দাঁড়াল৷ এবার রাজাবাজার থেকে কলেজ স্ট্রীট পর্যন্ত মিছিল করবে  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা৷ বৃহস্পতিবার এই মিছিলের কথা জানাল যাদবপুরের গণ-কনভেনশনে যোগ দেওয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা৷প্রেসিডেন্সী কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা যাদবপুরে অন্ধকারের রাজত্বের বিরুদ্ধে আগেই লাল বাজার অভিযান করেছেন৷


যাদবপুরের গেটে পুলিশ ফাঁড়ির বসানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট৷ বহিরাগতদের রুখতেই আদালতের এই নির্দেশ৷


বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ডিভিশন বেঞ্চে  যাদবপুর-কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল৷ সেখানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তিনটি পুলিশ ফাঁড়ি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এছাড়াও বহিরাগতদের জন্য বিশেষ পরিচয়পত্রের ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে৷গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি দায়ের করা হয়৷

এই পরিবেশের মধ্যেই কলকাতা 24 x7 এর প্রতিবেদনে খবর, ফের নবান্নে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমের নজর এড়িয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতরে আসেন তিনি। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। নবান্ন থেকে বের হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে ধরা পড়ে যান সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের সবথেকে বিতর্কিত এই ব্যক্তিত্ব।

সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেন অভিজিতবাবু। রাতের অন্ধকারে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রসচিবকে এদিন তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যান্য দিক নিয়েও উভয়ের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই নবান্ন ছাড়েন যাদবপুরের উপাচার্য।


অন্যদিকে,যাদবপুর-কাণ্ড নিয়ে কুৎসা করছে বিরোধীরা, রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বুধবার শিলিগুড়িতে দলের এক সভায় এই অভিযোগ করলেন দলের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ,বাংলার নবীনতম প্রজন্মার অন্ত্যমিল কবি পিসি ঘরানার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পান থেকে চুন খসলেই বিরোধীরা একজোট হয়ে সরকার বিরোধী প্রচার শুরু করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।


খবরে প্রকাশ,কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়েই বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে পারবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। ক্যাম্পাসে যেখানে সেখানে আন্দোলন-বিক্ষোভ করা যাবে না। সেজন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করতে হবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা নিয়ে আজ এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বহিরাগতদের প্রবেশও। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেটের বাইরেই রাখতে হবে অস্থায়ী পুলিস ফাঁড়ি। বসাতে হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজ্য সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাকর্মী, অধ্যাপক সকলকেই পরিচয়পত্র দেখাতে হবে


যেহেতু অশ্বিনী নক্ষত্রের কবির দেশে আমরা পূর্ণিমার চাঁদে বাস করি !


আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি,বলতে পারেন বাবু মশাই?

সুশীল বাবু?


রাজনৈতিক মেরুকরণ কোন ধ্বংসাবশেষে পরিণত করছে আমাদের যে মুখ্যমন্ত্রীর কবিতার বই বেস্টসেলার,সুকান্ত ভট্টাচার্য কেউ পড়ছেই না,যেহেতু সে কম্যুনিস্ট


সুকান্তকে মনে পড়ে?

মনে পড়ে সেই পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি ?


হে মহাজীবন আর এ কাব্য নয়,

এবার কঠোর কঠিন গদ্যে আনো।

পদলালিত্য ঝংকার মুছে যাক,

গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো।

প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা,

কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি।

ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়,

পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।


মনে পড়ে?


মনে পড়ে,বনগাঁ লাইনের গণিতজ্ঞ এক নমোশুদ্র কবি নিজেকে অশ্বিনী নক্ষত্রের কবে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন?


তাহা এবং বাকি যাহা বাঙালিত্ব বা বাংলা ভাষা,সবকিছুি কি শেষ পর্যন্ত পাড়ুই কান্ড ও অধুনা শাসক দলেক নেতা সাংসদের সুবচন যেমন রেপ করিয়ে দেব, মুন্ডু ছিঁড়ে নেব,তোকে শালা কেউ বাঁচাতে পারবে না,আন্দোলনে মদের গন্ধ, ইত্যাদি ইত্যাদি?


ফেসবুকের মন্তব্য বিবেচনীয়ঃগতকাল তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শ্রী গৌরিশঙ্কর দত্ত বলেছেন"সুশাম্ত ঘোষের মতো সিপিএম নেতারা আমাদের নেত্রীর সমালোচনা করলে মুন্ডুটা ছিঁড়ে নেবেন। বিজেপি মাথা উঁচু করে চোখ রাঙালে মাথা ছিঁড়ে নেবেন।" এই মন্তব্য শোনার পর এমনটা ভাবার কারন নেই যে আগামীকাল থেকেই তৃনমূলের সমর্থক-কর্মীরা বিরোধীদের মুণ্ডু ছেদন শুরু করে দেবেন। এই ধরনের মন্তব্য না করলে ঐ দলে নিজের অবস্থানকে উন্নিত করা যায় না। এ ছাড়াও একটা দল যখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় থাকে তাদের এই ধরনের মন্তব্য কারার অর্থ তারা ভিত হয়ে পরেছে। বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের সংগঠনকে ধরে রাখতে এই ধরনের গরম গরম বক্তব্য রাখতে হচ্ছে। শহর কৃষ্ণনগর বিধান সভায় শাসক দল বিগত লোকসভা নির্বাচনে মানুষের মনে দাগ কাটতে পারেনি। সেই হতাশা থেকেই কি জেলা সভাপতির এই রকম মন্তব্য না এই ধরনের মন্তব্য করলে দলের নেক নজরে পরার জন্য এই ধরনের মন্তব্য তা আগামি দিনই বলবে। আমরা অপেক্ষায় থাকবো।



আমরা আমাদের মাতৃভাষা নিয়ে সবচেয়ে বেশি গর্ব করি বাংলাভাষার জাতিসত্তাকে মুলধন করে বাঙালিক গোটা একটা দেশ কয়েকদশক আগে যে দেশ  অবধি আমাদের দেশ ছিল,যে দেশে গাঙচিল হযে জন্ম নেওয়ার সাধ ছিল আধুনিক বাংলা কবি জীবনানন্দ দাসের, যে দেশের পল্লীজীবনের নক্সী কাঁথা বুনেছিলেন একজন মুসলমান কবি জসিমুদ্দীন,গানে সুর যুগিয়েছেন আব্বাসুদ্দীন তো আর এক মোছলমানের ছেলে কাজি নজরুল ইসলাম আমদের অগ্নিবীণার ঝন্কার, বন্কিম আমাদের সাহিত্যসম্রাট এবং এখনো শরত্চন্দর এই উপমহাদেশে শুধু সাহিত্যেই নয়, হলিউডি ভারতীয় সিনেমাতেও বেস্ট সেলার


এশিযার সব চেয়ে বড় দুজন সিনেমার মানুষ ঋত্বিকঘটক ও সত্যজিত রায় আমাদের গৌরব নেতাজি আমাদের,বিবেকানন্দও আমাদের,তারও পরে সাবর উপরে আছেন রবীন্দ্রনাথ- এরাঁ সবাই মিলে বাংল ভাষাকে যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন,বৌদ্ধময় ভারতের ঐতিহ্য,অনার্য জনগোষ্ঠি,ইসলামি শাসনের পর ইংরেজ আগমন এবং তারপর মার্ক্সবাদী প্রগতি বিচারধারা, ফকীর বাউলের দেহতত্ব,চৈতন্য মহাপ্রভুর বৈষ্ণব আন্দোলন, মতুয়া আন্দোলন,কৃষক আদিবাসী বিদ্রোহের ইতিহাস, অশ্পৃশ্যতা মোচন,নবজাগরণ,এই সব নিয়েই ত বাংলা ভাষা,বাংলা সংস্কৃতি,বাঙালি পরিচিতি,বাংলার ইতিহাস ভুগোল যা ভাগ হয়েও ভাগ হয়নি


এই পরম্পরায় আজ চ্যানেলে চ্যানেলে যে ভাষার সঙ্গে সহবাস আমাদের,ষাঁড় সংস্কৃতির যে দেহগাথা,অসহিষ্ণুত জাত বজ্জাতির যে সমাজ বাস্তব,যে শাসকশ্রেণীর এক চেটিয়া আধিপাত্য- সেই নিরিখে একবার আমাদের বর্তমান অতীত ও ভবিষ্যতকে বিবেচনা করে দেখুন ,কতটা ঠিক লিখেছিলেন নীরদ সি চৌধুরি- আত্মঘাতী বাঙালি?


রাষ্ট্রজীবনে বাঙালির কোনো ভূমিকা নেই


বাঙালির পল্লী,বাঙালির জনপদ নিশ্চিহ্ন।ক্ষেত শ্মশান।কলকারখানা জুট মিল চা বাগান পর্যটন বন্ধ।ব্যবসা বানিজ্য শিল্প লাটে।শুধু বংস পরম্পরায় লাটসাহেবি, গুলবাজি এবং সার্বজনীন মদ মাগি মাংস তন্ত্র বিধান।


বাঙালির লোক সংস্কৃতি বাজারে পণ্য


বাঙালি মেয়েরা সতীদহন,বহুবিবাহ.অশিক্ষার অন্ধাকার ডিঙিয়ে আজ বিপর্যস্ত,ধর্ষিতা ঘরে বাইরে,রাস্তায় ঘাটে এমকি রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনেও


তারওপরে রবীন্দ্রসঙগীতের ন্যাকামি করার অধিকার, নজরুলের ছোখের জলের ভাগ আমরা দাবি করতে পারুন কিনা ভাবুন

রাজনৈতিক মেরুকরণ কোন ধ্বংসাবশেষে পরিণত করছে আমাদের যে মুখ্যমন্ত্রীর কবিতার বই বেস্টসেলার,সুকান্ত ভট্টাচার্য কেউ পড়ছেই না,যেহেতু সে কম্যুনিস্ট


সুকান্তকে মনে পড়ে?


মনে পড়ে সেই পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি ?


কমরেডদেরও সুকান্তের কবিতা পড়ার সময় আছে কিনা জানিনা,যধি ঔ কবিতা পড়ার অপরাধে কেউ রেপ করিয়ে দেয়,কেউ ঘরে আগুন লাগিযে দেয়,যদি ঘাতকের হাতে প্রাণ যায়, যদি আততায়ীরসুখের সংসারে ঝাঁপিয়ে পড়ে,যদি সন্তানের বিপদ হয়.যদি রুজি রোজগার চাকরি বাকরি নিষিদ্ধ হয়ে যায় বা সালিশি করে জরিমানা বাবদ রেপ করে গাছে ঝুলিয়ে দেয়, প্রাণ বা ইজ্জত নিয়ে নেয়- এই হল ভয়?


বাঙালিরা সবাই তাই উটপাখি এখন


রাস্তা ঘাটে ঘরে বাইরে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে য়াঁড়ের দাপট চলছে- এতটাই যে পুলিশ ডাকিয়ে,দশ দিক অন্ধকার করে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ছাত্রদের লাঠিপেটা করাত হয়,ছাত্রীদের শ্লীলতা হানির ঢালাও বন্দোবস্ত করতে হয,তার প্রতিবাদে আন্দোলন হলে কোনো এক সাংসদ,ঘটনাচক্রে যিনি আবার কবি মুখ্যমন্ত্রীর প্রোমোটার ভাইপো কবিতা লিখে রবীন্দ্র নজরুল সুকান্তদের কবিতা ছাপিয়ে লিখে ফেলেন ঐতিহাসিক আরেকটি কবিতা- মদ গাজা ভাঙ বন্ধ,তাই বুঝি আন্দোলনের গন্ধ


বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলনের মোকাবিলা স্কুল পড়ুযা পার্টি কর্মীদের মিছিল করতে হয়,নির্যাতিতার বাবাকে বাধ্য করা হয আন্দোলনের বিরুদ্ধে কামদুনি হয়ে যেতে - এবং তারও পর শিক্ষাম্ন্ত্রী বহিরাগতদের আন্দোলনের বিপক্ষে উপাচার্যকে বরখাস্ত করার দাবি নসাত করে অবলীলাক্রমে বলেই ফেলেন- উপাচার্যকে সরানোর প্রশ্ন ওঠে না


নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুডির মত বরেণ্য ব্যাক্তিকে শ্লীলতাহানির তদন্তে নিয়োগ করতে হয় এবং নিগৃহিতার বিচারের ভার পুরুষ আধিপাত্যেরই হাতে তুলে দিতে হয়


যাদবপুরের নিগৃহীতা ছাত্রীর অভিযোগ সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে দিল সরকার গঠিত কমিটি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেন চেয়ারম্যান সুরঞ্জন দাস। পরে কমিটির দুই সদস্য দেখা করেন নির্যাতিতার সঙ্গে। অন্যদিকে, কমিটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান।

অন্যদিকে,ধূপগুড়ি কাণ্ডে ফের অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার৷ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করল ধূপগুড়ির মৃতার পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী নয় প্রয়োজনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কথা জানালেন মৃতার বাবা৷ জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্তবর্তী ধূপগুড়ি কাণ্ডে মৃতা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলেছে মন্তব্য করলেন বুধবার। প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন জেলার ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই কর্মী সমর্থকরা৷ এরই মধ্যে  দুই মহিলাকে গাছে বেঁধে মারারা ঘটনায়  অভিযোগ দায়ের করা হল পাঁচজনের বিরুদ্ধে।  নিগৃহীত মহিলার নামে মারধর এবং তাঁর স্বামী সহ আরও ছয় জনের নামে পাল্টা ছিনতাই ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁদের দুই প্রতিবেশী। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ফালাকাটা থানার ঘটনা।



ক্যাম্পাসে পড়াশুনার পরিবেশ ফিরুক, চান প্রতিবাদী পড়ুয়ারাও। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে ,তার বিচার পেতে গেলে তো আন্দোলন-বিক্ষোভ ছাড়া পথ নেই, বলে জানাল গণ-জাগরন মঞ্চের ছাত্র-ছাত্রীরা৷ কনভেনশনে যোগ দিয়েছেন অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। যোগ দিয়েছেন যাদবপুরের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো বিশিষ্টজনেরাও। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কবি শঙ্খ ঘোষ বলেছেন, আত্মমর্যাদাবোধ থাকলে পদত্যাগ করতেন উনি। যাদবপুরকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্রও।

তবে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনড় গণ-কনভেনশন যোগ দেওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আন্দোলন করার নির্দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচয় পত্র দেখিয়ে প্রবেশের নির্দেশ মানতেও নারাজ তাঁরা। ফেটসুর সাধারণ সম্পাদক চিরঞ্জিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, লালবাজার অভিযান স্থগিত রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি দেওয়া পোস্টার কাণ্ডের সমালোচনা করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷


বুধবার তিনি তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, খুনের হুমকি দিয়ে সাংসদ অভিষেকের মুখ বন্ধ করা যাবে না৷খুনের রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলেই এদিন জানিয়ে দেন তিনি৷


তাঁর অভিযোগ, বাংলায় খুন, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিরোধীরা৷ সিপিএম, বিজেপি ও অতি বামেরা ছাত্রদের এই অন্যায়ে মদত দিচ্ছে বলে মনে করেছেন পার্থবাবু৷আর উৎসবের মুখে ইচ্ছে করে একদল ছাত্র অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে৷


তা তৃণমূল কখনই হতে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি৷ আর এই ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ভাইফোঁটার পর থেকে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এদিন একথা ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷


আজকালের প্রতিবেদনঃ

দবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিসি নির্যাতনের ঘটনাকে অবশেষে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে মম্তব্য করলেন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্হা কাটাতে শেষ পর্যম্ত নিজেই তিনি মুখ খুললেন৷‌ মঙ্গলবার উপাচার্য বলেন, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক৷‌ ছাত্রছাত্রীরা আলোচনায় বসুক৷‌ আলোচনাতেই সব সমাধান উঠে আসবে৷‌ ইতিমধ্যে তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন৷‌ খুব শিগগিরই কাজে যোগ দেবেন বলেও জানিয়েছেন উপাচার্য৷‌ এদিকে, নজরুল মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে এদিনই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, অভিজিৎবাবুকে সরানোর কথা ভাবছে না শিক্ষা দপ্তর৷‌ পার্থবাবু বলেছেন, উপাচার্য যদি স্বেচ্ছায় সরে যেতে চান, যেতেই পারেন৷‌ না হলে তাঁকে সরানো হচ্ছে না৷‌ আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিস্হিতি ফিরে আসুক৷‌ পঠনপাঠন চালু হোক৷‌ অন্যদিকে, আন্দোলনে এখনও পর্যম্ত অনড় মনোভাব ছাত্রছাত্রীদের, তাই গণকনভেনশনের প্রস্তুতিই নিচ্ছেন তাঁরা৷‌ আজ, বুধবার এই গণকনভেনশন হবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে৷‌ কনভেনশনে যোগ দেবেন বহু বিশিষ্ট মানুষ এবং যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব অন্যান্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা৷‌ এই কনভেনশন উপলক্ষে আজ একটি মিছিল করবেন ছাত্রছাত্রীরা৷‌ গড়িয়াহাট থেকে তাঁরা যাদবপুর আসবেন৷‌ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য সহ-উপাচার্যের মাধ্যমে যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা এদিন কোনও বৈঠক করেননি বলে খবর৷‌ ছাত্রদের তরফ থেকে বলা হয়, মহালয়া উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় তাঁরা এদিন অন্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেননি৷‌ ফলে উপাচার্যের প্রস্তাবের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধাম্ত নেওয়া যায়নি বলে খবর৷‌ আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশের স্পষ্ট বক্তব্য, উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় আমাদের তেমন উৎসাহ নেই৷‌ যে উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিস দিয়ে এভাবে মারধর করতে পারেন, তাঁর পদত্যাগই আমরা দাবি করেছি৷‌ এছাড়া আলোচনার কোনও জায়গা নেই৷‌ উপাচার্যের বক্তব্য নিয়েও অবশ্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আবার বিতর্ক শুরু হয়েছে৷‌ তাঁরা বলেন, উপাচার্য ঠিক কোন ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি৷‌ ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের ঘটনা? না, তা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন এবং তার জন্য পুলিসের লাঠিচার্জ, মারধর! কাজেই যতক্ষণ না এটা পরিষ্কার হচ্ছে, ততক্ষণ উপাচার্যের এই দুঃখপ্রকাশের বিষয়টা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল৷‌ তবে ছাত্রছাত্রীদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এবং তারা আলোচনায় বসুক– এ কথা বলায় ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের বিষয়টিকেই উপাচার্য দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন বলে মনে করছেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের কেউ কেউ৷‌ ছাত্রনেতা চিরঞ্জিত ঘোষ বলেন, আগমী দু'দিন কয়েকটি বড় বড় কর্মসূচি রয়েছে৷‌ তা নিয়ে আলোচনা চলছে৷‌ তার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন৷‌ সব বিষয়টা নিয়েই আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে৷‌ বৈঠক করে বিষয়টার সিদ্ধাম্ত নেওয়া হবে৷‌ প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার পর যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা সোমবার একটি গ্রুপ বৈঠক করেন৷‌ সেখানেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধাম্ত হয়৷‌ বুধবার গণকনভেনশন এবং বৃহস্পতিবার লালবাজার অভিযান ও গ্লোবাল প্রোটেস্ট ডে পালনের সিদ্ধাম্ত নেওয়া হয়েছে৷‌ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশা, ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে যোগ দেওয়া, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে সেদিনই৷‌


আসানসোল থেকে দেবব্রত ঘোষ জানাচ্ছেন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিসের আক্রমণ এবং উপাচার্যের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ জানাল আসানসোল সিভিল রাইটস অ্যাসোসিয়েশন৷‌ মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ আসানসোলের রবীন্দ্রভবন প্রাঙ্গণে প্রায় ২০০ মানুষের ওই প্রতিবাদসভায় বক্তব্য পেশ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রাক্তন ছাত্রী সুদীপ্তা পাল৷‌ তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের শাম্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর শাসক দলের পুলিস যে আক্রমণ করেছে, তা প্রতিবাদের কোনও ভাষা নেই৷‌ উপাচার্য নিজেকে নিশ্চিম্ত করতে ছাত্রছাত্রীদের পুলিসের লাঠির সামনে ফেলে দিয়ে পালিয়েছেন৷‌ ওই সভায় অন্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ডাঃ স্বাতী ঘোষ, ডাঃ মুক্তেশ ঘোষ ও সোমনাথ চ্যাটার্জি৷‌


চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: শাম্তিনিকেতন, ২৩ সেপ্টেম্বর– অনুমতি ছাড়া সাংবাদিক ও বহিরাগতদের ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিব ড. ডি গুণশেখরণ এক নির্দেশিকায় সব অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানদের জানিয়েছেন, এ ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে যেন কর্মসচিবকে জানানো হয়৷‌ কর্মসচিবের এই নিষেধাজ্ঞাকে বিশ্বভারতীর সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদী শিক্ষক সংগঠন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেছেন৷‌ বি জে পি সমর্থিত এই সংগঠন অধ্যাপক সভা নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগারে মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে৷‌ সংগঠনের পক্ষে অধ্যাপক বিপ্লব লোহ চৌধুরি জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাঁরা কর্মসচিবের অনুমতি নিয়েই সাংবাদিকদের ডেকেছেন৷‌ তিনি বলেন, যে কোনও জায়গায় যদি স্বাধীনতা হরণের চেষ্টা হয় তা হলে তাঁদের সংগঠন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের পাশেই থাকবেন৷‌ বিপ্লববাবু জানান, অধ্যাপক সভার নির্বাচনে তাঁরা পাঁচটি আসনে লড়ছেন৷‌ অন্যদিকে কর্মসচিবের নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকেরা কীভাবে বিশ্বভারতীতে ঢোকার অনুমতি পাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷‌ হাজার হাজার পর্যটকদের (বহিরাগত) এই অনুমতি দেওয়ার পদ্ধতি কী হবে? কোথা থেকে পাওয়া যাবে সেটাও পরিষ্কার নয়৷‌ কারণ বিশ্বভারতীতে আগে থেকেই ক্যামেরা নিয়ে আশ্রম চত্বরে বা বিশ্বভারতীর এলাকায় ঢুকতে অনুমতি লাগত৷‌ জনসংযোগ অফিসে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে রবীন্দ্রভবন ব্যতীত ছবি তোলার অনুমতি দেওয়ার প্রথা আজও চালু আছে৷‌ আশ্রম চত্বরে ক্লাস চলাকালীন ভেতরে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে উপাচার্য রজতকাম্ত রায়ের আমল থেকেই৷‌ তা হলে নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞা কেন? বিশেষ করে কলাভবনে সম্প্রতি ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনার পরে-পরেই এই নিষেধাজ্ঞাকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে৷‌ যদিও বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার কোনও উদ্দেশ্য বিশ্বভারতীর নেই৷‌ কিন্তু বিশ্বভারতীতে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস হয়৷‌ সেই ক্লাস চলাকালীন অনেকেই ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে ঢুকে পড়েন৷‌ সেখানে কে সাংবাদিক আর কে নয় তা বোঝা যায় না৷‌ সে জন্যই ক্যাম্পাসে ঢোকার আগে কর্মসচিবের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷‌


আজকালের প্রতিবেদন: যে ভাষায় ঘেরাওয়ের সমালোচনা করলেন, সে ভাষায় মধ্যরাতে যাদবপুরের পড়ুয়াদের ওপর পুলিসি নির্যাতনের নিন্দা শোনা গেল না তাঁদের মুখে৷‌ এ বিষয়ে সরাসরি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে কী পরিস্হিতিতে পুলিস ডাকা হয়েছিল তার ব্যাখ্যাই দিলেন উপাচার্যরা৷‌ অনেকে আবার অতীতে ঘটনার প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন৷‌ তবে ভিন্ন সুর শোনা গেল প্রেসিডেন্সির উপাচার্যের গলায়৷‌ বিশেষ কাজ থাকায় সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন না প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া৷‌ এদিন সি আই আইয়ের এক অনুষ্ঠানে ঘেরাওয়ের পাশাপাশি পুলিসি নির্যাতনের সমালোচনা করেন তিনি৷‌ বলেন, এভাবে এতক্ষণ ধরে ঘেরাও চলাটা দুর্ভাগ্যজনক৷‌ তার থেকেও বেশি দুর্ভাগ্যজনক ক্যাম্পাসে পুলিস ঢোকা৷‌ আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব৷‌ প্রেসিডেন্সিতে আমরা এ বিষয়ে যথেষ্টই সতর্ক৷‌ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মিছিলের পর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাশে এসে দাঁড়ালেন রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা৷‌ মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠকও করেন তাঁরা৷‌ ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতনলাল হাংলু, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন ভট্টাচার্য, উত্তরবঙ্গের উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ, বর্ধমানের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা মুখার্জি, সিধু-কানহু-বীরসার উপাচার্য শমিতা মান্না ও উচ্চশিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা৷‌ যে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ছিলেন না তাঁরা বিশেষ কাজ পড়ে যাওয়ায় আসতে পারেননি বলে জানান রঞ্জন চক্রবর্তী৷‌ তিনি দাবি করেন, প্রত্যেকেই তাঁদের সঙ্গে আছেন৷‌ উপাচার্যদের বক্তব্য হিসেবে যেটি বিলি করা হয় তার মূল বক্ত্যবটি হল, সেদিন এতরাত পর্যম্ত উপাচার্য-সহ কার্যকরী সমিতির সদস্যদের ঘেরাও করে রাখার ঘটনায় তাঁরা গভীরভাবে বেদনাহত৷‌ ঘেরাও না করে শাম্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যেত৷‌ যাদবপুরের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এখনকার পরিস্হিতিতে তাঁরা গভীরভাবে বিচলিত বোধ করছেন৷‌ উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী একজন প্রসিদ্ধ শিক্ষক এবং গবেষকই শুধু নন, তিনি একজন ভাল প্রশাসকও বটে৷‌ নিগৃহীতা ছাত্রীর অভিযোগের যথার্থতা অনুসন্ধানের উচ্চশিক্ষা দপ্তর ইতিমধ্যেই একটি কমিটি করেছে৷‌ মেয়েটির বাবা এই কমিটির ওপর আস্হা রেখেছেন৷‌ তাই ছাত্রদের প্রতি আমাদের অনুরোধ তারা যেন ক্লাসে ফিরে যায়৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের স্বাভাবিক অবস্হা যেন ফিরে আসে৷‌ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই যে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব৷‌ তাঁরা ঘেরাওকে সমর্থন করছেন না আবার মাঝরাতে ছাত্রদের ওপর পুলিসি আক্রমণ নিয়েও স্পষ্ট কিছু বলছেন না৷‌ তাহলে কি তাঁরা পুলিসি হামলাকে সমর্থন করছেন? জবাবে বিদ্যাসাগরের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, কঠিন প্রশ্ন৷‌ উপাচার্যরাও শিক্ষক৷‌ তাঁরা কখনোই পুলিস ডাকতে চান না৷‌ কারণ পুলিস যখন তার 'অ্যাকশন' শুরু করে তখন তার ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না৷‌ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পুলিস কাজ করে না৷‌ তাদের নিজস্ব পম্হা রয়েছে৷‌ আমি এ বিষয়ে কোনও মম্তব্য করব না৷‌ সেদিন বিশেষ অবস্হার মধ্যে দিয়ে অভিজিৎবাবুকে পুলিস ডাকতে হয়েছিল৷‌ উনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছিলেন৷‌ অসুস্হ বোধ করছিলেন৷‌ এই ধরনের ঘটনার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে৷‌ অভিজিৎবাবু অত্যম্ত ছাত্রদরদি শিক্ষক৷‌ ৩০ বছর শিক্ষকতা করছেন৷‌ আমরা ওঁর সহকর্মী৷‌ উনি নিরুপায় হয়েই পুলিস ডেকেছিলেন বলে আমাদের বিশ্বাস৷‌ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুলিস আসা বাঞ্ছনীয় তা বলছি না, কিন্তু কোন পরিস্হিতিতে ডাকা হয়েছিল সেটাও দেখতে হবে৷‌ এর আগেও অনেক ঘেরাও হয়েছে৷‌ সম্প্রতি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিগ্রহের মতো ঘটনা ঘটেছে৷‌ তখন কেন তাঁরা সরব হননি, এখন কেন? কোনও চাপে পড়ে কি তাঁদের এই সাংবাদিক বৈঠক? জবাবে রঞ্জন চক্রবর্তী, রঞ্জন ভট্টাচার্য ও সোমনাথ ঘোষরা বলেন, তাঁরা কেউ যাদবপুরের প্রাক্তনী, কেউ শিক্ষকতা করেন, এখন লিয়েনে আছেন৷‌ তাই যাদবপুরে ছাত্র আন্দোলনের জন্য পঠনপাঠন যেভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তাঁদের অনুরোধ, স্হিতাবস্হা ফিরে আসুক৷‌ কারণ, যে অবস্হা চলছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নেমে যাচ্ছে৷‌ ৮ দিন হয়ে গেছে৷‌ কোথাও তো এর শেষ হওয়া দরকার৷‌ শ্লীলতাহানির ঘটনা সামনে আসার পর তাঁরা কেন কিছু বলেননি? এক্ষেত্রে উপাচার্যদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয় একটা পদক্ষেপ করেছে৷‌ তদম্ত কমিটি হয়েছে৷‌ তার রিপোর্ট আসার আগেই সেই কমিটির নিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে ঘেরাও-আন্দোলন শুরু হল৷‌ ঘেরাও কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না৷‌ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা থাকবেই৷‌ কিন্তু ঘেরাও কোনও সমাধান নয়৷‌ কোর্ট, ই সি-র মতো কমিটিগুলিতে অনেক বাইরের সদস্য থাকেন৷‌ এভাবে ঘেরাও হলে তাঁরা কোনও বৈঠকে আসতে চাইবেন না৷‌ কমিটিগুলো কাজ করতে সমস্যা হবে৷‌ রতনলাল হাংলু বলেন, এ রাজ্যের বাইরে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘেরাও হয় না৷‌ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলেও কোনও ছাত্র আন্দোলন বা ঘেরাও হয়নি৷‌ কর্তৃপক্ষ তদম্ত কমিটি করে এবং দোষীদের শাস্তি হয়৷‌ যাদবপুরের উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোমনাথ ঘোষ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্হা নিয়ে উদ্বিগ্ন৷‌ পদত্যাগের দাবি অযৌক্তিক৷‌ বারবার উপাচার্যদের কাছে কর্তৃপক্ষের আরও ধৈর্য ধরা উচিত ছিল কিনা, পুলিস ডেকে ঘেরাও তোলা সমর্থন করেন কিনা, পুলিসের হাতে ছাত্রদের মার খাওয়াকে সমর্থন করেন কিনা নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রত্যেকবারই তাঁরা স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি৷‌ বারবারই বলেন, পরিস্হিতি বিবেচনা করতে হবে৷‌ ওই পরিস্হিতিতে ছিলাম না তাই মম্তব্য করব না৷‌ ঘেরাও এবং ক্যাম্পাসে পুলিস ডাকা নিয়ে কর্মশালা করার অবকাশ রয়েছে বলেও মম্তব্য করেন তাঁরা৷‌


