আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি ইকবালের নামে চালু হচ্ছে নতুন চেয়ার৷ উর্দু ভাষা চর্চার বিশেষ বিভাগ আর
উর্দু আকাডেমিতে চালু হচ্ছে নিয়মিত ইকবাল গবেষণার বিশেষ সুযোগ৷ এ ছাড়াও প্রতি বছর ইকবালকে ঘিরে একটি অনুষ্ঠান৷ এ সবই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শুক্রবার বিকেলে নজরুল মঞ্চে ঘোষণা করেন৷
তার আগে কবি ইকবালকে মরণোত্তর বিশেষ সম্মান 'তারানা-ই-হিন্দি' জানানো হয় রাজ্য সরকারের তরফে৷ সেই সম্মাননা গ্রহণ করেন কবির পৌত্র ওয়ালিদ ইকবাল৷ তিনি বলেন, এই সম্মান কবি ইকবাল পেলেন রবীন্দ্রনাথের মাটি থেকে৷ রবীন্দ্রনাথ যখন নোবেল পুরস্কার পান তখন ইকবালকে নিয়েও কথা উঠেছিল৷ কিন্তু সমালোচকরা বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথের লেখার মধ্যে মানবিকতা ও আন্তর্জাতিকতা আছে৷ তা ইকবালের লেখার মধ্যে নেই৷ প্রতিবাদ করেছিলেন পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ তেজ বাহাদুর সাপ্রু৷ ইকবাল ১৯০৪ সালে সারে জাঁহা সে আচ্ছা লিরি'টি লিখেছিলেন৷ ভারত স্বাধীন হওয়ার পর জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি পায় রবীন্দ্রনাথের জনগণমন ও জাতীয় গীত হিসেবে স্বীকৃতি পায় বঙ্কিমের বন্দেমাতরম আর ইকবালের সারে জাঁহা সে আচ্ছা৷ ১৯৩৮ সালে মরহুম কবি ইকবাল সমাজবাদে বিশ্বাসী ছিলেন৷ কার্ল মার্কসকে নিয়েও তিনি কবিতা লিখেছিলেন৷
দেশ ভাগের আগে ও পরে তিনি ও তাঁর বংশধর পাকিস্তানেই থেকে যান৷ পৌত্রের কাছ থেকে শোনা গেল পাকিস্তানে তিনি জাতীয় নায়কের মর্যাদা পেলেও ভারতে তাঁর লেখা গানই শুধু গাওয়া হয় অন্য মর্যাদা তিনি এতদিন পাননি৷ তবে ১৯৬৪ সালে টোকিও অলিম্পিকে চরণজিৎ সিংয়ের নেতৃত্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে হকিতে সোনা জেতার পর খেলোয়াড়রা 'সারে জাঁহা সে আচ্ছা' গানই গেয়েছিলেন৷
যে সুরে এখন সাধারণত গানটি বাজে তা পণ্ডিত রবিশঙ্করের দেওয়া৷ লতা মঙ্গেশকরের দেওয়া সুরেও কোথাও কোথাও গাওয়া হয়৷ অনুষ্ঠানে কেউ যদি এটা উল্লেখ করে দিতেন তা হলে হয়ত ইকবাল পৌত্রেরও ভালো লাগত৷
সূত্র : আজকাল
No comments:
Post a Comment