Thursday, June 27, 2013

মন্দিরের সম্পত্তি হাতিয়ে কেদারেই থাকতে চান ‘সেবক’ সাধুবাবারা

মন্দিরের সম্পত্তি হাতিয়ে কেদারেই থাকতে চান 'সেবক' সাধুবাবারা

মন্দিরের সম্পত্তি হাতিয়ে কেদারেই থাকতে চান 'সেবক' সাধুবাবারা
নয়াদিল্লি: পুণ্যভূমি থেকে প্রাণ হাত করে পালিয়ে এসেছেন সকলেই৷ তবু থেকে গিয়েছেন ওঁরা পঞ্চাশ জন৷ খোঁজ মিললেও উদ্ধার করা হয়নি ওঁদের, কিংবা বলা ভালো, উদ্ধার করা যায়নি৷ ওঁরা বলতে কয়েক জন তথাকথিত সাধু আর খচ্চর -মালিক৷ কিছুতেই তাঁরা ফিরতে চান না কেদার থেকে৷ ব্যাপারটা কী? সংবাদমাধ্যমে সেটা খোলসা করেছেন খোদ ভারত তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) প্রধান অজয় চাড্ডা৷ আইটিবিপি-র উদ্ধারকারী দলের বিবরণ থেকে জানা যাচ্ছে, কেদারে অন্য পুণ্যার্থীদের সঙ্গে যখন ওই সাধু ও খচ্চর -মালিকরা উদ্ধার হন, তখন তাঁদের সঙ্গে ছিল বেশ কিছু ভারি ব্যাগপত্র৷ স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের বলা হয় , সেগুলি কেদারে ফেলে আসতে৷ কারণ উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারের পক্ষে সেগুলি বাড়তি বোঝা৷ কিন্ত্ত হাজার বুঝিয়েও রাজি করা যায়নি তাঁদের৷ গোলমাল আঁচ করে তখন ব্যাগগুলি তল্লাশি করেন উদ্ধারকারীরা৷ আর তার পরই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বেড়াল৷ প্রায় এক কোটি চোদ্দো লক্ষ টাকা নগদ এবং বেশ কিছু গয়নাগাঁটি মেলে ব্যাগগুলিতে! উদ্ধারকারী দলটির অনুমান, নগদ টাকাটা পুরোটাই কেদারনাথ মন্দিরের সম্পত্তি আর গয়না সম্ভবত আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের থেকে লুঠ করা৷

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই আইটিবিপি-র ডিআইজি অমিত প্রসাদ জানিয়েছিলেন, কয়েকজন সাধু ফিরে আসতে চাইছেন না৷ ব্যাপারটা যে নিছক ভক্তি নয়, সেটা অবশ্য তখনও বোঝা যায়নি৷ বর্তমানে কেদারেই আইটিবিপি-র হেফাজতে ঠাঁই হয়েছে 'ভক্তিপ্রাণ' সাধুবাবাদের৷ ক্রমাগত তাঁরা বলে চলেছেন, 'সর্বশক্তিমানের সেবা করতে' কেদারেই থাকতে চান তাঁরা৷ উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, আসলে দেরাদুনে নেমে এলে পুলিশি শাস্তির খাঁড়া চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন পাহাড়ের সাধুবাবারা৷ সেই জন্যই চৌর্যবৃত্তি আড়াল করতে এই কেদারনাথের সেবার অছিলায় অতিভক্তির আশ্রয় !

No comments:

Post a Comment