আজকালের প্রতিবেদন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজাবাজার ক্যাম্পাসের শারীরবিদ্যা বিভাগের শিক্ষিকা রোশনারা মিশ্রর নামে এবার অভিযোগ দায়ের হল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায়৷‌ ১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷‌ উল্লেখ্য, ছাত্র সংসদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে৷‌ যদিও ওই দিন রোশনারাদেবী ক্যাম্পাসে ছিলেন না৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের ন্যানো সেন্টারে আয়োজিত একটি সেমিনারে অংশ নেন তিনি৷‌ তা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে 'রাজনৈতিক' উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ করা হয়েছে৷‌ প্রসঙ্গত, রোশনারাদেবী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ডাঃ সূর্যকাম্ত মিশ্রের মেয়ে৷‌ এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন কুটার সম্পাদক দিব্যেন্দু পাল বলেন, যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার প্রত্যেকটি মিথ্যে৷‌ যে যে ধারায় অভিযোগ জানানো হয়েছে, তার মধ্যে দু-একটি জামিন অযোগ্য৷‌ ওই দিন রোশনারা ক্যাম্পাসেই ছিলেন না৷‌ বিষয়টি আমরা উপাচার্যকে জানিয়েছি৷‌ ১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যম্ত রাজাবাজার ক্যাম্পাসে 'পেন ডাউন'-এর সিদ্ধাম্ত নেওয়া হয়েছে৷‌ উপাচার্য এই সিদ্ধাম্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন৷‌ আমরা আজ, বুধবার সকালে ক্যাম্পাসের গেটে দাঁড়িয়ে সিদ্ধাম্ত নেব৷‌ প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজাবাজার ক্যাম্পাসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডার একটি সভা ছিল৷‌ অভিযোগ, এই সভার পরই গোলমাল হয়৷‌ টি এম সি পি-র কিছু সমর্থকের সঙ্গে কিছু বহিরাগত তৃণমল কর্মী শারীরবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়াদের ওপর চড়াও হয়৷‌ তাঁরা তখন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া দিচ্ছিলেন৷‌ খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে আসেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস৷‌


আজকালের প্রতিবেদন: চিটফান্ড ও স্হানীয় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে মানুষের অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে৷‌ ফলে এই আন্দোলনের ওপর জোর দিতে হবে৷‌ মঙ্গলবার সি পি এম রাজ্য কমিটির বৈঠকে সদস্যদের আলোচনায় এই মত উঠে এসেছে৷‌ পাশাপাশি এদিন সদ্য শেষ হওয়া উপনির্বাচনে দলের ব্যর্থতা নিয়েও আলোচনা হয়৷‌ এদিন রাজ্য কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাঃ সূর্যকাম্ত মিশ্র৷‌ গত রাজ্য সম্মেলনের পরবর্তী সময়ে দলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কাজের পর্যালোচনা শুরু হয়েছে৷‌ উল্লেখ্য, আগামী বছর এপ্রিল মাসে সি পি এম পার্টি কংগ্রেসের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়ে গেছে৷‌ ফলে তার আগে এ রাজ্যে দলের শাখা সম্মেলন থেকে শুরু করে রাজ্য সম্মেলন শেষ করতে হবে৷‌ গত বিধানসভা নির্বাচনে বামপম্হীদের পরাজয়ের পর থেকেই দলের মধ্যে এবং বাইরে নেতৃত্ব বদলের দাবিতে একাংশ সোচ্চার৷‌ কমিউনিস্ট পার্টিতে নেতা বদলে সংগঠনকে চাঙ্গা করে তোলার একমাত্র পথই হল সম্মেলন৷‌ আগামী মাস থেকেই শুরু হয়ে যাবে শাখা ও আঞ্চলিক সম্মেলন৷‌ তারপর জেলাগুলোর সম্মেলন শেষ করে রাজ্য সম্মেলন করা হবে৷‌ স্বভাবতই জেলায় জেলায় কর্মী-নেতারা ইতিমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছেন৷‌ শুরু করে দিয়েছেন সম্মেলনের প্রস্তুতি৷‌ সম্মেলনের দিনক্ষণ নিয়ে আজ বুধবার বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা গেছে৷‌ সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে যে আন্দোলন-কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল এদিন তার পর্যালোচনা করা হয়৷‌ জেলাগুলি যা রিপোর্ট দিয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, স্হানীয় সমস্যা ও চিটফান্ড নিয়ে আন্দোলনের প্রতি কর্মী-সমর্থকেরা বেশি আগ্রহী৷‌ বিভিন্ন জেলায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নিয়েছেন৷‌ এদিন বৈঠকে বেশ কিছু সদস্য রবীন দেবকে সি বি আই দপ্তরে ডাকার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷‌ জানতে চান, সারদার মতো ঘটনায় কোন সূত্রে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এই নেতার নাম উঠল? প্রকৃত অবস্হা কী? পাশাপাশি এদিন সদস্যদের আলোচনায় উঠে এসেছে চিটফান্ড নিয়ে বিক্ষোভ-অবস্হানে বহু নতুন মানুষের সমাবেশ ঘটেছে৷‌ দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের অসম্তোষ ক্রমশ বাড়ছে৷‌ এই পরিস্হিতিকে কাজে লাগাতে হবে৷‌ চা-শ্রমিক, পরিবহণ শ্রমিক, গ্রামে রেগায় মজুরি না-পাওয়া নিয়ে মানুষ আরও বিস্তৃত আন্দোলন চাইছেন বলে মনে করছে রাজ্য কমিটি৷‌ বিশেষ করে চিটফান্ডে প্রতারিত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চায় সি পি এম৷‌ এদিন রাজ্য কমিটির সভায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিসি হামলার ঘটনা নিয়ে রাজ্যর সর্বত্র যে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা বিভিন্ন জেলার সদস্যদের কথায় উঠে এসেছে৷‌ এদিন সভার বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কাম্তি বিশ্বাস জানান, এই ঘটনা গোটা দেশের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মুখে চুন-কালি লাগিয়ে দিয়েছে৷‌ বলেন, আমি ২৫ বছর এ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম৷‌ কখনও শিক্ষাক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের ওপর এভাবে পুলিসকে লাঠি চালাতে হয়নি৷‌ নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে সেদিন৷‌ অন্যান্য রাজ্য থেকে আমার পরিচিত শিক্ষাবিদেরা ফোন করে জানতে চাইছেন, কী ভাবে এমনটা ঘটল? উপাচার্যের যদি মানবিকবোধ থাকে তা হলে এখুনি তাঁর পদত্যাগ করা উচিত৷‌






গতকাল তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শ্রী গৌরিশঙ্কর দত্ত বলেছেন

সারদা অর্থ লগ্নি সংস্থার মিডল্যান্ড পার্কের অফিস বাজেয়াপ্ত করল ইডি৷ এটি সংস্থার হেড অফিস৷ বুধবার সকালে মিডল্যান্ড পার্কের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলের তল্লাশি চালায় ইডির গোয়েন্দাকারীরা৷ বাজেয়াপ্ত করা হয় অফিসটিকে৷ একই সঙ্গে তল্লাশি চালানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গেও৷

ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের ২৪ থেকে ২৫টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন  ইডি কর্তার৷ জানা গিয়েছে, বুধবারই লাটাগুড়ির 'অরণ্য ভিউ' নামের একটি রিসর্টে হানা দেন ইডি কর্তারা দেবব্রত করের নেতৃত্বে চার সদস্যের এক দল৷ ২০০৮ সালের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিত্ত নিগম থেকে লোন নিয়ে তিন ব্যবসায়ী এই রিসর্টটি কেনেন৷ কিন্তু লোনের টাকা শোধ না হওয়ায় সুদীপ্ত সেনকে আট কোি টাকা মূল্যের ওই সম্পত্তিটি হস্তান্তর করে দেন তাঁরা৷ সেই সূত্র ধরেই লাটাগুড়িতে হনা দেয় ইডি৷ এখনও সারদার সম্পত্তির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গে৷জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রিসর্টের কেয়ার টেকার দিলওয়ার হোসেনকেও৷

