Follow palashbiswaskl on Twitter

ArundhatiRay speaks

PalahBiswas On Unique Identity No1.mpg

Unique Identity No2

Please send the LINK to your Addresslist and send me every update, event, development,documents and FEEDBACK . just mail to palashbiswaskl@gmail.com

Website templates

Jyoti basu is dead

Dr.B.R.Ambedkar

Tuesday, October 7, 2014

পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নির্যাতনে সরকারকে দোষারোপ ইসলামাবাদভিত্তিক গবেষণা সংস্থার জরিপ

পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নির্যাতনে সরকারকে দোষারোপ
ইসলামাবাদভিত্তিক গবেষণা সংস্থার জরিপ
পাকিস্তানে এক জরিপে দেশটিতে সংখ্যালঘু নির্যাতনে জড়িত থাকার দায়ে রাষ্ট্রকে দোষারোপ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, পরম্পরাগত সরকারগুলো ধর্মীয় সহিংসতা রোধ করতে এবং বিতর্কিত ব্লাসফেমি আইন সংশোধন করতেই কেবল ব্যর্থ হয়নি, অনেক রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাও ঘৃণা ছড়ানোর অপরাধে জড়িত আছেন। ইসলামাবাদভিত্তিক এক গবেষণা সংস্থা পরিচালিত ওই জরিপে এ কথা বলা হয়। খবর ডন অনলাইনের। 
এতে দেখা যায় যে, সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের বিষয়টি সামগ্রিক অসাম্য ও সরকারের অমনোযোগিতা, সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অভাবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। জরিপে বলা হয়, ব্লাসফেমির অভিযোগই হলো অমুসলিম সম্প্রদায় এবং এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মুসলমানদের নির্যাতন করার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হাতিয়ার। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজ (পিআইপিএস) 'পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অধিকার : ঐতিহাসিক অবহেলা না রাষ্ট্রের যোগসাজশ?' শীর্ষক ওই জরিপ চালায়। জরিপে চাকরিপ্রার্থী হওয়ার সুযোগসহ অন্যান্য ধরনের বৈষম্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। সিন্ধু প্রদেশের অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর শতকরা প্রায় ৭৩ ভাগ উত্তরদাতা তাঁরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বৈষম্যের সম্মুখীন হন বলে জানান।
খাইবার পাখতুন খাওয়ায় শতকরা ৫০ ভাগ, বেলুচিস্তানে শতকরা ৩১ ভাগ এবং পাঞ্জাবে শতকরা ২৯ ভাগ উত্তরদাতা একই জবাব দেন।
সরকার অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের প্রয়োজন যতখানি পূরণ করে, আপনাদের প্রয়োজনও ততখানি পূরণ করে বলে আপনি মনে করেন কি? এ প্রশ্নের জবাবে শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যদের শতকরা ৯২ ভাগ 'হ্যাঁ', আর শতকরা ৬৩ ভাগ খ্রীস্টান উত্তরদাতা 'না' জবাব দেন।
জরিপে এটা স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, ধর্মভিত্তিক সহিংসতা, বাছাই করে লোকহত্যা, মুক্তিপণের জন্য অপহরণ এবং ঘৃণা সৃষ্টিতে উস্কানিদান কেবল অমুসলিমদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়।
এতে বলা হয়, বেলুচিস্তানের হাজারাসহ প্রধানত শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে প্রায়ই সহিংসতার শিকারে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রের যোগসাজশ আরও একটি উপাদান, যা সংখ্যালঘু নির্যাতনকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে গেছে এবং বিনা শাস্তিতে অপরাধীদের পার পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। 
এতে বলা হয়, যখন বিক্ষুব্ধ জনতার তাণ্ডব ব্লাসফেমির মামলায় আদালতের রায় নির্ধারণ করে এবং শুনানিরত বিচারকদের হুমকি ও হত্যা করা হয়, তখন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং তাদের পক্ষ সমর্থনকারীদের নিরাপত্তা দেয়া জরুরী। ২০১৪ সালে চারটি প্রদেশের ৩২৭ জন উত্তরদাতার ওপর ওই জরিপ চালানো হয়। তারা ছিলেন খ্রীস্টান, হিন্দু, বাহাই ও শিখ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত।
জরিপে দেখা যায় যে, চরমপন্থী মতবাদ মূল ধারায় পরিণত হচ্ছে এবং রাষ্ট্র এতে উৎসাহ যোগাচ্ছে।
এতে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ২০১৩ সালে ১৪ ব্যক্তিকে ব্লাসফেমির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। পাকিস্তানে ব্লাসফেমির দায়ে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি, কিন্তু ১৬ ব্যক্তির নামে মৃত্যুদ-ের রায় দেয়া হয়েছে এবং ২০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছে।

No comments: