Thursday, August 22, 2013

ফের বন্‌ধ ডেকে সংঘাতের পথে মোর্চা

ফের বন্‌ধ ডেকে সংঘাতের পথে মোর্চা

ফের বন্‌ধ ডেকে সংঘাতের পথে মোর্চা
এই সময়: আদালত ও রাজ্যের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে ফের পাহাড়ে বন্‌ধ ঘোষণা করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চা নেতা বিনয় তামাংয়ের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আগামী শনিবার ও রবিবার ফের পাহাড়ে বন্‌ধের ডাক দিল মোর্চা। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এমনই ঘোষণা করেছেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। ফেসবুকে জানিয়েছেন, 'অন্যায় ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি।'

বুধবার রাতে কালিম্পং থেকে গ্রেফতার করা হয় মোর্চার মুখপাত্র বিনয় তামাং-সহ পাঁচ জনকে। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, বিনয় তামাংকে সম্ভবত সিকিম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের এদিন কালিম্পং আদালতে তোলা হয়। এর পরই বিনয় তামাংয়ের 'অন্যায় গ্রেফতারি'র প্রতিবাদে বন্‌ধ ডেকে সংঘাতের পথেই পা বাড়াল মোর্চা।

এর আগে আদালতের নির্দেশকে সামনে রেখে মোর্চাকে বন্‌ধ প্রত্যাহারের চরম বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়ে সুর কিছুটা নরম করে বন্‌ধ প্রত্যাহার করে মোর্চা। তবে পরবর্তী কালে আইনের ফাঁক থেকে বেরিয়ে 'জনতা কার্ফু' ও 'ঘর ভিতর জনতা' কর্মসূচির মোড়কে ঘুর পথে বন্‌ধই কার্যকর করেছিল মোর্চা। দ্বিতীয় সর্বদল বৈঠকে গৃহীত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে পাহাড়ে শুরু হচ্ছে 'সড়ক মা জনতা' অর্থাত্‍‌ রাস্তার ওপর জনতা। অভিজ্ঞমহলের ধারণা, মোর্চার ওপর চাপ বাড়াতেই এই কর্মসূচির আগে বিনয় তামাংকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মোর্চা নেতৃত্ব সাফ জানিয়েছে, গ্রেফতারি চললেও, আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসবেন না তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে মোর্চা বিধায়ক হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, 'প্রশাসনকে ব্যবহার করে রাজ্য সরকার যে ভাবে ধরপাকড় চালাচ্ছে, তাতে পাহাড়ের সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। ভয় দেখিয়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা চলছে। এ ভাবে আন্দোলন দমানো যাবে না।' এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে মোর্চা কোনও আলোচনায় যেতে রাজি নয় বলে সাফ জানিয়েছেন হরকাবাহাদুর।

তবে তাঁর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের প্রতিক্রিয়া, 'সরকার প্রশাসনকে বাড়িত চাপ দিচ্ছে না। পুরনো মামলাতেই তামাংদের গ্রেফতার করা হয়েছে।' জিটিএ-র মাধ্যমেই পাহাড়ের উন্নয়ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন গৌতম দেব। আর ফের স্পষ্ট করেছেন, 'কোনও মতেই বাংলাকে ভাগ হতে দেওয়া যাবে না।'

গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে বক্তব্যস রেখেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যও। তাঁর মন্তব্য, চাপ দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এমনকী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন করেও সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, 'অবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা উচিত।'

No comments:

Post a Comment