Follow palashbiswaskl on Twitter

ArundhatiRay speaks

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Jyoti basu is dead

Dr.B.R.Ambedkar

Wednesday, August 14, 2013

মহাকরণ স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সরকারি কর্মচারীদের

মহাকরণ স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সরকারি কর্মচারীদের

মহাকরণ স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সরকারি কর্মচারীদের
এই সময়: রাইটার্স বিল্ডিংস থেকে বিভিন্ন দপ্তর হাওড়ার মন্দিরতলায় এইচআরবিসি ভবনে সরানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার মহাকরণে বিক্ষোভে সামিল হল তৃণমূল-বিরোধী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন৷ এইচআরবিসি ভবনে সংগঠনগুলির জন্য কোনও ঘর বরাদ্দ করা হচ্ছে না, এই জল্পনায় ক্ষোভ আরও বাড়ে৷ সংগঠনগুলির বক্তব্য, সরকার যেখানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩৮ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বকেয়া রেখেছে, সেখানে মহাকরণ স্থানান্তর বিপুল অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়৷ কর্মচারীদের এই বিক্ষোভের মধ্যেই রাইটার্স থেকে সমস্ত দপ্তর সরিয়ে ফেলা নিয়ে অবশ্য দফায় দফায় বৈঠক করেছেন প্রশাসনিক কর্তারা৷

রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তর স্থানান্তরের প্রতিবাদে এ দিন দুপুরে মহাকরণে তিনটি কর্মচারী সংগঠন তুমুল বিক্ষোভ দেখায়৷ তারা আলাদা ভাবে মিছিলও করে৷ সিপিএম প্রভাবিত কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ম্ুখ্যমন্ত্রীর সময় খারাপ৷ তাই উনি ভালো সময়ের খোঁজে ১৪ তলার পূর্বমুখী ঘরে বসবেন৷ পাঁচ লক্ষ বর্গ ফুট থেকে দেড় লক্ষ বর্গফুটে মহাকরণ যাবে৷ বেশির ভাগ আসবাবপত্র নদীর জলে ফেলে দিতে হবে৷ এখনই এই সিদ্ধান্ত সরকার প্রত্যাহার না করলে রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসে বিক্ষোভ হবে৷' পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের বক্তব্য, যেখানে সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পাচ্ছেন না, সেখানে রাইটার্স স্থানান্তরের নামে ৩৫০ কোটি টাকা খরচের কোনও অর্থই হয় না৷ এক ধাপ এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন (নবপর্যায়)-এর যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ দাশগুপ্তর অভিযোগ, 'এটা অপচয়৷ জনগণের টাকা আত্মসাত্‍ করে এ সব করা হচ্ছে৷' 

বর্তমানে ১৪টি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের ঘর রয়েছে রাইটার্সে৷ এইচআরবিসি ভবনে কোনও সংগঠনকে ঘর দেওয়া হবে না বলে খবর পেয়ে কর্মচারীদের ক্ষোভ তীব্র হয়েছে৷ সংগঠনগুলির অভিযোগ, ঘর বরাদ্দ না করে সরকার আসলে কর্মচারীদের আন্দোলন করার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে৷ এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা৷ কংগ্রেস প্রভাবিত কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'সরকারি কর্মচারীরা যাতে আন্দোলন করতে না পারেন, সংগঠন করতে না পারেন, সে জন্যই এই ব্যবস্থা৷ প্রয়োজনে আমরা আইনের দ্বারস্থ হব৷' তৃণমূল প্রভাবিত ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের নেতা সঞ্জীব পালের অবশ্য বক্তব্য, 'আমার মনে হয় না মুখ্যমন্ত্রী এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন৷ তাঁর উপস্থিতিতেই মাস কয়েক আগে আমাদের সংগঠনের জন্ম হয়েছে৷ সেই সংগঠনই নতুন ভবনে কাজ করতে পারবে না, এমন সিদ্ধান্ত উনি নেবেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না৷'

এ দিকে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রীতিমতো কর্পোরেট অফিসের কায়দায় এইচআরবিসি ভবন সাজানো হচ্ছে৷ সর্বোচ্চ তলায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তার নীচের তলায় থাকবে তাঁর দপ্তর৷ মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের দপ্তর হবে ১৩ তলায়৷ তবে মহাকরণের খাবারের স্টলগুলি ওই ভবনে যাবে না৷ কেন্দ্রীয় ভাবে একটি মাত্র ক্যান্টিন থাকবে সেখানে৷ 

No comments: