THE HIMALAYAN VOICE: PALASH BISWAS DISCUSSES AYODHYA RAM MANDIR
Published on 10 Apr 2013
Palash Biswas spoke to us from Kolkota and shared his views on Visho Hindu Parashid's programme from tomorrow ( April 11, 2013) to build Ram Mandir in disputed Ayodhya.
ভারতের হিন্দুবাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারলে আবার রামমন্দির প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। উত্তর প্রদেশে যে বিধানসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাতে অংশ নিতে নির্বাচনী ইশতেহারে দলটি বলেছে, ভারতের কোটি কোটি মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অযোধ্যায় বিশাল রামমন্দির নির্মাণ করা হবে।
বিজেপির কাছে রাম হচ্ছে ভারতের গর্ব, অহংকার ও মর্যাদার প্রতীক। তাই রামমন্দির প্রতিষ্ঠার পথে সব অন্তরায় দূর করে এগিয়ে যাবে বিজেপি। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দল সেক্যুলারিযম নির্ভর রাজনীতি ও ভোট ব্যাংক সামলানোর জন্যে এ বিষয়টিকে অস্বীকার করে বলেও অভিযোগ বিজেপির।
উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ে শুক্রবার বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের নেতা উমা ভারতি, কলরাজ মিশ্র, মুখতার আব্বাস নাকাভি, নরেন্দ্র সিং, সুদ্ধেন্দ্র কুলকার্নি এবং বিজেপি'র রাজ্য শাখার প্রধান সূর্য প্রতাপ সাহি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রামমন্দির নির্মাণের ব্যাপারে সূর্য প্রতাপ সাহি সাংবাদিকদের জানান, বিজেপি বিশ্বাস করে ভারতে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা জনগণের প্রাণের দাবি।
বিজেপি ও আরএসএস'র নেতৃত্বে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় চারশ' বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়। উগ্র হিন্দুত্ববাদী দলটি ওই মসজিদের স্থানে রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
অযোধ্যা আন্দোলন নিয়ে বিজেপি ক্ষমা চাওয়ার কোন প্রশ্ন নেই, বরং এটা দলের গর্বের বিষয়। বিজেপি ৩৩তম জন্মদিনে দিল্লিতে একথা বললেন লালকৃষ্ণ আদবানি।
গত মাসেই সমাজবাদি পার্টির নেতা মুলায়ম সিং যাদব আদবানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। শ্রী যাদব বলেন, 'আদবানি সৎ ব্যক্তি তিনি কখনও মিথ্যা কথা বলেন না।' বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা বলেন, 'যখনই মুলায়ম সিং প্রশংসা করেন তখনই সতর্ক থাকতে হয়। তুমি যদি সত্য কথা বল বিশ্ববাসী তোমাকে মেনে নেবে। কোনরকম দ্বিধা করবে না। নিজের মধ্যে কোনরকম দুর্বলতার স্থান দিও না। দরকার হলে এরজন্য আন্দোলন কর।'
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে আদবানি রথযাত্রা করেন। অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি যেখানে রামমন্দির ছিল ৬ ডিসেম্বর বিজেপির সমর্থিত হাজারজন কর সেবকেরা তা ধ্বংস করে। এদিন বিজেপির সঙ্গে ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সমর্থক ও রাষ্ট্রিয় স্বয়ং সেবকের সংঘের সমর্থকেরা।
লক্ষ্য লোকসভা ভোট,
এবার গঙ্গা দিয়ে
ধর্মীয় বিভাজন তৈরির
কর্মসূচী সঙ্ঘের
নিজস্ব প্রতিনিধি
নয়াদিল্লি, ১৩ই আগস্ট— পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের বছর দুয়েক বাকি। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে আবার দেশে হিন্দুত্ববাদী কর্মসূচী নিচ্ছে আর এস এস। লক্ষ্য, লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের জিগির তুলে কেন্দ্রে বি জে পি-কে ক্ষমতায় আনার ব্যবস্থা করা। প্রায় কুড়ি বছর আগে একই লক্ষ্য নিয়ে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আর এস এস) এবং তার সহযোগীরা। সেই আন্দোলন যে কিছুটা সফল হয়নি, তা নয়। রামমন্দিরের নামে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ঘাড়ে পা রেখেই প্রথমে ১৩ দিন, তারপর ১৩ মাস এবং শেষে ৫ বছরের জন্য কেন্দ্রে ক্ষমতায় থেকেছে বি জে পি। এবার অবশ্য রামমন্দির নয়, গঙ্গা নদীকে ভিত্তি করে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের ছক কষা হচ্ছে। জানা গেছে, গত মাসে দিল্লির এক ধর্মশালায় বৈঠকে বসে এর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে আর এস এস, বি জে পি এবং তাদের অন্যান্য সহযোগী সংগঠন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আর এস এস'র শীর্ষস্তরের নেতৃবৃন্দ, বি জে পি-র সভাপতি নীতিন গড়কড়ি সহ ওই দলের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভি এইচ পি) উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের নেতারা। পশ্চিমবঙ্গের আর এস এস এবং বি জে পি নেতাদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন বৈঠকে ছিলেন বিশেষ আমন্ত্রিত হিসাবে। আর এস এস পরিকল্পনা করেছে, 'গঙ্গা বাঁচাও' নামে এই আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের দাবিকে সামনে রেখে আদবানি যেমন রথযাত্রা করেছিলেন, এবার তেমনই 'গঙ্গা বাঁচাও যাত্রা'র কর্মসূচী নেওয়া হবে। গঙ্গার গতিপথ ধরেই গঙ্গাসাগর থেকে গঙ্গোত্রী পর্যন্ত তা চলবে। তাই পশ্চিমবঙ্গের আর এস এস এবং বি জে পি নেতাদেরও গত মাসে দিল্লির ওই ধর্মশালার বৈঠকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। বৈঠকে আরো ঠিক করা হয়েছে, সঙ্ঘ পরিবারের নামে নয়, একটি অরাজনৈতিক ব্যানারে এই কর্মসূচী রূপায়ণ করা হবে। বৈঠকে অবশ্য এই যাত্রা শুরুর দিনক্ষণ স্থির হয়নি। তবে বি জে পি সূত্রে জানা গেছে, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই এর সূচনা হবে। কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেত্রী উমা ভারতীকে এর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, যাতে শুরু থেকেই এই কর্মসূচী সাম্প্রদায়িক জিগিরকে তীক্ষ্ণ মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে। সঙ্ঘ পরিবারের এই সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট, শাসন ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে দেশে হিন্দুত্ববাদী প্রচার ছড়িয়ে দিতে ফের মরিয়া উঠেছে আর এস এস, ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করাই যে সংগঠনের আসল উদ্দেশ্য। আবার সেই সঙ্গে এও পরিষ্কার যে, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ কর্মসূচীর উপরে সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই আর ভরসা রাখছে না।
এদিন বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে তিনি বলেন যে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার উন্নয়নের পথেই চলছে। মমতাকে 'মু-বোলে বহেন' বলেও সম্ভাষণ করেন মোদী। মমতার কথার রেশ টেনেই মোদী বলেন যে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার অকংগ্রেস রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈমাতৃক আচরণ করছে। একই সঙ্গে তিনি বিগত বাম সরকারের সমালোচনা করে বলেন যে ৩২ বছরে বাংলার যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে বহুদিন সময় লাগবে।
এখন রাজনৈতিক মহলে ঘোরাফেরা করছে একটাই প্রশ্ন--আগামী সাধারণ নির্বাচনে মমতাকে পাশে পাওয়ার জন্যেই কি বিজেপি-র তরফ থেকে মোদীর এই পদক্ষেপ?
নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত! মমতার পাশে নরেন্দ্র মোদীকলকাতা করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | ||
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার উন্নয়নের পথেই চলছে। মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দিয়ে 'মু-বোলে বহেনের'ই পাশে দাঁড়ালেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। |
সৌরাষ্ট্রের মতো এলাকায় জলকষ্ট কোনও নতুন ঘটনা নয়, তবে তা অনাবৃষ্টির কারণের থেকেও বেশি জাতিগত বিদ্বেষের কারণে৷ অথচ উচ্চবর্ণের অধিকাংশের বাড়িতেই রয়েছে গভীর কুয়ো, ফলে জলের জন্য মোটেই নর্মদার জলের উপর নির্ভরশীল নন তাঁরা৷ কিন্ত্ত অস্পৃশ্যতার দোহাই দিয়ে এই একবিংশ শতাব্দীতেও দলিত মানুষগুলোকে নর্মদার জল নিতে দেন না তাঁরা৷ উচ্চবর্ণের এই মানুষগুলোর বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও চান না অসহায় দলিত মানুষগুলো৷ তাঁদের আতঙ্ক, মুখ খুললে উচ্চবর্ণের মানুষরা আবার অত্যাচার চালাবে তাঁদের উপর৷
জাসদান তালুকের মতো দুর্ভিক্ষ পীড়িত এলাকায় বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য বা নদীর জল সংগ্রহের জন্য গভীর নালা কাটা থাকে৷ নদী থেকে মাঝে মাঝে জল ছাড়া হয় সেখানে৷ সরাসরি নদীর জলে তো দূরের কথা, এই নালার জলেও অধিকার নেই দলিত মানুষগুলোর৷ ওই তালুকের এক দলিত পরিবারের অভিযোগ, 'উচ্চবর্ণের মানুষগুলো জাত তুলে কথা বলে অপমান তো করেই, উপরন্ত্ত জল সংগ্রহের জন্য নালার কাছে গেলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়৷' ফলে গ্রীষ্মের প্রখর রোদে মহিলাদের প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে যেতে হয় খাওয়ার জল আনতে৷
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কয়েকদিন আগেই ফিকির এক সম্মেলনে নারী শক্তির প্রশংসার পাশাপাশি তাঁদের আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা ঘোষণা করে প্রচুর হাততালি কুড়িয়েছিলেন৷ অথচ তাঁর রাজ্যেই এই বিতর্কিত চিত্র৷ তাঁর রাজ্যের অসহায় দলিত মহিলারা ডেপুটি কালেক্টরের কাছে গিয়েও সুবিচার পাননি৷ উল্টে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার জন্য গ্রামে ফেরার পর হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে৷ লাভ বলতে, আগে সন্তাহে এক দিন নদীর জল ছাড়া হতো, যা এখন ছাড়া হয় পাঁচ দিন অন্তর, কিন্ত্ত সেই জলে তো অধিকার নেই দলিত পরিবারের, ফলে তাঁরা যে আঁধারে ছিলেন, রয়ে গিয়েছেন সেই আঁধারেই৷
কোঠি গ্রামের অবস্থা আরও খারাপ৷ সেখানের পাইপ লাইনের সঙ্গে নর্মদার জলের কোনও যোগ নেই৷ সেখানকার মানুষকে নির্ভর করতে হয় হ্যান্ড পাম্পের উপর৷ গরম পড়ার কয়েকদিনের মধ্যেই যার জলের নাগাল আর পাওয়া যায় না৷ ডেপুটি কালেক্টর আর এইচ গাদাভি জানান, জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে৷ কিন্ত্ত উচ্চমহলের এই আশ্বাস কি দলিত মানুষগুলোর মুখে তেষ্টার জল জোগাতে পারবে? প্রশ্ন কিন্ত্ত রয়েই যাচ্ছে৷ - সংবাদসংস্থা
রবিবারের এই বৈঠকে জেটলি জানান, ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনে যদি সংখ্যালঘুদের ভোট আঞ্চলিক দলগুলির পক্ষে যেত, তবে কংগ্রেস কখনই ক্ষমতায় আসতে পারত না৷ তাঁর কথাতেই পরিষ্কার এ বারের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ভোট হারাতে ইচ্ছুক নয় বিজেপি, যদিও এ প্রসঙ্গে এখনই প্রকাশ্যে কোনও কথা বলতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব৷ সেক্ষেত্রে মোদী কখনই নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি৷ সম্প্রতি, বিজেপির অন্দরে লালকৃষ্ণ আদবানিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার দাবিও ক্রমশ জোরদার হচ্ছে৷ শত্রুঘ্ন সিনহা ও বিজয় গোয়েলের পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও আদবানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন৷ বিজেপি মুখপাত্র মুখতার আব্বাসও জানান, বিজেপির মধ্যে ঐক্য অটুট রয়েছে৷ উন্নয়নের প্রশ্নকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা৷
মতবিরোধের এই প্রশ্নেই বিজেপিকে এক হাত নিয়েছে কংগ্রেস৷ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি জানান, বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে৷ এই ঘটনাই প্রমাণ করে, এই মুহূর্তে ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা নেই তাদের৷ - সংবাদসংস্থা
নরেন্দ্র মোদী:টু বি অর নট টু বি...
7.02.2013, 20:13 |
Фото: EPA |
ভারতের সর্বজনীন লোকসভা নির্বাচনের আরও এক বছরের বেশী সময় দেরী রয়েছে, কিন্তু নির্বাচনের জন্য প্রচারের সবচেয়ে প্রধান ব্যক্তিত্বকে এখনই দেখা যেতে শুরু করেছে. যদিও প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি এখনও তাদের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে নি, তবুও বোঝাই যাচ্ছে যে, এই এবং আগামী বছর চলাকালীণ সময়ে মনোযোগের কেন্দ্রে থাকবেন বর্তমানে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী.
বুধবারে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন ভাষণ দিতে, তা নিয়ে ছাত্র সমাজের মধ্যে একটা মেরু বিভাজন হয়ে গিয়েছে. প্রেক্ষাগৃহে হাজার খানেক ছাত্র তাঁকে দাঁড়িয়ে উঠে হাততালি দিয়ে সম্বর্ধনা জানিয়েছে আর তার বাইরে শদুয়েক ছাত্র, যারা বিশেষ করে বাম পন্থী ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের সমর্থক, আন্দোলন করেছে. ছাত্ররা তাঁকে দূর হয় যেতে বলেছে. প্রসঙ্গতঃ, তারা এমন ভাবে এই দাবী জানিয়েছে যে, পরে পুলিশ বাধ্য হয়েছে লাঠি চালাতে.
এতটাই পরস্পর বিপরীত নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে ভারতের বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক মহলের মনন. বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন প্রধান অশোক সিংহল মোদীকে তো একেবারে জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে তুলনা করেছেন, তিনি বুধবারে বলেছেন: "জওহরলাল নেহরুর পরে ভারতের রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদীই প্রথম ব্যক্তিত্ব, যাঁকে সারা দেশের লোক প্রিয় মনে করেছে".
আর সেই একই দিনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সরকারি মুখপাত্র নিজের টুইটারের ব্লগে লিখেছেন যে, "নরেন্দ্র মোদী নিজের লোকদের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, গুজরাতের মানুষদেরই রক্ত ঝরিয়েছেন".
নরেন্দ্র মোদী নামটিই নানা রকমের পরস্পর বিপরীত আবেগ ডেকে আনে, এই কথা উল্লেখ করে রাশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ বরিস ভলখোনস্কি বলেছেন:
"এক দিক থেকে গুজরাত মোদীর এগারো বছর ধরে শাসনের সময়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাক লাগানো সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছে. আর এই সাফল্যের সম্বন্ধেই মোদী দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন ও আশ্বাস দিয়েছেন, সারা ভারত বর্ষকেই নিজের রাজ্যের মতো সমৃদ্ধ এলাকায় পরিণত করে দেবেন.
সারা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে একটা বিশাল বাজার মনে করে. কেন? কারণ অন্য সব দেশের লোকরা ভাবেন যে, তাঁরা এখানে সহজেই নিজেদের জিনিষ বেচতে পারবেন. সময়ের দাবী হল যে, ভারতকে উত্পাদনের ক্ষেত্রে নেতৃত্বে পৌঁছে দিতে হবে ও আমাদের জিনিষ দিয়ে বিশ্বের বাজারকেই বোঝাই করতে হবে. – বলেছেন মোদী.
অন্য দিক থেকে মোদীর প্রশাসনের শুরুর সময়েই গুজরাতে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা হয়েছে, যা হাজারেরও বেশী মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়েছে, প্রধানতঃ মুসলিমদের. মোদীকে এই কারণে সরাসরি দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগ না করা হলেও অন্তত তা উস্কে দেওয়ার জন্য অভিযোগ করা হয়েছে. মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীণ তিনি পারতেন সহজেই এটা দ্রুত থামাতে, কিন্তু তিনি তা করেন নি".
অবশ্যই প্রশ্ন রয়েছে যে, মোদী কি লোকসভা নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী হবেন আর তা নিয়েও অসংখ্য পক্ষে ও বিপক্ষে মত রয়েছে. যদি বিজেপি দল তাঁকে প্রার্থী নির্বাচন করে, যদি দেশের লোক তাঁকে ভোট দেয়... কিন্তু বর্তমানের পরিস্থিতিতে মোদীর জনপ্রিয়তা দেখে দুটি হয়তো ব্যাপারকেই বাস্তব মনে হচ্ছে.
আর তখনই একটা দ্বিতীয় প্রশ্নের উদ্রেক হয়, মোদী নির্বাচিত হলে, তা ভারত শুধু নয়, বরং সমস্ত এলাকা ও সারা বিশ্বের জন্য এটা কি হতে চলেছে? আর এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াই আগেরটির চেয়ে অনেক কঠিন, এই মনে করে ভলখোনস্কি যোগ করেছেন:
"একদিকে বিজেপি দলকেই মনে করা হয় ইসলাম বিরোধী দল বলে. মোদীকে এই সম্পর্কে একজন প্রধান নেতাই মনে করা হয়. সুতরাং আশা করা যেতেই পারে যে, ভারতের সামাজিক মতামতে একটা মেরু বিভাজন দেখা দেবে ও পাকিস্তানের সঙ্গে এমনিতেই জটিল সম্পর্ক আরও জটিল হবে.
অন্যদিকে বিশ্বে ইসলামের প্রধান শত্রু বলে বিগত বছর গুলিতে নিজের আত্ম পরিচয় ঘোষণা করা সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই মোদীর জটিল সম্পর্ক রয়েছে. সেখানের পররাষ্ট্র দপ্তর একাধিকবার তাঁকে দেশে আসার ভিসা প্রত্যাখ্যান করেছে ও আপাততঃ, কোন রকমের অবস্থান পরিবর্তন করেছে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে না".
কিন্তু এমনও হতে পারে যে, দেশের ভিতরের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে মোদী নিজের দেওয়া আশ্বাস মতো মনোযোগ দিলে ও দেশের জনতার তাতে সত্যিকারের জীবনের মান উন্নত হতে থাকলে বিদেশের রাজনীতিতে সমস্যা নিয়ে কি আর কেউ মাথা ঘামাবেন? অন্তত পক্ষে বিগত কিছু কাল ধরে মোদীর বাইরের দেশের সঙ্গে সম্পর্ক, বিশেষ করে তাঁর গত বছরের নভেম্বর মাসে চিন সফর, বলে জেয় যে, এশিয়ার অন্য একটি বড় রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে তাঁর কোনও অসুবিধা হয় নি. আর হতে পারে যে, এটাতেই ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য ভিত্তি থাকতে পারে? যদি অবশ্যই উপরোক্ত শর্ত গুলি পালিত হয় ও মোদী সারা ভারতের হিসাবে ক্ষমতায় আসতে পারেন.
কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্বীকার করে জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে তেমন কোনও লগ্নি প্রস্তাব আসছে না৷ ভিনরাজ্য থেকে তো দূর, এমনকি রাজ্যের কোনও শিল্পপতি বা সংস্থাও বড় বিনিয়োগে সেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না৷ সেই খরার রাজ্যেই নিজের শিল্পমুখী উন্নয়ন মডেল তুলে ধরতে সোমবার কলকাতায় পা রাখছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির নরেন্দ্র মোদী৷
শুধু উন্নয়ন মডেল নিয়ে বক্তৃতা করা নয়, মোদীর উদ্দেশ্য গুজরাটের জন্য অন্তত বিনিয়োগের আশ্বাস নিয়ে ফেরা৷ আর তাই এ রাজ্যের শিল্পপতিদের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন তিনি৷ ঘটনাচক্রে সেই বৈঠকে আমন্ত্রিত শিল্পপতিদের কেউই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর নতুন করে কোনও বিনিয়োগের ঘোষণা করেন নি৷ বরং শিল্পমহলের তরফে সরকারের সেচ ও জমি নীতি বদলের দাবি উঠেছে বহুবার৷
ঘটনাচক্রে এ দিনই যোজনা কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি রওনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ লক্ষ্য, ঋণভারে জর্জরিত রাজ্যের জন্য আর্থিক সাহায্য আদায়৷ মমতার শহর ছাড়ার কথা সোমবার বিকেলে৷ আর নরেন্দ্র মোদী শহরে আসছেন রাত ৯টা নাগাদ৷ তাই সৌজন্য সাক্ষাত তো দূর, বিমানবন্দরেও মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা নেই দু'জনের৷ তা ছাড়া মোদীর সফরকে ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়ছে কয়েক দিন আগে থেকেই৷ রাজ্য বিজেপির তরফে মোদীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য নেতাজি ইন্ডোর ভাড়া চাওয়া হয়েছিল সরকারের কাছ থেকে৷ কিন্ত্ত সঙ্গীত মেলা চলবে-এই কথা জানিয়ে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ এর পর মোদীও মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কোনও সময় চাননি৷ ফলে মঙ্গলবার বিকেলে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে মহাজাতি সদনে৷
সোমবার রাতে শহরে পৌঁছুনোর পর মঙ্গলবার মধ্য কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে তিনটি বণিকসভার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় বক্তব্য পেশ করবেন মোদী৷ সেখানে ইতিমধ্যেই চাহিদার তুলনায় দর্শকাসনের অপ্রতুলতার জেরে সভাগৃহের বাইরে স্ক্রিন বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
তার পরেই বাংলার হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পপতির সঙ্গে মোদীর বৈঠকে বসার কথা৷ এই তালিকায় রয়েছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, সুনীল কানোরিয়া, দীপক জালান, মহেন্দ্র জালান, সঞ্জয় আগরওয়াল-সহ বেশ কিছু শিল্পপতি৷ এ রাজ্যে বিনিয়োগে খরার বাজারে রাজ্যেরই শিল্পপতিদের সঙ্গে মোদীর এই বৈঠক তাত্পর্যপূর্ণ৷ বিশেষ করে যখন মোদীর সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করতে বণিকসভাগুলির উপর চাপ এসেছে মূলত রাজ্যের শিল্পপতিদের থেকেই৷
এমসিসি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল শুভাশিস রায় জানান, কিছু শিল্পপতির তরফে প্রথমে আমাদের বলা হয়, মোদীর সঙ্গে আলাদা করে কোনও বৈঠকের ব্যবস্থা করা যায় কি না৷ আমরা তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে কথা বলি৷ তাদের থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর ঠিক হয়েছে মঙ্গলবার মধ্যাহ্নভোজের আগে মোদী তিন দফায় হাতে গোনা কয়েক জন শিল্পপতির সঙ্গে দেখা করবেন৷
প্রাথমিকভাবে মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকের তালিকায় সেই শিল্পপতিদেরই নাম রয়েছে যাঁরা ইতিমধ্যেই গুজরাটে বিনিয়োগ করেছেন, বা অদূর ভবিষ্যতে করতে চান৷ আরপি-সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই গুজরাটে সৌর বিদ্যুতক্ষেত্রে লগ্নি করেছে৷ গুজরাটে বিদ্যুত ক্ষেত্রে লগ্নি রয়েছে শ্রেয়ি গোষ্ঠীরও৷ অন্যদিকে গুজরাটে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে সেঞ্চুরি প্লাইউডের৷ তাই এই সমস্ত সংস্থার কর্ণধাররা বৈঠকে আমন্ত্রিত৷
লিঙ্ক পেনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপক জালানের কথায়, এটা ঠিকই যে গুজরাটে বিনিয়োগের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করার প্রয়োজন পড়ে না৷ ওই রাজ্যের ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল৷ কিন্তু হাতের সামনে মোদীকে পেলে কিছু সমস্যার কথা জানানো যায়৷ সে কারণেই মোদীর সঙ্গে বৈঠক করার ব্যাপারে শিল্পপতিদের মধ্যে এত উত্সাহ বলে আমার মনে হয়৷
হেফাজতের দাবি অনুযায়ী ধর্মদ্রোহিতা রোধ আইন প্রণয়নের কোনও পরিকল্পনা নেই বাংলাদেশ সরকারের। সোমবার এক সাক্ষাত্কারে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে অন্যের ধর্মের অনুভূতিতে কেউ আঘাত করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শেখ হাসিনা।
গত কয়েক মাস ধরে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। যুদ্ধপরাধিদের বিচারের বিরোধীতায় দেশ জুড়ে হিংসা চালাচ্ছে জামাতপন্থী কয়েকটি সংগঠন। ধর্মদ্রোহিতা রোধ আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের ওপর চার বাড়াচ্ছিল বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন। গত শনিবার রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠন। ধর্মদ্রোহিতা রোধ আইন প্রণয়ন সহ তেরো দফা দাবি সরকারের কাছে পেশ করা হয়। সোমবার এক সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, হেফাজতের কোনও দাবিই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
জামাতপন্থীদের হিংসা রুখতে বাংলাদেশ সরকার অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে বলে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ। সাক্ষাত্কারে সেই অভিযোগও অস্বীকার করেন শেখ হাসিনা।
যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের নামে আওয়ামী লিগ সরকার রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে যে অভিযোগ বিএনপি-জামাত জোট করছে, তারও তীব্র নিন্দা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার প্রেসিডেন্সির ভিতরে যে নজিরবিহীন হামলার ঘটনা ঘটে তা যে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মিছিলের পরই ঘটেছিল তা এখন রাজ্যের প্রায় সবাই জানেন । শুধু কিছু মন্ত্রী কাল থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন, তৃণমূল নয়, বহিরাগতরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে । পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় আজ একধাপ এগিয়ে বলেন, গেটের বাইরে তৃণমূল বিক্ষোভ করছিল বটে, ভিতরে গিয়ে তারা যে হামলা চালিয়েছে, তার প্রমাণ কোথায়? আমাদের হাতে আছে এক এক্সক্লুসিভ ছবি যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে , তৃণমূলের পতাকা হাতে , তৃণমূলের স্লোগান মুখে নিয়ে একদল বিক্ষোভাকারী ঢুকে যাচ্ছে প্রেসিডেন্সির ভিতরে। এরপরই শুরু হবে ঐতিহ্যমণ্ডিত বেকার ল্যাবরেটরিতে ভাঙচুর।
দেখুন তার প্রমাণ(এক্সক্লুসিভ ভিডিও)
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল জোড়াসাঁকো থানার পুলিস। ধৃতদের নাম শুভজিত বর্মণ এবং জয়ন্ত হাওলাদার। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দুজনকে কলেজ স্ট্রিট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ধারায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। ধৃত শুভজিত বর্মণ হাওড়া বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা। জয়ন্ত হাওলাদারের বাড়ি ক্যানিংয়ের শক্তিপল্লী এলাকায়। ধৃতদের জেরা করছে পুলিস। ধৃতরা তাদের সংগঠনের কেউ নয় বলে দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের।
প্রসঙ্গত, বুধবার বল্লম-বর্ষার সঙ্গে পতাকা হাতে প্রেসিডেন্সির গেট ভেঙে হামলা চালায় তৃণমূলের কর্মী -সমর্থক-নেতারা।
http://zeenews.india.com/bengali/kolkata/presidency-college-attack-two-arrested_12675.html
গতকাল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে আজ মৌনমিছিলে পা মেলালেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই বর্তমান, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে অধ্যাপক-অধ্যাপিকারাও। বুধবারই প্রেসিডেন্সির বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা বৃহস্পতিবারকে প্রতিবাদ দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন। মাথায় কালো কাপড় বেঁধে আজ মিছিলে পা মেলালেন দলমত নির্বিশেষে সকলেই। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া এই মিছিল শেষ হওয়ার কথা ছিল রাজভবনের সামনে। কিন্তু রাণি রাসমনি অ্যাভেনিউতেই এই মিছিল থামিয়ে দিল পুলিস। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন জমা দিতে রওনা দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপকদের প্রতিনিধিদল।
আজকের মিছিলে উপস্থিত রয়েছেন অরুণাভ ঘোষ, রতন খাশনবীশ, অসীম চ্যাটার্জিত মতন প্রাক্তনীরা। আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ জানান ''প্রেসিডেন্সি আমাদের মায়ের মত। এই মিছিলে ব্রাত্য বসু, সৌগত রায়, অমিত মিত্রের মত প্রাক্তনীরা উপস্থিত থাকলে প্রতিবাদ আরও জোরালো হত।''
বুধবার একবার নয়, দু-দুবার তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের তাণ্ডবের শিকার হয় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দলীয় পতাকা হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটের তালা ভেঙে ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপকদের মারধর করে টিএমসিপি সমর্থকরা। পদার্থবিজ্ঞানের ঐতিহ্যশালী বেকার ল্যাবরটরিতে ভাঙচুর চালানো হয়। আক্রান্ত হন ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকী শ্লীলতাহানির অভিযোগও আনেন ছাত্রীরা। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন হামলাকারী দুষ্কৃতীদের হাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা ছিল। প্রেসিডেন্সির উপাচার্য মালবিকা সরকারও বিভিন্ন বৈদুত্যিন মাধ্যমের কাছে সরাসরি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। জানান পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার কথাও। তবে, হামলার ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নয় বলে দাবি করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আজকের মিছিলে মৌনতার মধ্যেই ভাষা খুঁজে নিয়েছে প্রতিবাদ। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ''তোমরা যত মারবে, মিছিল তত বাড়বে'', ''আইডিয়াস আর বুলেট প্রুফ, প্রেসিডেন্সি ইজ অ্যান আইডিয়া।''-র মতন পোস্টার। রাজ্যের অন্যতম ঐতিহ্যমণ্ডলী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাসক দলের ছাত্র পরিষদের হামলা বার বার ধিক্কৃত হল এই মিছিলের প্রতি পদক্ষেপে।
দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী-সহ চার মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ, অর্থমন্ত্রীকে হেনস্থা আর তারপর থেকে রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা সন্ত্রাস, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডবে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কবি শঙ্খ ঘোষ, সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী। শঙ্খ ঘোষের কথায়, গুণ্ডামির প্রতিযোগিতা চলছে। গত মঙ্গলবার দিল্লিতে হেনস্থার শিকার হন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তার প্রতিবাদে সরব হলেন প্রবীণ সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী।
দিল্লির ঘটনার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে `তাণ্ডব`। বুধবার হামলা হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে, হামলা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রন্থাগারে। তাণ্ডবে বিধ্বস্ত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাম দলগুলির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, আগুন, বাম নেতা-কর্মীদের উপর হামলার তালিকাটা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন বিধায়করাও। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেও ওইসব হামলারও নিন্দা করেছেন মহাশ্বেতা দেবী।
প্রায় একই ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষও। দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে হেনস্থা, রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডবে উদ্বিগ্ন, মর্মাহত শঙ্খ ঘোষ বলেছেন, রাজ্যজুড়ে গুণ্ডামির প্রতিযোগিতা চলছে।
দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী-সহ চার মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ, অর্থমন্ত্রীকে হেনস্থা আর তারপর থেকে রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা সন্ত্রাস, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডবে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কবি শঙ্খ ঘোষ, সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী। শঙ্খ ঘোষের কথায়, গুণ্ডামির প্রতিযোগিতা চলছে। গত মঙ্গলবার দিল্লিতে হেনস্থার শিকার হন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তার প্রতিবাদে সরব হলেন প্রবীণ সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী।
দিল্লির ঘটনার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে `তাণ্ডব`। বুধবার হামলা হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে, হামলা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রন্থাগারে। তাণ্ডবে বিধ্বস্ত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাম দলগুলির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, আগুন, বাম নেতা-কর্মীদের উপর হামলার তালিকাটা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন বিধায়করাও। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেও ওইসব হামলারও নিন্দা করেছেন মহাশ্বেতা দেবী।
প্রায় একই ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষও। দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে হেনস্থা, রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডবে উদ্বিগ্ন, মর্মাহত শঙ্খ ঘোষ বলেছেন, রাজ্যজুড়ে গুণ্ডামির প্রতিযোগিতা চলছে।
অর্থের বিনিময়ে আমেরিকা যাওয়ার আমন্ত্রণ `কিনেছেন` নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের কংগ্রেস নেতা অর্জুন মোদওয়াদিয়া এমনই অভিযোগ করেন। মার্কিন প্রতিনিধি দলের গুজরাটে আসা `আসলে লোক দেখানো` এবং পি আর সংস্থার আরোপিত `নাটক` বলেও অভিযোগ করে রাজ্য কংগ্রেস। অর্জুন মোদওয়াদিয়া বলেন এমন ঘটনা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার।
বিজেপি এই অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছে অর্থের বিনিময় আমন্ত্রণ তাদের `সংস্কৃতি বিরুদ্ধ`।
হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের চার সদস্য, মারলিন স্টুৎসমান, সিন্থিয়া উইদরসপান, ক্যাথি রজারস এবং অ্যারন শোক, প্রত্যেকেই রিপাবলিকান। গুজরাটের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তাঁরা নরেন্দ্র মোদীকে আমেরিকায় আমন্ত্রণ জানান।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গুজরাটে দাঙ্গার পর বুশ আমলেই মোদীর ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়। তার পর থেকে আর আমেরিকার যেতে পারেননি নরেন্দ্র মোদী।
মার্কিন এই প্রতিনিধি দল আমেদাবাদে মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের এর পরে উদয়পুরে বিলাসবহুল লেক প্যালেস, রনথম্বোরের ব্যাঘ্র প্রকল্প, অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দির, এবং তাজমহল যাওয়ার কথা। কর্নাটক এবং পঞ্জাবে রাজ্যের অতিথি হয়ে তাঁদের যাওয়ার কথা।
দিল্লির মসনদে এ বার কি নরেন্দ্র মোদী?