একই সঙ্গে  ডুয়ার্সের বানারহাটের কলাবাড়ী এলাকায় সারদার আমার ডেয়ারী দুগ্ধ প্রকল্পে হানা দেয় ইডি৷ এছাড়াও জলপাইগুড়ি জেলার বেশ কিছু জায়াগায় তল্লাশি চালায় বলে খবর৷এদিন তারা ডুয়ার্সের বেশ কিছু এলাকাতেও তল্লাশি চালায়৷ জানা গিয়েছে, সুদীপ্ত সেন ওই এলাকার বেশ কিছু আদিবাসী জমি কিনেছে৷ যা আইন বিরুদ্ধ কাজ৷ সেই ঘটনার তদন্ত করা হয় এদিন৷

শুভেন্দু-মুকুল রুদ্ধদ্বার বৈঠক

Suvendu-

স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে তৃণমূল ভবনে গেলে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, তৃণমূল ভবনে পৌঁছে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। সূত্রের খবর, সারদা কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছে শুভেন্দুকে।

বুধবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। গত সপ্তাহে তাঁকে তলব করেছিলেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, ২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। যদিও সিবিআই দফতরে যেতে চান বলে মঙ্গলবার রাতে ফোন করেন  নিজেই।  সেইমতো বুধবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে যান তিনি। সারদাকাণ্ডে এই তৃণমূল সাংসদকে শুভেন্দু অধিকারীকে জেরা করল সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর, মেদিনীপুরে সারদার সম্পত্তি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে শুভেন্দুর যোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে আজ তাঁকে সওয়া এক ঘণ্টা জেরা করেন গোয়েন্দারা।

জানা গিয়েছে, মিডল্যান্ড পার্কে প্রায়ই যেতেন তিনি। গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, কেন যেতেন? সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজেই তাঁকে এদিন জেরা করেন গোয়েন্দারা। যদিও জেরার পর সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় বা মিডল্যান্ড পার্কে যাওয়ার বিষয় সুকৌশলে এড়িয়ে যান শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, মেদিনীপুরে সারদার বিভিন্ন সম্পত্তি কেনাবেচার ক্ষেত্রে তাঁর যোগসূত্র রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ সারদাকর্মীদের জেরায় শুভেন্দুর নাম উঠে আসে বলে দাবি সিবিআইয়ের।

মঙ্গলবার সারদাকর্তার গাড়ি চালক অরবিন্দ সিংহ চৌহান দাবি করেন, নিজাম প্যালেসে মুকুল রায়র সঙ্গে বৈঠকের দু'দিন পর রাতে মিডল্যান্ড পার্কে যান তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু। এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে চৌহানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েই তৃণমূল বভনে যান শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সারদা নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণের মুখে নয়া স্ট্র্যাটেজি স্থির করতেই মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করে হোমওয়ার্ক সারলেন শিশির-পুত্র।

========================

http://kolkata24x7.com/kolkata-news/subhendu-mukul-closed-door-meeting.html#.VCM6ypSSxJk

কলকাতা 24x7 এর খবর

পাড়ুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের

কলকাতা | Edited By Dipendu Paul | Updated:September 24, 2014 3:52 IST |

high court kolkata

স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা:  পাড়ুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য, জানালেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। সিটের তদন্তে অসঙ্গতির কারণে তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে খুশি নয় আদালত। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দিয়ে সাগর ঘোষ হত্যা মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

বুধবার পাড়ুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের সময় খুন হন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী, নির্দল প্রার্থী হৃদয় ঘোষের বাবা সাগর ঘোষ। বারবার রাজ্যের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আজ রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি ট্যান্ডনের পর্যবেক্ষণ, এসআইটি বা সিট একপেশে এবং প্রভাবিত হয়ে তদন্ত করেছে। এফআইআরে নাম থাকা সত্বেও অনুব্রত মণ্ডলের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার কেন প্রয়োজন বোধ করল না সিট, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।

অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে ডিজির ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত। তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে ডিজির আলোচনা করাও উচিত হয়নি বলে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ। এ সমস্ত কারণেই এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হল বলে জানিয়েছেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর আদালতে সিবিআইকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।


আইন আইনের পথে চলবে' প্রতিক্রিয়া অনুব্রতর

এপার বাংলা, দক্ষিণবঙ্গ | Edited By Swastika Chowdhury | Updated:September 25, 2014 12:02 IST |

Anubrata 7

সিউড়ি: দশ মাস ধরে মামলা চলার পর অবশেষে বুধবার পাড়ুই-কাণ্ডে রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, 'আইন আইনের পথে চলবে'৷কোর্টের রায়কে মাথা পেতে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তৃনমূল নেতা অনুব্রত৷ঘোষ পরিবারের প্রত্যাশামতই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। সিটের তদন্তের আস্থা না থাকায় এই তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।




আঠারো বছর বয়স-সুকান্ত ভট্টাচার্য



আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ

র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,

আঠারো বছর বয়সেই অহরহ

বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।


আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়

পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা,

এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়–

আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।


এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য

বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে,

প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য

সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে।


আঠরো বছর বয়স ভয়ঙ্কর

তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা,

এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর

এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা।


আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার

পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান,

দুর্যোগে হাল ঠিক মতো রাখা ভার

ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ।


আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে

অবিশ্র্রান্ত; একে একে হয় জড়ো,

এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে

এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো।


তব আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,

এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে,

বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী

এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে।


এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয়

পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে,

এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়–

এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।।


No comments: