Tuesday, October 8, 2013

দশাই,অসুর উত্সব এবং পরবচরিত্রহরণে আস্থা যেসময় বারোয়ারি রাজনীতি পুজোর সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত চারদিনই তো রাজ্যের সমস্ত ব্যাঙ্ক বন্ধ৷ সরাসরি নগদ ভর্তুকি পেতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়৷ সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বদল চেয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী সংস্থা৷ আর্জি খারিজ, গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা বাড়ছে অধীরের

দশাই,অসুর উত্সব এবং পরবচরিত্রহরণে আস্থা

যেসময় বারোয়ারি রাজনীতি

পুজোর সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত চারদিনই তো রাজ্যের সমস্ত ব্যাঙ্ক বন্ধ৷

সরাসরি নগদ ভর্তুকি পেতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়৷ সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বদল চেয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী সংস্থা৷

আর্জি খারিজ, গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা বাড়ছে অধীরের

পলাশ বিস্বাস


Tushar Bhattacharjee shared Sadhan Biswas's photo.

With Rabindranath Hait and 7 others.

Like ·  · Share · 8 hours ago via mobile ·


বৃষ্টি মাথায় তৃতীয়ায় পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল

Tag:  তৃতীয়া,  মুখ্যমন্ত্রী,  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,  রাজ্যপাল

Last Updated: October 7, 2013 20:07বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই তৃতীয়ায় পুজো উদ্বোধন  হল মণ্ডপে মণ্ডপে। বেহালা নূতন দল, বড়িশা ক্লাব, হরিদেবপুর অজেয় সংহতি, সুরুচি সংঘ ৬৬ পল্লি, চেতলা অগ্রনি ক্লাবে পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।  বেহালায় ৩টি ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করলেন রাজ্যপাল এমকে নারায়ণন।


আজ বিকেলে বেহালা দেবদারু ফটক, বেহালা শ্রী সঙ্ঘ, ও বরিশা উদয়ণ পার্ক সার্বজনীন ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল। বৃষ্টির ভ্রুকুটি উপেক্ষা করেই পায়ে হেটে মণ্ডপও পরিদর্শন করেন তিনি। বেহালা দেবদারু ক্লাবের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের ত্রাণ তহবিলে ১১ হাজার ১০০ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। শ্রী সঙ্ঘ ক্লাবের পক্ষ থেকেও ত্রাণ তহবিলে তুলে দেওয়া হয় এক লক্ষ টাকার চেক।


গতকালও মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপের উদ্বোধনে যান। অন্য মেজাজে পাড়ার দোকানের চায়ের আড্ডায় দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


পুজোর সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত

চারদিনই তো রাজ্যের সমস্ত ব্যাঙ্ক বন্ধ

বন্ধ থাকবে সমস্ত কাগজ

অথছ কাগজের দপ্তরে

কর্মীদের থাকছে না ছুটি

হকাররা দিদির ফরমানে

কাগজ তুলবেন না

তাই বন্ধ থাকবেও কাগজও

কর্মীদের নিতে হবে ছুটি

ছুটির দিনেও


কাগজ খুলতেই এখন শুধু

উরু উরু উরু

বুক ধুরু ধুরু

কন্ডোম ঠাশা

হরেক রকম তামাশা

চার দিন পৃথীবীর বাইরে

বাংলা,পৃথীবীর কোনো

খবর থাকবে না কোথাও


টিভি খোলা থাকবে

ধারাভাষ্যের প্রয়োজনে

সুশীল সমাজ এখন

রাজকীয রাজসূয় যজমান




এটিএম কার্ড না থাকলে উপায় একটাই৷ বৃহস্পতিবারের মধ্যে ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রয়োজনীয় টাকা তুলে নিন৷ পুজোর আগে অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক ভাঙাতে হলে আজ সোমবারের মধ্যে ব্যাঙ্কে তা জমা দিন৷ চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে মোবাইল ফোন, ল্যান্ডলাইন, বিদ্যুত্‍ বা ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দেওয়ার শেষ দিন? চেকে দিতে চান? তা হলেও আজকের মধ্যে চেক কেটে জমা করুন৷ কারণ দুর্গাপুজোর জন্য ১১ থেকে ১৪ অক্টোবর রাজ্যের সমস্ত ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে৷ আর যেহেতু অন্য ব্যাঙ্কের চেক ভাঙাতে তিন দিন সময় লাগে, তাই কেবলমাত্র সোমবার অ্যাকাউন্ট পেয়ই চেক জমা দিলেই পুজোর আগে তা ভাঙানো সম্ভব৷