নয়াদিল্লি: জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল৷ আর জয়ের পর কী প্রশ্ন উঠতে চলেছে সেটা নিয়েও সংশয় ছিল না কারও৷ নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বারের জন্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দলের অন্দরেই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী করা নিয়ে দাবি জোরালো হয়ে উঠল৷ আর আমেদাবাদে জয়ের পর প্রথম জনসভায় সেই দাবিকেই কৌশলে আরও উস্কে দিলেন খোদ মোদী৷
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমেদাবাদ-সহ সারা গুজরাটে বিজেপি অফিসের সামনে দিনভর স্লোগান উঠেছে, 'আজ কা সিএম, ২০১৪ কা পিএম৷' মোদীই কি আগামী দিনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী? দিল্লিতে বিজেপি নেতারা এই প্রশ্ন শুনে ক্লান্ত৷ দলের শীর্ষ নেতারা অবশ্য এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন, অথবা বলেছেন, গুজরাতের নির্বাচনটা মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নকে ঘিরে হয়নি৷ আর যাঁরা এ ব্যাপারে চড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই নাগপুরের আরএসএস নেতারা এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছেন৷
প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে জল্পনাটা সকালেই উস্কে দিয়েছিলেন রাজ্যসভা সাংসদ স্মৃতি ইরানি৷ তিনি বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা উচিত৷' তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এ ব্যাপারে যারপরনাই সতর্ক৷ লালকৃষ্ণ আডবাণী বলেছেন, 'গুজরাটের ফলাফল সন্তোষজনক৷ ভেবেছিলাম, হিমাচলে আরও ভাল ফল করব৷' আর দলের সভাপতি নীতিন গড়করির মন্তব্য, 'গুজরাট উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে৷ মোদীর নেতৃত্বে গুজরাট আরও এগিয়ে যাবে৷' মোদীর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া নিয়ে অরুণ জেটলি বলেন, 'এটা এই মুহূর্তে আলোচনার বিষয়ই নয়৷ মোদী প্রবীণ নেতা৷ দলের কর্মীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়৷'
সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ নেতা শেষাদ্রিচারী বলেছেন, কে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন তা ঠিক করার সময় এটা নয়৷ দলের মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, 'বিজেপি-তে এমন অনেক নেতা আছেন যাঁরা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য৷'
তবে শীর্ষ নেতৃত্ব যা-ই বলুন না কেন, মোদী নিজে কিন্ত্ত বুঝিয়ে দিয়েছেন টানা তিনবার গুজরাটে এই বিপুল জয়ের পর তাঁকে উপেক্ষা করা কঠিন হবে৷ জয়ের পর বিকেলে আমেদাবাদে দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তাঁর প্রথম জনসভায় তিনি বলেন, উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রশ্নে ভোট দিয়েছে গুজরাটের মানুষ৷ আর গুজরাটের এই দৃষ্টান্ত দেখে উদ্বুদ্ধ হবেন দেশের বাকি জনতা৷ কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, 'আমার এই জয়ের পর আজ অনেকেরই ভাল করে ঘুম হবে না৷' কিন্ত্ত প্রকাশ্যে কংগ্রেসকে এ কথা বললেও এই মন্তব্যে কি দলে তাঁর বিরোধীদের বিঁধলেন মোদী? প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও৷
গুজরাটে সাফল্য প্রশ্নাতীত হলেও, তাঁর কাজের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে৷ সে কথা বুঝেই সম্ভবত এই প্রথমবার কিছুটা স্বভাববিরুদ্ধ ভাবেই কথা বলেন মোদী৷ 'যদি কোনও ভুল করে থাকি ক্ষমা করবেন৷ আমার আচরণে যদি কর্মীরা আহত হন, তাঁদের কাছেও ক্ষমা চাইছি৷' মোদীর মুখে এমন বার্তার পিছনে থাকতে পারে রাজনীতির সূক্ষ্ম হিসেব৷ মোদী জানেন হাজার চেষ্টা করেও ২০০২ দাঙ্গার কলঙ্ক তিনি মুছতে পারবেন না৷ তাই মণিনগরে জয়লাভের পরই তিনি বলেন, 'আর পিছু ফিরে তাকানোর প্রয়োজন নেই৷' তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী শ্বেতা ভাটের স্বামী সঞ্জীব ভাট দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকার সমালোচনা করে জেলে গিয়েছিলেন৷ সেই অতীতকেই বারবার প্রচারে তুলে এনেছেন শ্বেতা৷ জাতীয় মঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে মোদী সেই কারণেই এ দিন বলেন, 'সাম্প্রদায়িকতা ও প্রাদেশিকতার ঊর্ধে উঠে ভোট দিয়ে দেশের সামনে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন গুজরাটের মানুষ৷'
আসলে মোদীও জানেন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হতে গেলে তাঁকে শুধু বিজেপির নেতা হলে চলবে না, এনডিএ-র কাছেও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে হবে৷ সেই কারণেই নিজের ভাবমূর্তি অনেক নমনীয় করে তুলতে চাইছেন মোদী৷ হয়তো তাই জয়ের পরই গান্ধীনগরে গিয়ে তিনি দেখা করেছেন তাঁর পরাজিত প্রতিপক্ষ কেশুভাই প্যাটেলের সঙ্গে৷
তবে, জয়ের আনন্দের মধ্যেও দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্ব ও নাগপুরের সঙ্ঘ পরিচালকদের নীরবতা চাপে রাখতে পারে মোদীকে৷ তাঁকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে জেডিইউ জানিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী পদে নীতীশকুমার মোদীর চেয়েও যোগ্যতর ব্যক্তি৷ গুজরাটে তাঁর বিপুল সাফল্য সত্ত্বেও জাতীয় মঞ্চে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে নানা মহলে৷ তবে দলের নিচুতলার কর্মীদের দাবি উপেক্ষা করে মোদীকে কত দিন গান্ধীনগরে আটকে রাখতে পারবে বিজেপি তার উত্তর দেবে ভবিষত্৷
অযোধ্যার সাধুদের অভিযোগ
সংগ্রাম ডেস্ক : 'আমাকে কোন ও দিন এমন কথা বলতে হবে ভাবিনি। কিন্তু বলতেই হচ্ছে, বিজেপি হল ধান্দাবাজ, ধাপ্পাবাজদের পার্টি। রাম মন্দির আন্দোলন ওদের ব্যবসা।'
এটুকু বলে গা থেকে খসে পড়া শালটা ভালো করে জড়িয়ে নিলেন মহন্ত জ্ঞানদাসজি। অযোধ্যায় তখন সন্ধ্যা নামছে। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে দর্শনার্থী থেকে দোকানি সকলেই ঘরমেুখো। হনুমানগড়ি মন্দিরের অদূরে নিজের আখড়ায় বসে আরাম করছিলেন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের অধ্যক্ষ বছর ষাটের জ্ঞানদাসজি। দিন পনেরো হল সাগরদ্বীপ থেকে ফিরেছেন। কপিলমুনির আশ্রম তিনিই দেখভাল করেন।
অযোধ্যায় কোনও সাধুসন্তের মুখে বিজেপির এমন নিন্দামন্দ শুনব, কল্পনাও করিনি। এই তো বছর দেড়েক আগের কথা, হাইকোর্ট সেদিন অযোধ্যার বিতর্কিত জমি রামের জন্মস্থান বলে রায় দিল, এই সাধুদের মুখেই বিজেপি নেতাদের নামে সেদিন জয়ধ্বনি শুনেছি।
হনুমান গড়িতে পদাধিকার বলে জ্ঞানদাসজির সিনিয়র কিন্তু বয়সে ছোট বছর পঞ্চান্নর মহন্ত রমেশ দাসজি। একটু আগেই পাঁয়চারি করতে করতে যিনি মন্তব্য করেছেন, 'অযোধ্যা আর বিজেপির দখলে থাকবে কি না নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। রামমন্দির নিয়ে বিজেপি মানুষকে ঠকিয়েছে। আর কত ঠকবে মানুষ?
রমেশ দাসজি হনুমানগড়ির প্রধান। মহন্তদের ভাষায় তিনি গদ্দিনসিন মহন্ত। সাধুদের নিজস্ব পঞ্চায়েত ব্যবস্থার নিয়ম অনুসারে গদ্দিনসিন মহন্ত আমৃত্যু হনুমানগড়ির ৫২ বিঘা এলাকার বাইরে আর পা রাখতে পারেন না। ডাক্তারবদ্যি তো বটেই, মামলা মোকদ্দমা হলে সপরিষদ বিচারককেই আখড়ায় হাজির হতে হয়, এমনই নিয়ম, জানান মহন্ত।
আখড়ার বাইরে পা রাখেন না, এমন সাধু অযোধ্যায় আরও আছেন। আর এক জায়গায় তাঁদের আশ্চর্য মিল। কথার শুরুতে সকলেই বলে নেন, 'রাজনীতিসে হামারা কোই লেনাদেনা নেহি।' তারপর অবশ্য রাজনীতি নিয়েই মুখে খই ফোটে তাঁদের। যেমন বললেন দুই মহন্ত। জ্ঞানদাসজির কথায়, জানতাম কমিউনিস্টরা নাস্তিক। বিজেপি দেখছি কমিউনিস্টদের থেকে বড় নাস্তিক। রাম ভগবানের নামে তা না হলে এমন বজ্জাতি করে?'
অযোধ্যা-ফৈজাবাদ রোডের বাঁ হাতে বিতর্কিত বাবরি মসজিদ-রামজন্মভূমিস্থল। ৫৪ একর জমির মাঝে বিক্ষত বাবরি মসজিদের ইট-কাঠ-পাথরের স্তূপের উপর কয়েক ইঞ্চির যে রামলালার মূর্তি পূজিত হয়, নিরাপত্তার মাপকাঠিতে তার থেকে ভিভিআইপি আর কমই আছে। আধা সামরিক বাহিনীর কয়েক শো জওয়ান ৩৬৫ দিন ঘিরে রেখেছে ওই মূর্তি। কমান্ডোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকেন জ্ঞানদাস, রমেশ দাসের মতো মহন্তরাও। ডানহাতে সরযুর দিকে খানিক এগুলেই করসেবকপুরম। রামজন্মভূমি ন্যাসের উদ্যোগে যেখানে রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েও থেমে আছে বছর দশেক হতে চলল। কয়েক কোটি টাকার পাথরে শেওলা জমছে। এসব দেখেই সাধুরা ক্ষিপ্ত।
মহম্মদ হাসিম আনসারি তাই নিশ্চিত, যতই রামলালার পূজা পান, রামমন্দির কোনও দিনই হবে না। হিন্দু প্রতিবেশীদের তিনি বলেন, বিজেপি আর কংগ্রেসে ফারাক নেই।
মন্দিরের তালা খুলে দিয়ে কংগ্রেস একবার ফায়দা লুটেছে। আর রামমন্দির নির্মাণের কথা বলে ভোট লুট করেছে বিজেপি। '৯২ বছরের এই হতদরিদ্র বৃদ্ধের মামলাই লখনউ হাইকোর্ট হয়ে এখন সুপ্রিমকোর্টের বিচারাধীন। বিতর্কিত স্থানে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করে দেয়ার দাবি নিয়ে আদালতে গিয়েছেন তিনি। তার কথায়, 'ওই জমিতে শুধু রাম মন্দির হোক আমি চাই না। কিন্তু বিজেপি যেভাবে লোক ঠকাল, সেটাও মেনে নেয়া যায় না।'
বুধবার রাতে অযোধ্যার পাজিটোলার বাড়িতে বসে বৃদ্ধ বলেন, 'কোনও রাজনৈতিক দলই আমার ভোট পাবে না।' পিস (শান্তি) পার্টি নামে এক সদ্য গজিয়ে ওঠা স্থানীয় দলের একমাত্র প্রার্থী রাজেশ মিশ্র'র হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন হাসিম আনসারি। শুধু কি মহন্তবৃন্দ, অযোধ্যা হনুমানগড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নন্দলাল গুপ্তার মতোই মন্দির শহরের ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ, কেউ ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, কেউ আবার হাসাহাসি করছেন বিজেপির মুখে ফের রামমন্দির গড়ার কথা শুনে। তাদের বক্তব্য বিজেপি রাজ্যে এবং কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল। তা সত্ত্বেও রামমন্দির পুনঃনির্মাণে কিছুই করেনি। ভোট এলেই এই পার্টি রামনাম করে। বর্তমান পত্রিকা।
মন্দির নিয়ে ইস্তাহারে বলা কথাই এখানে এসে শুনিয়ে গিয়েছেন। এই নির্বাচনে ছত্তিশগড় থেকে বিজেপির ধার করা মুখ উমা ভারতীয়, ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের আনন্দে যিনি আদবানির পিঠে চড়েছিলেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ। সেউ উমাকে নামিয়েও অযোধ্যা ধরে রাখতে বিজেপিকে এবার যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
এক কথায় হিন্দুকার্ড, মন্দির-মসজিদ ইস্যু আর কাজ করছে না। এখানে তাদের একমাত্র ভরসা টানা ২০ বছর মন্দির শহরে দলের বিধায়ক লাল্লু, সিং। যার সম্পর্কে মহন্ত থেকে সাধারণ মানুষ সকলের মুখেই প্রশংসা শোনা গেল। নিজেকে মন্দির-মসজিদ বিতর্কের বাইরে রাখায় মুসলিমরাও তার প্রতি বিরূপ নন।
তার দাবি, কাজের জন্যই মানুষ আমাকে ভোট দেবে। বিজেপি ছাড়াও মন্দির শহরের দখল নিতে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টি লড়ছে। প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূলও। ৪ তারিখ আদবানি অযোধ্যা প্রচারে যাচ্ছেন।
http://eisamay.indiatimes.com/articleshow/17704123.cms
দেশের ঋণ মেটাতে বলছে জনতা, দাবি মোদীর
আনন্দবাজার – বৃহস্পতি, ৪ এপ্রিল, ২০১৩যেদিন সিআইআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় বণিক মহলের মন জয়ের জন্য বাস্তবমুখী ভাষণ দিলেন কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গাঁধী, সেদিনই দেশের হয়ে "কর্জ" চুকানোর কথা বলে প্রধানমন্ত্রীত্বের সম্ভাবনা আরও উসকে দিলেন নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং।
দেশের উত্তরপ্রান্তে বণিকমহলের শীর্ষ সভায় যখন রাহুল তাঁর জোরাল, আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য শেস করলেন তার কিছুক্ষণ পরেই গাঁধীনগরে দেওয়া এক বক্তৃতায় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী জল্পনা উসকে দিয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "লোগ কহে রহে হ্যায় নরেন্দ্র মোদী নে গুজরাত কা কর্জ চুকা দিয়া হ্যায়। অব হিন্দুস্থান কা কর্জ চুকানেকো কহে রহে হ্যায়।"(দেশের মানুষ বলছেন, নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের ঋণ চুকিয়ে দিয়েছেন। গুজরাতকে ঋণমুক্ত করেছেন। এবার হিন্দুস্থানকে ঋণমুক্ত করুন।)
মোদীর এই বার্তা এবং আগ বাড়িয়ে দেশের 'ত্রাতা' সাজার চেষ্টা যে স্বতঃপ্রণোদিত যে প্রধানমন্ত্রিত্বের পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন মোদী বলেন, তাঁর অনেক সমালোচক আছেন। তাঁর অনেক ত্রুটিও আছে। হয়তো দেশের মানুষ মোদীকে পছন্দ করতেও পারেন বা নাও পারেন। কিন্তু সবার আগে প্রাধান্য পাবে উন্নয়ন। তাঁর মতে, গুজরাতকে উন্নয়নের পথে দিশা দেখিয়েছে বিজেপি সরকার। কারণ একটা সরকার বা প্রশাসনের কাজের মূল্যায়ন হয় উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখে। আর সব মানুষই চান উন্নয়নমূলক ভাল কাজ।
এদিকে, মোদী যখন উচ্চগ্রামে নিজের প্রচারে ব্যস্ত তখন সনিয়া পুত্র রাজধানীতে কথা বলছিলেন নিম্নগ্রামে। বিনয় ও স্বভাব লাজুক স্বরে। রাহুল এদিন হাসতে হাসতে ক্যাজুয়ালভঙ্গিতে বলেন, আপনারা প্রেসের লোকজন প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন, বিয়ে কবে করছি? বিয়ে এখনই করছি না কেন? কেউ বলেন প্রধানমন্ত্রী কবে হচ্ছি?কেউ বলেন,আপনি প্রধানমন্ত্রী হবেন না। সেই সম্ভাবনা নেই। কেউ বলেন, সেই সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আমি বলি, গোটাটাই অবান্তর, অপ্রাসঙ্গিক একটা গুজব। আসলে আমার কাছে একটা কথাই প্রাসঙ্গিক, একটা প্রশ্নই প্রাসঙ্গিক। তা হল, দেশের একশো কোটির বেশি মানুষকে দেশের সমস্যগুলি সমাধান করতে অধিকার দেওয়া, শক্তি দেওয়া।ামি চাই না, ঘোড়ায় চেপে একজন কেউ ত্রাতা হয়ে আসুক আর সব সমস্যার সমাধান করে দিক।সেটা হয় না। হতে পারে না। কোনও একজন ব্যক্তি বা একজন রাজনীতিবিদের হাতে সব সমস্যার সমাধান থাকতে পারে না। গণতন্ত্রে সবাইকে সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা দিতে হবে। এজন্য গোটা 'সিস্টেম' বদলাতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা দলকে টার্গেট করে কোনও লাভ নেই।
রাহুল সিস্টেম বদলানোর কথা বলায় এদিন বণিকসভায় করতালি দিয়ে তাঁর বক্তব্যকে স্বাগত জানানো হয়। রাহুল বলেন, আমি আজ রাজনীতিতে এসেছি দু্র্ঘটনাচক্রে।আর আমি গাঁধী পরিবারের একজন সদস্য এটা নেহাতই আমার ডিএনএ। আমি ভারতের একশো বিশ কোটি লোকের একজন মাত্র।
উল্লেখ্য, মোদী ও রাহুল দুজনেই আজ জোরাল বক্তৃতায়, আত্মবিশ্বাসী ভাষণে এবং দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার অলিখিত নির্দেশনামা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন জনতার দরবারে। দু'জনের দু'জনকে টেক্কা দেওয়ার জন্য ছিল একটা অদৃশ্য লড়াই। দিনভর দুই হবু প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর লড়াইটা ছিল উপভোগ্য।
জনশ্রুতি আছে, রোম নগরী যখন ভয়াবহ আগুনে ছারখার হয়ে যাচ্ছিল, সম্রাট নিরো নাকি প্রাসাদে বসে বেহালা বাজাচ্ছিলেন! আর ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে কয়েক হাজার করসেবকের তাণ্ডবে যখন ধীরে ধীরে গুঁড়িয়ে যাচ্ছিল সাড়ে চারশো বছরের `বাবরি ধাঁচা` কী করছিলেন পামুলাপর্তি ভেঙ্কট নরসিংহ রাও? প্রখ্যাত সাংবাদিক তথা রাজনৈতিক ভাষ্যকার কুলদীপ নায়ারের সদ্য প্রকাশিত বই `বেয়ন্ড দ্য লাইনস` জানাচ্ছে, সে সময় নিজের সরকারি বাসভবনে পূজার্চনায় ব্যস্ত ছিলেন ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী!
বাবরি ধ্বংসে পরোক্ষ মদতের অভিযোগটা আগেও উঠেছে বারবারই। আদালতের কাছে অযোধ্যার বিতর্কিত রাম জন্মভূমি এলাকার বাইরে প্রতীকী করসেবার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও যখন গেরুয়া ঝাণ্ডাধারীরা পুলিসি বেষ্টনী অতিক্রম করে বাবরি মসজিদের গম্বুজের উপর উঠে পড়ে, তখনই নয়াদিল্লিতে সে খবর পৌঁছে গিয়েছিল। হনুমানগড়ির অনতিদূরে `সীতা কা রসুই`-এর মঞ্চে থাকা লালকৃষ্ণ আডবাণী-মুরলী মনোহর যোশি-অশোক সিঙ্ঘলদের পক্ষে যে উন্মত্ত করসেবকদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না, পত্রপাঠ সে ব্যাপারে অবহিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী কল্যান সিংয়ের কথায় ভরসা করে(?) নিশ্চেষ্ট ছিলেন নরসিংহ রাও। সময়োচিত কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের পরিবর্তে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে বাবরি মসজিদের ধূলিসাত্ হওয়ার প্রতীক্ষা করছিলেন। আর স্বাধীন ভারতবর্ষের অন্যতম কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর নেহাতই নিয়মরক্ষার খাতিরে কল্যান সরকারকে বরখাস্ত করেন তিনি।
কুলদীপ নায়ারের অভিযোগ, ৬ ডিসেম্বর দুপুরে অযোধ্যোয় বাবরি ধ্বংস শুরু হওয়ার খবর পেয়েই নিজের বাসভবনে পুজোয় বসেছিলেন তেলুগু বিড্ডা। বিকেলে প্রথম মোগল সম্রাটের সেনাপতি মীর বাঁকির তৈরি সৌধের তৃতীয় গম্বুজটির পতনের পরই পুজো ছেড়ে উঠেছিলেন তিনি। প্রয়াত সোশ্যালিস্ট নেতা মধু লিমায়েকে উদ্ধৃত করে কুলদীপ লিখেছেন, পুজো ছেড়ে ওঠার আগে প্রধানমন্ত্রীর কানে বাবরি ধ্বংসের কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর এক অনুচর।
বাবরি ধ্বংসের পর সাফাই দিতে গিয়ে নরসিংহ রাও ও তত্কালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস বি চহ্বান জানিয়েছিলেন, সরযূ-তীরের ঐতিহাসিক সৌধ রক্ষার জন্য দিল্লি থেকে বিমান যোগে সিআরপিএফ-এর বিশেষ দল পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্র কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে নাকি এই পরিকল্পনা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু `বেয়ন্ড দ্য লাইনস`-এর রাও-জমানা সংক্রান্ত পরিচ্ছেদে এই যুক্তি ফুত্কারে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও কুলদীপ নায়ারের বইয়ে উল্লিখিত অভিযোগকে এদিনও `অবিশ্বাস্য এবং ভিত্তিহীন` বলে বর্ণনা করেছেন নরসিংহ রাওয়ের ছেলে পি ভি রঙ্গা রাও।
তবে তাত্পর্যপূর্ণভাবে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ খণ্ডনের কোনও চেষ্টাই করা হয়নি। সম্ভবত সেটা হবেও না। কারণ, বছরকয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাবরি ধ্বংসের জন্য নরসিংহ রাওকে দায়ী করে স্বয়ং রাহুল গান্ধীই তো বলেছিলেন, নেহরু-গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য প্রধানমন্ত্রী পদে থাকলে ইতিহাসের পাতায় কালো দাগে চিহ্নিত হত না, ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২।
রাহুলকে জবাব দিলেও গদির দৌড়ে মোদীর কাঁটা দল-সঙ্ঘ |
জয়ন্ত ঘোষাল • নয়াদিল্লি |
বিজেপি-র ৩৩ম প্রতিষ্ঠা দিবসে রাহুল গাঁধীকে আক্রমণ করে ফের এক বার নিজেকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরতে উদ্যোগী হলেন নরেন্দ্র মোদী। দেশের ঋণ শোধ করার কথা বলে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে থাকার সঙ্কেত দিয়েছেন যিনি। সম্প্রতি ভারতকে ১০০ কোটি মানুষের এক মৌচাক বলেছেন রাহুল গাঁধী। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মোদীর বক্তব্য, "কংগ্রেস নেতাদের ভারত সম্পর্কে ধারণার কথা শুনে আমি আশ্চর্য। আমাদের দেশ হল মা।" এই মন্তব্যকে রাহুল বনাম মোদীর একটি পর্ব হিসেবেই দেখছেন অনেকে। ১৯৮০ সালে বিজেপি-র যাত্রা শুরু। মাঝে বিজেপি-র নেতৃত্বে কেন্দ্রে রাজত্ব করেছে এনডিএ সরকার। কিন্তু এখন দলে অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে রীতিমতো শোচনীয় অবস্থা বিজেপি-র। নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তূলে ধরার জন্য চাপ রয়েছে কর্মী-সমর্থকদের। কিন্তু এখনও দলেরই একটি অংশের চাপে সে পথে এগোতে পারেননি শীর্ষ নেতৃত্ব। আজ আমদাবাদে বিজেপি-র প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন মোদী। দিল্লিতে দলের সদর দফতরেও অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বেই ২০১৪ সালের ভোটে লড়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্য সভাপতি বিজয় গয়াল। অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলন নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে আডবাণীও বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি জাতীয় স্তরে প্রাসঙ্গিক থাকতে চান। |
স্বাগত। বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ ও মুখমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার আমদাবাদে। ছবি: পিটিআই |
কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে একমাত্র দলীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহকেই আমদাবাদে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদী। দিল্লির অনুষ্ঠানের পরেই বিমানে আমদাবাদ পাড়ি দিয়ে মোদীর পাশে দাঁড়ান রাজনাথ। ফলে, নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েনের বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিজেপি-র একটি অংশের বক্তব্য, মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করলে বিপাকে পড়বে দল। কারণ, গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার প্রেক্ষিতে মোদীর ভাবমূর্তি নিয়ে সমস্যা রয়েছে শরিক নীতীশ কুমারের। মোদী প্রার্থী হলেই নীতীশকে হারাবে এনডিএ। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে নবীন পট্টনায়ক কেউই মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ জোটে যোগ দিতে চাইবেন না। জোট রাজনীতির এই যুগে শরিকদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী শিবিরের পাল্টা বক্তব্য, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে দল প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা না করলে কখনওই বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়বে না। দক্ষিণে বিজেপি দুর্বল, পূর্বেও তাই। যে সব এলাকায় বিজেপি শক্তিশালী, সেখানে আসন সংখ্যা বাড়াতে গেলে মোদীকে সামনে রেখে এগোনো ছাড়া উপায় নেই। বিহারে সি পি ঠাকুরের মতো বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, নীতীশের পক্ষে এনডিএ ছাড়া সহজ হবে না। বরং মোদীকে সামনে রেখে চললে চাপে পড়বেন নীতীশই। ৩৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বিজেপি-র সামনে আর একটি সমস্যা আরএসএসের নিয়ন্ত্রণ। গাঁধীজীর হত্যার পরে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল আরএসএস-কে। কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জনসঙ্ঘ যাত্রা শুরু করার সময়ে আরএসএসের দেশব্যাপী সংগঠনের সাহায্য নিয়েছিল। জয়প্রকাশ নারায়ণের ইন্দিরা গাঁধী-বিরোধী আন্দোলনের সময়ে জনতা পার্টিতে মিশে যায় জনসঙ্ঘ। কিন্তু আরএসএসের সদস্য থাকলে জনতা পার্টির সদস্য থাকা যাবে না বলে সরব হয় ওই দলের একটি অংশ। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টি তৈরি করেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীরা। দলের সংগঠন বাড়াতে গিয়ে আরএসএসের সাহায্য নেওয়ায় এখন বিজেপি-র মধ্যে কার্যত সমান্তরাল সংগঠন চালায় আরএসএস। প্রতি রাজ্যেই সাংগঠনিক সচিব হিসেবে সভাপতির পাশেই থাকেন আরএসএস মনোনীত এক ব্যক্তি। সঙ্ঘের প্রিয়পাত্র হওয়াতেই অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজের বদলে দলের সভাপতি হয়েছিলেন নিতিন গডকড়ী। বর্তমান সভাপতি রাজনাথ সিংহও সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ। কিন্তু দলের দৈনন্দিন কাজকর্মে সঙ্ঘের হস্তক্ষেপে বিরক্ত অনেক শীর্ষ নেতাই। এর প্রতিবাদও করেছিলেন খোদ লালকৃষ্ণ আডবাণী। তাই শুধু রাহুলকে জবাব নয়, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে গেলে নাগপুরে সঙ্ঘের সদর দফতরের আশীর্বাদও পেতে হবে মোদীকে। মোদী সব দিক সামলাতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার। http://www.anandabazar.com/archive/1130407/7desh2.html একটি ঐতিহাসিক রায়ের ইতিবৃত্ত রেযাউল করীম সুদীর্ঘ পাঁচশত বছর ধরে চলে আসা বাবরি মসজিদ রামমন্দির বিতর্ক ভারতের জাতীয় জীবনে সর্বাধিক সমালোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। পলাশীর যুদ্ধ ও ভারতে ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত, বঙ্গভঙ্গ, '৪৭-এর ভারতবিভাগ ইত্যাদি থেকে এ বিতর্ক কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক এমনকি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল, গত মাসের এলাহাবাদ হাইকোর্টের এক উদ্ভট রায়ে তা অমরতা লাভ করেছে। রায়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, 'যেহেতু বাবরি মসজিদের ভূমিতে রাম জন্মগ্রহণ করেন এবং ঐ স্থানে প্রতিষ্ঠিত রামমন্দির ভেঙ্গে সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকী ১৫২৮ খ্রিষ্টাব্দে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন, সেহেতু এ মসজিদ নির্মাণ হিন্দু সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে অবৈধ। হিন্দু মহাসভা ও নির্মোহী আখড়া নামের দু'টি সংগঠন উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্টে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য জমি স্বত্ব চেয়ে মামলা করে। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড মসজিদের স্বত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য একই আদালতে মামলা (Title suit) করে। কারণ ১৯৩৬ সালে মসজিদ এবং তৎসংলগ্ন জমি ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে এ বোর্ডের নামে নিবন্ধন করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সে মামলার এক ঐতিহাসিক রায় প্রদান করা হয়। http://www.at-tahreek.com/march2011/2-5.html Update: December 6, 2012 09:11 IST http://zeenews.india.com/bengali/nation/after-20-years-of-violance-in-ayodhya_9779.html যুক্তি তর্ক গল্পএবার বিএনপির আওয়ামীকরণ! |
বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় অনুতপ্ত নই: ভগবত
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিশ বছর পালন
আজ দিল্লিতে মোদী, কুম্ভে সিঙ্ঘলরা |
কংগ্রেসকে বিঁধে হিন্দুত্বের সুর আরও চড়াচ্ছে বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
হিন্দুত্বের আন্দোলন ফের জাগিয়ে তুলতে আগামী কাল মহাকুম্ভে সাধু-সন্তদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। আবার আগামী কালই উন্নয়নের পাঠ পড়াতে দিল্লির এক কলেজে আসছেন মোদী। এর ঠিক এক দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দের 'গেরুয়া-সন্ত্রাস'-এর পাল্টা জবাব দিতে নয়া কৌশল নিল বিজেপি। সঙ্ঘের নির্দেশে বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর জোশীকে দিয়ে দলের সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠক হল। যেখানে সঙ্ঘের নির্দেশিত পথে হেঁটেই জোশী দাবি করলেন, সমঝোতা বিস্ফোরণের পিছনে আসলে হাত ছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তইবা, আল-কায়দা, সিমি ও ডেভিড কোলম্যান হেডলির। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ২০০৯ সালের প্রস্তাব ও মার্কিন রাজস্ব বিভাগের ঘোষণাতেও তা বলা হয়েছে। পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১০ সালে তা কবুলও করেন। তাঁর অভিযোগ, এ সব জানার পরেও কেন্দ্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সাহায্যে ওই ঘটনা নিয়ে গেরুয়া-শিবিরকে আক্রমণ করছে কংগ্রেস। সমঝোতা বিস্ফোরণের তদন্তে যখন সঙ্ঘের সঙ্গে জড়িত নেতাদের গ্রেফতার করা শুরু হয়, তখন থেকেই আরএসএস-ভিএইচপি নেতারা দাবি করেছেন, এর সঙ্গে সঙ্ঘ কোনও ভাবেই জড়িত নয়। পরে অবশ্য বিজেপি নেতারা এর থেকে দূরত্ব তৈরি করেন। কিন্তু রাজনাথ সিংহ সভাপতি হওয়ার পরেই আরএসএস-বিজেপি-ভিএইচপি-র মহাবৈঠকে ঠিক হয়, বিজেপিকেও হিন্দু ভাবনার প্রচার শুরু করতে হবে। সঙ্ঘ যেমন রামমন্দির আন্দোলন ফের জাগিয়ে তুলতে চাইছে, তেমনই গো-বলয়ে ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য বিজেপিও রাজনৈতিক ভাবে হিন্দুত্বকে কাজে লাগাক। সেই পথ ধরেই কুম্ভের বৈঠকের আগে জোশীর মতো নেতা আজ সুর চড়ালেন। হিন্দুত্বের পাশাপাশি বিজেপি উন্নয়নের মডেলটিকেও তুলে ধরতে চায়। বিজেপির কাছে নরেন্দ্র মোদীই এক মাত্র ব্যক্তি, যিনি একাধারে হিন্দুত্বের 'পোস্টার বয়', আবার উন্নয়নেরও প্রতীক। ভিএইচপি নেতা অশোক সিঙ্ঘল ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, গোটা দেশ মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। কিন্তু ভিএইচপি-র আর এক নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ার সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক ভাল নয়। আজ তোগাড়িয়াকে মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান। তোগাড়িয়ার সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক বেধেছে সঙ্ঘ পরিবারের অন্দরে। কিন্তু বিজেপির অনেক শীর্ষ নেতাই এ ধরনের উগ্র হিন্দুত্বে ফিরতে চান না। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, "এটি ঠিক, সংখ্যালঘু ভোটের তেমন প্রত্যাশা আমাদের নেই। কিন্তু রাজনীতির মেরুকরণ হলে আমাদের লাভ না ক্ষতি, সেটিও পর্যালোচনা করা দরকার। কিন্তু সঙ্ঘ এখন হিন্দুত্ব ও উন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্য রেখেই এগোনোর দাওয়াই দিচ্ছে।" উন্নয়নের সেই পাঠ পড়াতেই আগামিকাল দিল্লির শ্রীরাম কলেজে আসছেন মোদী। উন্নয়ন মন্ত্রে গুজরাত জয়ের পর দিল্লিতে এটাই তাঁর প্রথম প্রকাশ্য সভা। রাহুল গাঁধী যখন যুবকদের কংগ্রেসের দিকে টানতে উদ্যোগী হচ্ছেন, তখন মোদীও নিজেকে যুব সম্প্রদায়ের আশার আলো হিসেবে তুলে ধরতে চান। এই লক্ষ্যেই দিল্লির কলেজে গিয়ে তিনি সরাসরি যুবদের মুখোমুখি হবেন। মোদী বিলক্ষণ জানেন, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করা নিয়ে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের ভিতরে-বাইরে কথা চললেও এ নিয়ে দ্বিধা কাটছে না। এই পরিস্থিতিতে মোদী ধীরে ধীরে গুজরাতের বাইরে নিজেকে প্রচারের মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। কুম্ভে ভিএইচপি-র বৈঠকে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও মোদী সেই বৈঠক এড়িয়ে যাচ্ছেন। কুম্ভযাত্রা আপাতত কিছু দিন পিছিয়ে দিতে চান মোদী। আগামী সপ্তাহে কুম্ভে যেতে পারেন তিনি। http://www.anandabazar.com/archive/1130206/6desh2.html |
No comments:
Post a Comment