দুর্গাপুজোর ছুটি কাটিয়ে ব্যাঙ্ক ১৫ তারিখ খোলার পর ঈদ-উল-আযহা-র জন্য ১৬ তারিখ ফের বন্ধ৷ ১৮ তারিখ লক্ষ্মীপুজোর দিনও ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে৷ ফলে চলতি সপ্তাহের শুক্রবার থেকে মাঝে দু'দিন বাদ দিলে বেশ কয়েকদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ৷ ফলে ব্যাঙ্কে যেমন কোনও লেনদেন হবে না, তেমনই চেক ভাঙানোর কাজও বন্ধ থাকবে৷ সুতরাং, এই কয়েক দিন টাকা তুলতে ভরসা সেই এটিএম৷ যাঁদের এটিএম কার্ড নেই, তাঁদের উচিত ১১ তারিখের আগে ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রয়োজনমতো টাকা তুলে নেওয়া৷


ব্যাঙ্ক যে ক'দিন বন্ধ থাকবে, সেই দিনগুলিতে সিইএসসি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুত্‍ সরবরাহ সংস্থা এবং বিএসএনএল-এর ক্যাশ অফিসও বন্ধ থাকবে৷ ফলে এই সময় বিদ্যুত্‍ বা টেলিফোন বিল দিতে গেলে হয়রানির মুখে পড়বেন গ্রাহকরা৷ সিইএসসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিরুদ্ধ বসু বলেন, 'গ্রাহকদের অসুবিধার কথা ভেবেই বিল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বাড়ানো হয়েছে৷' পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুত্‍ সরবরাহ সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, ক্যাশ অফিসগুলিতে বিল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে৷ পুজোয় সপ্তমীর দিন শেয়ার বাজার খোলা থাকবে, তাই যাঁরা শেয়ার বাজারে লেনদেন করেন, ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকার জন্য তাঁরা চেক ভাঙাতে সমস্যায় পড়বেন৷ অবশ্য, যে সব গ্রাহক মোবাইল ব্যাঙ্কিং বা নেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যবহার করেন, তাঁদের এই ছুটিতে কোনও সমস্যা হবে না৷ বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশেরও বেশি গ্রাহক মোবাইল ব্যাঙ্কিং বা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের অ্যাকাউন্টে লেনদেন চালান৷


সৌজন্য এই সময়


সরাসরি নগদ ভর্তুকি পেতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়৷ সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বদল চেয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী সংস্থা৷ সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে মুখ্য বিচারপতি পি সতশিবম এবং বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বেঞ্চকে এ বিষয়ে জরুরি শুনানি শুরু করার আর্জি জানাবে ইন্ডিয়ান অয়েল, বিপিসিএল ও এইচপিসিএলের মতো সংস্থা৷ এ ছাড়া তেল ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকও সংশ্লিষ্ট রায়ের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু আর্জি জানিয়েছে৷ মঙ্গলবার সেই আর্জির উপর শুনানি দেবে বিচারপতিদের এই বেঞ্চ৷ রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাদের তরফে আইনজীবী খুশবু জৈন বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় জনমানসে সংশয় সৃষ্টি করেছে৷ যারা আধার কার্ড করে ফেলেছেন তারা এখন সরাসরি নগদে ভর্তুকি বা ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার পাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন৷ ভর্তুকি যুক্ত সিলিন্ডার কিনতে ডিবিটি পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে৷ এই অসুবিধার কথা জানিয়েই ২৩ সেপ্টেম্বরের নির্দেশকে বদলানোর আর্জি জানাবেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল নাগেশ্বর রাও৷




বর্তমানে দেশের ৫৪টি জেলায় ভর্তুকি যুক্ত রান্নার গ্যাসের জন্য সরাসরি নগদ বা ডিবিটি দেওয়া হচ্ছে৷ এই প্রকল্পকে আরও ২৩৫টি জেলায় সম্প্রসারিত করার ভাবনা রয়েছে সরকারের৷ কিন্ত্ত গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি বি এস চৌহানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেন, আধার কার্ড না পাওয়ার জন্য কোনও ব্যক্তি যেন সরকারের ভর্তুকি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন৷ আধার কার্ড দেওয়ার সময় সরকারের খেয়াল রাখা উচিত, আদৌ সেই ব্যক্তি এই পরিচয়পত্রের যোগ্য কিনা, এ দেশে অনুপ্রবেশকারী বেআইনি বাসিন্দা কিনা৷ কর্নাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কে পুট্টাস্বামী আধার কার্ড ইস্যুর বিরোধিতা করে কেন্দ্র, যোজনা কমিশন এবং ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করে৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেয়৷ এই নির্দেশের বদলে চেয়ে দাখিল করা আবেদনে তেল ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক বলেছে, ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস কিনতে আধার কার্ডের প্রয়োজন নেই৷ তবে ভুর্তুকি যুক্ত রান্নার গ্যাস কিনতে আধার কার্ড লাগবেই৷ কেন্দ্রে অনুরোধ, সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশ বদল করে বলুক, বাজারদরে রান্নার গ্যাস কিনতে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না, কিন্ত্ত ভর্তুকি যুক্ত সিলিন্ডারের কালো বাজারি ঠেকাতে এবং সরাসরি ভর্তুকি পেতে আধার কার্ড লাগবেই৷ মঙ্গলবার পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের এই আবেদন খতিয়ে দেখবেন সতশিবম-গগৈর বেঞ্চ৷

বহরমপুর ও কলকাতা: রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর বিড়ম্বনা কমার কোনও লক্ষণ নেই৷ সোমবার বহরমপুর আদালত ফের তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়ায় বিপদ বেড়েছে অধীরের৷ একই সঙ্গে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডও৷ দাগি জনপ্রতিনিধিদের বাঁচাতে আনা ইউপিএ সরকারের অর্ডিন্যান্স নিয়ে রাহুল গান্ধীর জেহাদের পর অধীরকে নিয়ে ধর্মসংকটে পড়েছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব৷ পরিস্থিতি বুঝে অধীরের ইস্তফার দাবি নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপিও৷

এই অবস্থায় অধীরের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে৷ অধীর এ বার আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন না আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন, সেই টাই এখন রাজ্য রাজনীতিতে লাখ টাকার প্রশ্ন৷ বহরমপুর আদালত আগেই বলেছিল অধীরবাবুর জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানি হবে ২৯ অক্টোবর৷ এ দিন তাই অধীরবাবুর আইনজীবীরা ২৯ তারিখ পর্যন্ত রেল প্রতিমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার না-করার আর্জি জানান৷ কিন্ত্ত সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায় আদালতে৷ এর পরেই জল্পনা শুরু যায় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড বহরমপুরের সাংসদকে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেবে কি না তা নিয়ে৷ অধীরকে নিয়ে কৌশল ঠিক করতে মঙ্গলবারই কলকাতায় আসছেন রাজ্যের দায়িত্বে থাকা এআইসিসি সম্পাদক শাকিল খান৷ এ দিন তিনি কাটিহার থেকে টেলিফোনে বলেন, 'আদালতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অধীরবাবুর ব্যাপারে দলীয় অবস্থান স্থির করতে মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব৷' শাকিল আরও বলেন, 'আইন আইনের পথে চলবে৷ কিন্ত্ত আমরা আইনগত লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক লড়াই চালাব৷' বুধবারই কলকাতায় মিছিলের ডাক দিয়েছে মুর্শিদাবাদ কংগ্রেস৷ তাতে প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের হাজির থাকার কথা৷

অধীরবাবু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবেন কিনা, তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হবে কিনা, শাকিল এসব প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেলেও সূত্রের খবর, বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদকে নিয়ে দলীয় হাইকম্যান্ড অত্যন্ত বিব্রত৷ কারণ তৃণমূল তো বটেই, বিজেপিও খুনের মামলায় অধীরবাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছে৷ এ দিন বহরমপুর আদালতের সিদ্ধান্ত জানার পর বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, 'নৈতিকতার স্বার্থে অধীরবাবুর ইস্তফা দেওয়া উচিত৷ অতীতে এই ধরনের পরিস্থিতিতে মন্ত্রীদের ইস্তফা দেওয়ার নজির রয়েছে৷' আদালত যখন গ্রেপ্তার না-করার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে তখন কোন যুক্তিতে অধীরবাবু মন্ত্রিত্ব আঁকড়ে আছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নাকভি বলেন, 'ইস্তফা দেওয়া ছাড়া রেলপ্রতিমন্ত্রীর সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই৷' দাগি জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে রাহুল গান্ধীর কট্টর নৈতিক অবস্থানের পর অধীরকে প্রকাশ্যে সমর্থন করাও ক্রমে কঠিন হয়ে পড়ছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের পক্ষে৷

তবে শুধু বিরোধীদের দাবিই নয়, কংগ্রেসের একাংশও মনে করছে চলতি রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অধীরবাবুর ইস্তফা দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করাই সঠিক কাজ হবে৷ কয়েক দিন আগেই দুর্নীতির মামলায় ফেঁসে জেলে গিয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ লালুপ্রসাদ যাদব৷ সেখানে অধীরবাবুর বিরুদ্ধে খুনের মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে৷ অভিযোগ সত্য বা মিথ্যা যাই হোক না কেন আইনের শাসনের প্রতি আস্থা রাখা জরুরি৷ বস্ত্তত সেই লক্ষ্যেই অধীরবাবুকে জামিনের আবেদন করার নির্দেশ দেয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড৷ খুনের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর দিল্লি থেকে রেলপ্রতিমন্ত্রী হুঙ্কার দিয়েছিলেন 'আমি বহরমপুরে যাব৷ দেখি কে গ্রেপ্তার করে৷' আরও বলেছিলেন, 'আমি আদালতে আগাম জামিন চাইব না৷' পরদিনই অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলে আগাম জামিনের আবেদন করা হয় তাঁর তরফে৷ সূত্রের খবর, দলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবর কানে যেতেই সনিয়া-রাহুলের তরফে অধীরকে আগাম জামিনের আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ সোমবার অবশ্য বহু চেষ্টা করেও রেল প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি৷

তবে দলের আর একটি অংশের বক্তব্য, অধীরবাবুর আদালতে আত্মসমর্পণ করার অর্থ তৃণমূলের কৌশলের কাছে মাথা নোয়ানো৷ নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে অধীরবাবুর জামিন পাওয়া কঠিন৷ আবার জামিন মঞ্জুর হলে সরকারপক্ষ তাঁকে জেলে পুরতে উচ্চ আদালতে যাবে৷ অথচ সামনেই বহরমপুর পুরসভা এবং লোকসভার ভোট৷ অধীরবাবুকে মুর্শিদাবাদ থেকে দূরে রাখাই তৃণমূলের লক্ষ্য বলে মনে করছেন প্রদেশ নেতৃত্বের একাংশ৷ তাই জামিনের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়াই চালানোর পক্ষেই মত তাঁদের৷

অধীরবাবুর সামনে আইনি রাস্তা সম্পর্কে আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আগাম জামিনের আবেদন অথবা একটি মামলাকে কেন্দ্র করে কোনও আবেদন একই সঙ্গে দু'টি আদালতে করা যায় না৷ সংশ্লিষ্ট আদালত যদি অধীরবাবুর আইনজীবীর তরফে করা আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় অথবা আইনজীবী যদি নিজে থেকে আবেদন তুলে নেন, তা হলেই অন্য কোনও আদালতে (এক্ষেত্রে হাইকোর্ট) ওই আবেদন করতে পারবেন তিনি৷'

এ দিকে, কলকাতায় বুধবারের মিছিলের প্রস্ত্ততি হিসেবে সোমবারই মুর্শিদাবাদে ২৭টি থানা এলাকায় কংগ্রেস বিক্ষোভ মিছিল করে৷ তারই ফাঁকে বহরমপুর জেলা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক দুলালকুমার করের আদালতে অধীরবাবুর আইনজীবীরা ফের আগাম জামিনের আবেদন জানান৷ ভারপ্রাপ্ত বিচারক বলেন, আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে ২৯ তারিখ শুনানি হবে আগেই ঠিক হয়ে আছে৷ অধীরবাবুর আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিকি এবং পীযূষ ঘোষ তখন বিচারককে বলেন, অধীরবাবু মুর্শিদাবাদ আসতে না-পারায় অনেক কাজ আটকে গিয়েছে৷ তাই ২৯ তারিখ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার না-করার নির্দেশ দিক আদালত৷ সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায় এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, আইনে 'নট টু অ্যারেস্ট' বলে কিছু হয় না৷ তৃণমূল নেতা কামাল শেখ খুনের ঘটনায় অধীরবাবুর বিরুদ্ধে বহরমপুর আদালত ১ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে৷

http://eisamay.indiatimes.com/state/adhir-chowdhury-may-get-arrested/articleshow/23667456.cms

হলদিয়া পেট্রোকেমে সরকারের অংশীদারি কেনার জন্য দরপত্র জমা দিল একমাত্র ইন্ডিয়ান অয়েল৷ গেইল, ওএনজিসি, এবং কেয়ার্ন ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাগুলি রাজ্য সরকারের ৩৯.৯৯ শতাংশ শেয়ার কিনতে চেয়ে আগ্রহ দেখালেও সোমবার তারা কেউই দরপত্র জমা দেয়নি৷

ইন্ডিয়ান অয়েল ছাড়া রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজও এ দিন তাদের দরপত্র নিয়ে আসে৷ কিন্ত্ত, নির্ধারিত সময় (বেলা ১১টা) পেরিয়ে যাওয়ায় তা গৃহীত হয়নি৷

একমাত্র ইন্ডিয়ান অয়েল দরপত্র জমা দিলেও সোমবার তা খোলা তো হলই না, বরং গোটা প্রক্রিয়া ঘিরে সরকারের স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন উঠল৷ আর, দিনভর নাটকের পর শেষ পর্যন্ত দরপত্র খোলা মুলতুবি রাখা হল৷

রাতে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, 'আমি যতদূর জানি একমাত্র ইন্ডিয়ান অয়েল দরপত্র জমা দিয়েছে৷ তবে এই বিষয়টি বিনিময় পরামর্শদাতা সংস্থা ডেলয়েট স্পষ্ট করে বলতে পারবে৷ আগামী ১০ অক্টোবর দরপত্র খোলা হবে৷'

কেন এ দিন তিনটের মধ্যে দরপত্র খোলা হল না সে ব্যাপারে পার্থবাবু বলেন, 'আমি কি বলেছিলাম আজ দরপত্র খোলা হবে? দরপত্র জমা পড়লেই হয় না, বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করতে হয়৷ মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক হয়৷ আমাদের সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে সব কাজ করছে৷'

শেয়ার কেনার সংশোধিত চুক্তি অনুযায়ী, এ দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত আগ্রহী সংস্থাগুলিকে দরপত্র দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল৷ বলা হয়েছিল, যে সমস্ত সংস্থা আর্থিক দরপত্র জমা দেবে, তাদের প্রত্যেকের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিকাল তিনটেয় দরপত্রগুলি খোলা হবে৷

রাজ্য শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের একটি সূত্রের খবর, দরপত্র খোলা নিয়ে জটিলতা তৈরির কারণ, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের তরফে দরপত্র জমা পড়েনি৷ যদিও মুম্বই থেকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মুখপাত্র তুষার পানিয়া রাতে দাবি করেন, 'কখন দরপত্র জমা দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে কলকাতা অফিস থেকে এখনও কিছু জানতে পারিনি৷ জানতে পারলে আপনাদের জানাব৷' রিলায়েন্স আদৌ দরপত্র জমা দিয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও তিনি মুখ খুলতে চাননি৷

এ দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত একমাত্র ইন্ডিয়ান অয়েলই দরপত্র জমা দেয়৷ ইন্ডিয়ান অয়েলের এক কর্তা জানান, 'সোয়া ১১টা নাগাদ আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আমরাই একমাত্র বিডার৷ নবান্ন-তে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার পর তিনটের সময় দরপত্র খোলা হবে৷'

বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পৌনে তিনটে নাগাদ রিলায়েন্সের প্রতিনিধিরা দরপত্র জমা দিতে আসেন৷ রিলায়েন্সের প্রতিনিধিরা আসার পরেই শুরু হয় নাটকের ক্লাইম্যাক্স৷ রিলায়েন্সের দরপত্র জমা দেওয়ার প্রতিবাদ করে ইন্ডিয়ান অয়েলের প্রতিনিধিরা৷ কেন তিনটের সময় দরপত্র খোলা হল না, তার কারণ জানতে চাওয়া হয় ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফে৷ এ ব্যাপারে বিনিময় পরামর্শদাতা সংস্থা ডেলয়েটের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর না-পেয়ে নিগমের দপ্তর থেকে বেরিয়ে যান ইন্ডিয়ান অয়েলের প্রতিনিধিরা৷ তার পর নিগমের বোর্ড রুমে দফায় দফায় বৈঠক চলে৷ ডেলয়েটের কর্তারা কথা বলেন রিলায়েন্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে৷ আলোচনায় বসেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের কর্তারাও৷ রিলায়েন্সের দরপত্র গ্রহণ করা হলে কী ধরনের আইনি বাধা আসতে পারে এবং সে-ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান অয়েল কোনও আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটতে পারে কি না, সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হয়৷ এমনকি, ইন্ডিয়ান অয়েল একমাত্র বিডার হলে কোনও আইনি জটিলতা ভবিষ্যতে হতে পারে কি না, তা নিয়ে সবিস্তার কথা হয়৷ রাজ্য সরকারের সাড়ে ৬৭ কোটি শেয়ারের মধ্যে বিতর্কিত সাড়ে পনেরো কোটি টাকার শেয়ার রয়েছে৷ সরকার এবং চ্যাটার্জি গোষ্ঠী, দু'পক্ষেরই দাবি, ওই সাড়ে ১৫ কোটি শেয়ারের মালিক তাঁরা৷ এই বিতর্কিত শেয়ার নিয়ে নতুন কোনও আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, আলোচনায় কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না হওয়ার কারণেই শেষ পর্যন্ত দরপত্র খোলা মুলতুবি রাখা হয়৷

এ রাজ্যে রিলায়েন্সের বিনিয়োগ আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মরিয়া৷ গত ১ আগস্ট মুম্বইতে শিল্প সম্মেলনেও তিনি একান্তে রিলায়েন্স চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির সঙ্গে বৈঠক করেন৷ কলকাতায় ফোর-জি টেলিকম পরিষেবার পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ রিলায়েন্স শুরু করলেও, সেই বাম জমানা থেকেই তাদের নজর রয়েছে হলদিয়া পেট্রোকেমের দিকে৷ ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে না-পারার জন্য রিলায়েন্সের দরপত্র গৃহীত হয়নি৷

তবে আর্থিক দরপত্র জমাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের দপ্তরে হাজির ছিলেন হলদিয়া পেট্রোকেম সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর চার সদস্য- অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, বিদ্যুত্মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং পার্থবাবু৷ দুপুর ১টা নাগাদ হঠাত্ই একে একে চার মন্ত্রীই নিগমের দপ্তর থেকে বেরিয়ে যান৷ এমনকি অপেক্ষারত সংবাদমাধ্যমকে এড়ানোর জন্য অমিতবাবু, সুব্রতবাবু এবং মণীশবাবু ভবনের বেসমেন্টের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন৷ সুব্রতবাবুকে সে সময় জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'খেতে যাচ্ছি৷' আড়াইটে নাগাদ মণীশবাবু ছাড়া বাকি তিন জন নিগমের দপ্তরে ফিরে আসেন৷


বন্দরের জন্য ১৫০০ কোটি ভর্তুকি

হঠাত্‍ -ই উপুড়-হস্ত হল কেন্দ্র৷ ড্রেজিং ভর্তুকি বাবদ কেবল ২০১২-১৩ অর্থবর্ষের বকেয়া অর্থই নয়, ওই বছর থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত মোট চার বছরের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷




কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান রাজপাল সিং কাহালোঁ জানান, 'আমরা ইতিমধ্যেই আগের বছরের জন্য ২৫৫ কোটি টাকা পেয়ে গিয়েছি৷ এখন আরও তিন বছরের জন্য নদীতে ড্রেজিং নিয়ে ভাবতে হবে না বলেই আশা করছি৷' তাঁর ভাষায়, চার বছরের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকার ভতুরি্‌ক 'কেন্দ্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত'৷ হলদিয়া বন্দরের প্রাণ-ভোমরা লুকিয়ে রয়েছে হুগলি নদীর নাব্যতার ওপর৷ নদী থেকে নিয়মিত পলি না তুললে নদীর নাব্যতা বজায় রাখা যায় না৷ নাব্যতা কমে গেলে বড় জাহাজও আর ঢুকতে পারবে না হলদিয়ায়৷ পলি তোলা বাবদ বছরে ৩৫০-৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়৷ ভারত সরকারই এই ভর্তুকি দিতে প্রতিশ্রুত৷ তা সত্বেও গত কয়েক বছর ধরে ভর্তুকি দিতে গড়িমসি করছিল কেন্দ্র৷ এমনকি, ২০১২-১৩-য় কলকাতা বন্দরের তরফে ভতুরি্‌র্‌ক বাবদ ৪০০ কোটি টাকা দাবি করা হলেও সারা বছরে একটি টাকাও ঠেকায়নি কেন্দ্র৷




পলি তোলবার পুরো কাজটাই করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ড্রেজিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা ডিসিআই৷ কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা না পেয়েও বন্দর নিজের তহবিল থেকে ডিসিআই-কে কিছু কিছু টাকা দিয়ে দিচ্ছিল৷ কিন্ত্ত নিজেদের বকেয়া বাড়তে থাকায় ডিসিআই মাঝে মাঝেই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে৷ ড্রেজার চালানোর জন্য ডিজেল কেনবার টাকাও হাতে নেই বলে অভিযোগ করে ডিসিআই৷ এমনকি, পলি তোলার জন্য ড্রেজারের সংখ্যাও কমিয়ে দিয়ে বন্দরের ওপর চাপ দেওয়া শুরু করে তারা৷ এই অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে দফায় দফায় দরবার করবার পরে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের মন গলানো গিয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান৷ গত বছরের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে বন্দরকর্তারা অনেকটাই নিশ্চিন্ত৷ বন্দরের গত বছরের জন্য মোট চাহিদা ৪০০ কোটি টাকা হলেও কেন্দ্র হিসেবটা মেনে নিচ্ছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ৩৮০ কোটি টাকা৷ চার বছরের জন্য মোট দেড় হাজার কোটি টাকা মানে প্রতি বছর গড়ে ৩৭৫ কোটি টাকা৷ এই টাকা শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র বন্দরের হাতে দিলে ড্রেজিং নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশা করছেন কাহালোঁ৷




কিন্তু আপাতত খুশি হলেও ড্রেজিং ভতুরি্‌র্‌ক বাবদ কলকাতা বন্দরের সব দাবি মেনে নেয়নি কেন্দ্র৷ কেননা, আরও বেশ কিছু পুরনো ভতুরি্‌কর দাবি জমে রয়েছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে৷ যেমন, ২০০০-০১ অর্থবর্ষের ভর্তুকি বাবদ ৫০০ কোটি টাকার কিছু বেশি টাকা চেয়ে এসেছে বন্দর৷ এ ছাড়াও, আরও অন্যান্য বছরের অল্প-বিস্তর বকেয়া বাবদ মোট ৭০০ কোটি টাকার বকেয়া জমে গিয়েছিল, তার সঙ্গে ২০১২-১৩-র ৪০০ কোটি টাকা যোগ করে মোট বকেয়া বেড়ে ১,১০০ কোটি টাকা পেঁৗছে যায়৷ এই চূড়ান্ত অর্থ সঙ্কটের পর কেন্দ্র যে এ ভাবে হাত খুলে টাকা দিতে রাজি হয়ে যাবে, তা সত্যি ভাবতেও পারেননি বন্দরকর্তারা৷

দিনের সেরা খবর

  • স্থগিতাদেশ কলেজে শিক্ষক নিয়োগে,ধাক্কা খেল রাজ্য

  • কলকাতা: সকালে প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে আদালতে স্বস্তি মিললেও বিকেলে কলেজ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য সরকার৷ কলেজগুলিতে নিয়োগের ইন্টারভিউ প্যানেল প্রকাশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্...

  • শিরোনাম

No comments:

Post a Comment